সামাজিক মাধ্যম Archives - Women Words

সামাজিক মাধ্যম

চীনে গিয়ে কী খাবেন?

চীনে গিয়ে কী খাবেন?

শান্তা মারিয়া চীনের খাবার নিয়ে অনেকেরই নানা রকম প্রশ্ন রয়েছে। চীনে প্রথমবার যারা যান তারা নাকি অনেকেই খাবারের কষ্টে পড়েন। এখানে আমি বলতে চাই যে, চীনে গিয়ে সঠিক খাবারটি যদি বেছে নিতে পারেন, তাহলে দেখবেন চীনে সুস্বাদু খাবারের অভাব নেই। চীনের খাবারের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। বিশ্বব্যপী খ্যাতিও আছে। চীনা খাবারে বিশেষ কিছু মশলা ব্যবহার করা হয় যা অত্যন্ত সুস্বাদু। চীনের বিভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন রকম কুইজিন রয়েছে। এরমধ্যে আমাদের বাংলাদেশের মানুষের টেস্টের সঙ্গে যায় শিংচিয়ান ও সিচুয়ান প্রদেশের খাবার। চীনেরও প্রধান খাদ্য ভাত। ফ্রাইড রাইসও পাওয়া যায় প্রতিটি রেস্টুরেন্টে। ছাও ফেন মানে ফ্রাইড রাইস। এটা অর্ডার করলে অবশ্যই খেতে পারবেন। বিভিন্ন রকম ছাওফেন আছে। যেমন ডিমের, মাংসের ইত্যাদি। ডিমের (চিতান) ছাওফেন বেশ সুস্বাদু। চীনের সুস্বাদু খাবারের মধ্যে বিখ্যাত হলো রোস্টডাক ও হটপট। রোস্ট ডাকের চীনা নাম ‘খাওয়
কতটা উন্নাসিক হলে ‘অবাঙালি’ শব্দ আবিষ্কার করতে পারে

কতটা উন্নাসিক হলে ‘অবাঙালি’ শব্দ আবিষ্কার করতে পারে

শবনম সুরিতা ডানা গতকাল হলভর্তি ইরানী, জার্মান ও রাশিয়ান নারীদের সামনে বাংলা ও উর্দু গান গাইলাম। কেউ আমার ভাষা বোঝেনি, অথচ সবাই শুনেছে। প্রসাদকাকুর তৈরী করা 'আমি তোমারি নাম গাই'- গানের হিসেবে কী বলতে চায়, তা কেউ বোঝেননি, অথচ গায়নের, সুরের ও সময়ের আবেগ তাঁদের কাছে পৌঁছতে বেগ পায়নি মোটেও। আমার গাওয়া শেষ হয়ে গেলে স্প্যানিশ মেয়েটির ক্ষেত্রেও তাই। কেউ কিচ্ছু বুঝতে পারছি না, অথচ অসম্ভব ভালো লাগছে শুনতে। ইচ্ছে করছিল যেন আরো আরো শুনি। শুনতেই থাকি। এসব বলছি কারণ আমি জানি এই অবুঝ ভালোবাসাটুকুর গুরুত্ব। যা জানিনা, যা বুঝিনা, বা যা আমার নিজের নয়, তেমন জিনিসের প্রতিও যে অন্তত ন্যূনতম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা যায়, তা আমরা সবাই ভুলে গিয়েছি। কিছুদিন আগে এক বন্ধুর সাথে এই নিয়ে আলোচনা করছিলাম। একটা ভাষাগোষ্ঠী ঠিক কতটা উন্নাসিক হলে 'অবাঙালি' শব্দের আবিষ্কার করতে পারে তা আমাদের কারো মাথায়ই ঢুকছিল না। আমি জানিনা মারা
পাস্ট আসলে পাস্ট হয় না, বর্তমানে ফিরে নিজের নিষ্ক্রিয়তা মনে করিয়ে দেয়

পাস্ট আসলে পাস্ট হয় না, বর্তমানে ফিরে নিজের নিষ্ক্রিয়তা মনে করিয়ে দেয়

জেসমিন চৌধুরী হঠাৎ অনেকদিন আগের একটা ঘটনা মনে পড়ে খুব খারাপ লাগছে। তাই এই গভীর রাতে বিছানার আরাম ছেড়ে উঠে একটা অপরাধের স্বীকারোক্তি লিখতে বসেছি। প্রথমবার এসএসসি ফেল করবার পর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে গেছি সিলেট এইডেড হাই স্কুলে। আমার ঠিক সামনের বেঞ্চেই বসেছিল একটা ছোটখাটো মিষ্টি চেহারার মেয়ে। পরীক্ষা শুরু হবার কিছুক্ষণ পরই মেয়েটা দাঁড়িয়ে ইনভিজিলেটরকে বলল তার বাথরুম পেয়েছে। পরিদর্শক নারীটি দাঁতমুখ খিঁচিয়ে বললেন, 'পরীক্ষা শুরু হবার আগে যেতে পারোনি? চুপচাপ বসে লিখ।' একটু পর মেয়েটা আবার উঠে দাঁড়িয়ে মিনতির সুরে টয়লেট যাওয়ার অনুমতি চাইলে সেই নারী একেবারে তেড়ে এলেন, 'প্রশ্ন দেখেই টয়লেট পেয়ে গেছে না? বইপত্র সব সেখানে রেখে এসেছ, তাই তো? চুপ করে বসে লিখ।' কিছুক্ষণ পর শুনলাম মেয়েটা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। পরিদর্শক কিছুক্ষণ পরপর তার পাশে এসে বকাবকি করে যাচ্ছেন। মেয়েটা কিছুই লিখছে না। এভাবে বেশ কিছু সময়
ভালোবাসা কেবলই ‘সব ভালো’-র উদযাপনের মুখোশে দুর্বলতাকে অস্বীকার

ভালোবাসা কেবলই ‘সব ভালো’-র উদযাপনের মুখোশে দুর্বলতাকে অস্বীকার

শবনম সুরিতা ডানা আমাদের জীবনে সেরকমভাবে দেখতে গেলে ছন্দপতন একটা অস্বাভাবিকতা। যা চলছে, যেমনভাবে চলছে, তা যতই অস্বস্তির, নোংরা বা অন্যায় হোক না কেন, তালে তাল মিলিয়ে চলে যেতে পারলেই, সব ঠিক আছে। মোটামুটি ভদ্রস্থ পড়াশোনা, একটা চাকরি, একটা সংসার, বছর ঘুরলে পুরী-দার্জিলিং-সব মিলিয়ে এই বেশ ভালো আছি। 'ভালো লাগছে না' বা 'এটা অনুচিত' বলে এই নিয়মে ফাটল ধরানো সমাজের চোখে শুধু নয়, আশেপাশের অনেক মানুষদের কাছেই আলোচ্য বিষয়। এই যেমন আমি কেন টুয়েলভে সায়েন্স পড়িনি, কেন আর্টস হলেও অংক পড়তে হবে, কেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ে নৃতাত্ত্বিক বিষয়ে আগ্রহী হব, কেনই বা চাকরি না করে আরেকটা মাস্টার্স করব- আমার সকল পছন্দ-অপছন্দ, সিদ্ধান্ত-সিদ্ধান্তহীনতায় দেখতে পাই আমার চেয়ে পারিপার্শ্বিকতার প্রভাব বেশি। যদিও যুক্তি দিয়ে হারাতে পারেনি, তাও আজো অনেকেই প্রশ্ন করেন আমায় কী হবে পিএইচডি করে, কেন আমি পোস্টকার্ডের মত দেশে-বিদেশে থাকা
কেউ যেন তোর মত শৈশব না হারায়

কেউ যেন তোর মত শৈশব না হারায়

জেসমিন পাপড়ি ক্লাস ফাইভে ওঠার কিছুদিন পর একদিন টের পেলাম আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটি আর স্কুলে আসছেনা। জানলাম জোহরার বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট্ট তখনও আমি বুঝতামই না বিয়েটা কি? তবে সে নতুন শাড়ি, গহনা পাবে জানতাম। এটুকুতেই আমাদের কথা ভুলে, স্কুলকে ছেড়ে চলে গেছে মনে করে খুব অভিমান হত, চোখে পানি আসত। এরপরেও শশুরবাড়ি থেকে বেড়াতে এসেছে শুনে সব অভিমান ভুলে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ও লজ্জায় কথাই বলতে পারলনা। সেদিন ওর গায়ে খুব বেশি গহনা বা খুব সুন্দর সাজগোজও দেখিনি। তাই ফেরার পর মনে হলো বিয়ে খারাপ জিনিস। না হলে জোহরার মন খারাপ হবে কেন। এরপর অ...নে....ক দিন, মাস বছর চলে গেছে। আমি গ্রাম ছেড়েছি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছি। আর মাঝে মাঝেই জোহরাকে মনে করেছি। গতবছর ঈদের দিনে গ্রামের পথে জোহরার সঙ্গে আমার দেখা। জানিনা ঠিক কত বছর পরে! প্রথমে ও চিনলেও পরে বিস্ময় নিয়ে দেখেছে আমাকে। বাপের বাড়ি থেকে পাশের গ্র
‘পুলিশের পরিবর্তন ও উন্নয়নের এক অবিস্মরণীয় মাইলফলক’

‘পুলিশের পরিবর্তন ও উন্নয়নের এক অবিস্মরণীয় মাইলফলক’

একজন নারী কনস্টেবল সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। তার কাঁধে ব্যাগ, মাথায় হেলমেট। চিত্রটি বাংলাদেশের। আর এই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোশতাক আহমেদ। স্টেটাস দিয়ে তিনি লেখেছেন, ‘পুলিশে পরিবর্তন বিস্মিত, অভিভূত আমি!! আজ সকালে আমি অফিসে আসার সময় মগবাজার মোড়ে দেখলাম একজন নারী কনস্টেবল সাইকেল চালিয়ে অফিসে যাচ্ছেন। তার কাঁধে ব্যাগ, মাথায় হেলমেট।’ বিষয়টি তাকে আলোড়িত করেছে। তিনি আরও লিখেছেন‌, ‘১৬ বছরের চাকরি জীবনে পুলিশে বহু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখলেও সাইকেলে করে এক নারী সহকর্মীর কর্মস্থলে যাওয়ার এই ঘটনা আলোড়িত করেছে। আরও লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি লুৎফার এরূপ কর্মস্থলে গমন বাংলাদেশ পুলিশের পরিবর্তন ও উন্নয়নের এক অবিস্মরণীয় মাইলফলক। তার সহকর্মী হতে পেরে আমি গর্বিত।’ জানা গেছে, ছবির নারী পুলিশ কনেস্টেবল লুৎফা বেগম তেজগাঁও শিল্পাঞ্চ
জেসমিন চৌধুরীর বই ‘নিষিদ্ধ দিনলিপি’

জেসমিন চৌধুরীর বই ‘নিষিদ্ধ দিনলিপি’

আহ‌মেদুর রশীদ টুটুল জেসমিন চৌধুরীর একটি বই প্রকাশিত হয়েছে এবারের বইমেলায়। বইয়ের নাম 'নিষিদ্ধ দিনলিপি'। বইমেলা থেকে স্থানিকভাবে অনেক দূরে আছি বলে বইটা দেখার সুযোগ হয়নি। তবে ধারণা করি এই বইয়ের অনেকগুলো লেখাই বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুকে শেয়ার দেয়ার কারণে আমার পড়া হয়েছে। জেসমিন লিখেন অনেকদিন থেকেই। যদিও তেমন ভাবে নিজেকে প্রকাশিত করেননি কখনোই। তার বেশকিছু অসমাপ্ত লেখা পড়লেই বুঝতে পারা যায়, তার লেখার ধার ও ভার কত তীক্ষ্ণ ও গভীর। আমি অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছি জেসমিন এই তীক্ষ্ণ ও গভীর ধরনের লেখাগুলো উন্মোচিত করবেন পাঠকদের উদ্দেশ্যে। জেসমিন অসম্ভব ভালো, যাকে বলে আপ টু দ্য স্ট্যান্ডার্ড অনুবাদ করেন বাংলা থেকে ইংরেজিতে। আমার মনে হয় ইংরেজিতে লিখলেও জেসমিন অনেক ভালো করতে পারবেন। আমি অবশ্য এটাও প্রত্যাশা করি, জেসমিন বাংলা ভাষার কিছু অনবদ্য সাহিত্যকে ইংরেজি ভাষার পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিত
একটা মেয়ে সিঙ্গেল থাকলে ছেলেদের সমস্যা কোথায়

একটা মেয়ে সিঙ্গেল থাকলে ছেলেদের সমস্যা কোথায়

কানিজ ফাতেমা ছন্দা একটা মেয়ে সিঙ্গেল থাকলে ছেলেদের কোথায় সমস্যা হয় আমি বুঝি না। কেন তাকে অবশ্যম্ভাবী কোন ছেলের সাথে জীবন জড়িয়ে থাকতে হবে? অথবা কোন ছেলে তাকে কর্মক্ষেত্রে কখনো সহযোগিতা করলে কিংবা কাজের সূত্রে কোন একদিন তার সাথে যোগাযোগ করলে সেই কাজের জায়গাটুকুই সম্পর্ক হিসেবে ধরে রাখতে পারবে না? এমন কিছু এক্সট্রিম অভিজ্ঞতাও হয়েছে আমার যেখানে একেবারে কাজের বাইরে কোন যোগাযোগ না থাকার পরেও ব্যক্তিগত জীবনের সাথে ছেলেরা জড়িয়ে যেতে চায়! কেন? ‌‘ভাইয়া’ সংক্রান্ত খুব কমন একটা কৌতুক শুনি মেয়েদের বিরুদ্ধে- এক মেয়ে অভিযোগ করছে কেন তার কোন বয়ফ্রেন্ড নেই। তার জবাবে তাকে ঈশ্বর বললেন, সবাইকে ভাই বানালে কেমন করে বয়ফ্রেন্ড হবে? এই কৌতুকটা বলে ছেলেরা ভীষণ মজা পায়! কিন্তু হে কতিপয় আদম লিঙ্গ, অনেক মেয়েরা ভাই ডেকে তাকে ভাই পর্যন্তই সীমানা দিয়ে রাখে, এটা বোঝার মত নিউরো সিগন্যাল তোমার কবে তৈরি হবে?
কিছু ‘বিপথগামী’ নারী ছাড়া আমরা সবাই দাসত্বের শেকলবন্দি

কিছু ‘বিপথগামী’ নারী ছাড়া আমরা সবাই দাসত্বের শেকলবন্দি

রত্না খান আপনি আমাদের শিক্ষার আলো দিয়ে গেছেন কিন্তু তবুও আমাদের মুক্তি মেলেনি। শিক্ষিত স্বাবলম্বী হয়েও নারী আজ নির্যাতীতা। ঘর আর বাহির কোথাও আমরা নিরাপদ নই, কিছু ‘বিপথগামী’ নারী ছাড়া আমরা সবাই দাসত্বের শেকলে বন্দি, তবু ভালো যে আপনি আমাদের শিক্ষিত হতে শিখিয়েছিলেন। তাই বুঝতে পারি অন্যায় হচ্ছে আমাদের সাথে, নয়তো আমাদের পূর্বতন নারীদের মত আমরাও এটাকেই নিয়ম আর নিয়তি মেনে ধুঁকে ধুঁকে মরতাম। ধন্যবাদ আমাদের সচেতন হওয়ার শিক্ষা দেয়ার জন্য, সে ভিন্ন কথা, শিক্ষিত হই আর সচেতনই হই, দাসত্বের প্রাচীর কখনোই ভাঙবেনা।। ভাঙতে দেয়া হবেনা।। রোকেয়া দিবসে বেগম রোকেয়ার প্রতি শ্রদ্বান্জলি
ভাইটিতো বড় অভিমানী

ভাইটিতো বড় অভিমানী

মুন্নী সাহা নাহ পেলাম না। পাবো ক্যামনে, খুঁজবো বলে তো রাখিনি। সেই নোটপ্যাডটা, ঘরে ওষুধের শিশির পাশে, টেলিফোনের তলায় যেটা অযত্নে থাকে সেটা। কখনো কখনো জরুরি তাড়াহুডোর সময় কিছু লিখতে, নাম্বার নিতে, মনে রাখতে জরুরি হয়ে পরা অযত্নের নোট প্যাডটা... কিন্তু সেখানেই যে একটা ভোতাঁ পেন্সিল দিয়ে লিখেছিলাম শাকিল ভাইয়ের ডিকটেশন! কানের ওপাশে শাকিল ভাই ধমকের সুরে বলছেন -- " লিখছিস? হুম... তারপ..রে, তারপরে ল্যখ--- একজন স্নেহময়ীর আকুলতা, তার আদরের সন্তানতুল্য ভাইটির জন্য, নিজ হাতে রাঁধা শর্ষে ইলিশ... নলেনগুড়ের পায়েশ। ভাইটিতো বড় অভিমানী, মা অথবা দিদির কাছে...যিনি জয়ের মা, পুতুলের মা, আদরের বিড়ালের মা, রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী "! শাকিলভাই বলছেন তো বলছেন, অামি প্রাইমারির ছাত্রীর মতো বানান করে করে নোট নিচ্ছি, মাঝে মাঝে ফোড়ন কাটছি--- এ্যাঁহে শর্ষে ইলিশ না, ইলিশ পোলাও. . আর পায়েশ পাইলেন কই?? আমার এই ইচ্ছাকৃত বিরক্ত