প্রতিক্রিয়া Archives - Page 4 of 5 - Women Words

প্রতিক্রিয়া

মেয়ে হারিয়ে ফেলো না নিজেকে

মেয়ে হারিয়ে ফেলো না নিজেকে

রাহিমা বেগম বিয়ের পর সংসারে মেয়েদের মোটামুটি দুইটার যেকোন একটা উপায় বেছে নিতে হয়। প্রথম উপায় নতুন সংসারে সবার মন জয় করে সবাইকে খুশী রেখে চলা। এই উপায়ে পরিবারের একজন  ভাল বউ হিসেবে পরিবার আর আত্মীয়স্বজনের সকলের কাছ থেকে সর্বদা প্রশংশা আর সুখ্যাতি অর্জন করা যায়। প্রথম উপায়ের সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে একটা শর্ত মানা মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক, সেটা হচ্ছে নিজস্বতা, , স্বকীয়তা, স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত পছন্দ -অপছন্দ, সুখ -স্বাচ্ছন্দ্যতা,নিজের ক্যারিয়ার, আর নিজের বাপ মায়ের পরিবারের প্রতি সবধরনের স্নেহ মায়া ও দায়িত্ববোধ সবকিছু নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ করতে হবে। দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে প্রথম উপায়ের যে শর্ত আছে সেটাই ভেঙে নতুন পরিবারের সাথে মানিয়ে চলে সুখী হওয়ার চেষ্টা করা। প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন থাকে যে তাঁর একটি সুন্দর হাসিখুশী সংসার হবে। সেকারণে এদেশের শতকরা নব্বই ভাগ মেয়েরাই প্রথম উপায়টা অনুসরণ করে। তাছাড়া একজন
পালাকার পরিবারের পরাণের গহীনে রবে নিরবে

পালাকার পরিবারের পরাণের গহীনে রবে নিরবে

  ‘পূর্ণিমাতে ভাইসা গেছে নীল দরিয়া সোনার পিনিশ বানাইছিলা যতন করিয়া চেলচেলাইয়া চলে পিনিশ, ডুইবা গেলেই ভুস হায়রে মানুষ, রঙ্গীন ফানুস, দম ফুরাইলেই ঠুস!’ প্রায় ৮১ বছর বয়সে রঙ্গীন ফানুস উড়িয়ে দম ফুরালেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে টানা চার মাস চিকিৎসার পর গত ২ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফেরেন। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে তিনি লন্ডনে যান। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষায় পর তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। দেশে ফেরার পর থেকে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন থেকেই সবার মধ্যে আজকের এই ভয়াবহ দুঃসংবাদের জন্য এক ধরনের আশংকা ছিল। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টা ২৬ মিনিটে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। সৈয়দ শামসুল হক, আমাদের প্রিয় হক ভাইয়ের এই চলে যাওয়ায়, তাঁর প্রতি পালাকার পরিবারের গভীর ভালোবাসা ও বিনম্র শ্রদ্ধা। ‘এ বড় দারুণ বাজি, তারে কই
টাইগার্সদের ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়

টাইগার্সদের ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়

রেজা ঘটক আমি যখন বাসায় ফিরি তখন জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৬৬ বলে ৮০ রান। হাতে ছিল ৮ ইউকেট। বন্ধুবর মঈনুল বিপ্লব ছোট্ট করে কমেন্ট দিলো, ধরা খাইতাছো নিকি!!! জবাবে আমি কনফিডেন্টলি বললাম, চান্স ৫০ ফিফটি। খেয়াল করলাম, ৪০তম ওভারে তাইজুল ইসলাম মাত্র ১টি রান দিয়েছিলেন। ওটাই ম্যাচ প্রেডিক্ট করতে আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছিল। টিএসসিতে বসে ম্যাচ হেরে যাচ্ছি, এমন একটি আশংকা নিয়েই শেষের ওভারগুলো বাসায় দেখব বলে চলে আসি। ৪১তম ওভারে ম্যাচের অবস্থা দাঁড়ালো জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ৬০ বলে ৭৭ রান। কিন্তু শাকিব আল হাসানের এই ওভারটি আসলে আজকের ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ৪১তম ওভারে শাকিব মাত্র ৩ রান দিয়ে রহমত শাহ'র মূল্যবান ইউকেটটি তুলে নিলেন। মুশফিকের হাতে স্ট্যাম্প হবার আগে রহমত শাহ ৯৩ বলে করেছিলেন মূল্যবান ৭১টি রান। ৪২তম ওভারে তাইজুল ৮ রান দিলে জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন পড়ে ৪৮ বলে ৬৬ রান। হাত
আর্ট অফ লিভিং

আর্ট অফ লিভিং

শবনম সুরিতা ডানা চোখে চোখ রেখে মিথ্যে বলাটা একটা আর্ট। সবাই পারেনা। সবাই শিল্পী নয়। কিন্ত চারপাশে আজকাল শিল্পীর প্রাচুর্য্য অন্য গল্প বলে। আমার ফেসবুকে বন্ধু সংখ্যা প্রায় চার হাজার। এর বাইরেও আমি প্রায় শ’খানেক মানুষকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। এছাড়াও রোজকার আসা-যাওয়া, জীবনযাপনের প্রতিটি মুহূর্তে পরিচিত হতে থাকি নিত্যনতুন মানুষদের সাথে। এতগুলো লোকের সাথে আমার জীবন জড়িয়ে আছে, কিন্ত তাদের মধ্যে কেউই জোর গলায় ধর্ষণ বা কোন মহিলার সাথে অভব্য আচরণের পক্ষে কথা বলেন না। কিন্ত এই আমার ২৪ বছর ৯ মাসের জীবনে এমন একটি সপ্তাহও পেরোয়নি যখন আমার মতের বিরুদ্ধে কেউ আমার গায়ে হাত দেয়নি, আমায় কুপ্রস্তাব দেয়নি বা অন্য কোন ধরনের যৌনহেনস্থায় পড়তে হয়নি। প্রথম কবে এমন হয়েছিল মনে নেই স্পষ্ট। ১২-১৩ বছর বয়েস হবে হয়ত। তার আগে, আরো অনেক অল্প বয়সে হেনস্থা হতে হয়েছে ঠিকই, তবে সাপ্তাহিক বা দৈনন্দিনতা ছিলনা সেখানে। ওগুলো সারপ্র
নিউইয়র্ক! নিউইয়র্ক!!

নিউইয়র্ক! নিউইয়র্ক!!

মুহম্মদ জাফর ইকবাল (১) চৌদ্দ ঘণ্টা আকাশে উড়ে আমাদের প্লেনটা শেষ পর্যন্ত নিউইয়র্কে পৌঁছেছে। টানা চৌদ্দ ঘণ্টা প্লেনের ঘুপচি একটা সিটে বসে থাকা সহজ কথা নয়। সময় কাটানোর নানা রকম ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সময় কাটতে চায় না। অনেকক্ষণ পর ঘড়ি দেখি, মনে হয় নিশ্চয়ই এর মাঝে ঘণ্টা খানেক কেটে গেছে, কিন্তু অবাক হয়ে দেখি পনেরো মিনিটও পার হয়নি! এয়ারপোর্টে নামার পর ইমিগ্রেশনের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। প্রত্যেকবারই নতুন নতুন নিয়মকানুন থাকে। এবারেও নতুন নিয়ম, যাত্রীদের নিজেদের পাসপোর্ট নিজেদের স্ক্যান করে নিতে হবে। কিভাবে করতে হবে খুব পরিষ্কার করে লেখা আছে, সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করি, কিন্তু আমাদের পাসপোর্ট আর স্ক্যান হয় না। দেখতে দেখতে বিশাল হলঘর প্রায় খালি হয়ে গেছে, শুধু আমি আর আমার স্ত্রী পাসপোর্ট নিয়ে ধাক্কাধাক্কি করছি! কিছুতেই যখন পাসপোর্ট স্ক্যান করতে পারি না তখন শেষ পর্যন্ত লাজলজ্জা ভুলে কাছাকাছি দাঁ
আমেরিকায় থিতু হলেও রয়ে গেছে বউ পেটানো স্বভাব!

আমেরিকায় থিতু হলেও রয়ে গেছে বউ পেটানো স্বভাব!

রোমেনা লেইস বাঙালী বউ পেটায়; কথাটা সেদিন প্রথম আলোয় আরেকবার পড়লাম আনিসুল হকের লেখায়। বউ তো ভালবাসার মানুষ, আদর সোহাগের। বউকে কেন নির্যাতন করা হবে? আমাদের দেশে অনেকেই বউ পেটান কথাটা অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য। নিম্ন শ্রেণীর লোকেরাই বউ পেটায়, এমন ধারনা প্রচলিত থাকলেও সত্যি কথা হলো উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত থেকে অশিক্ষিত সকলেই এই কাজে পারদর্শী। কিন্তু বাংলাদেশী আমেরিকানরাও বউ পেটান শুনলে কেউ বিশ্বাস করবেন? বাস্তবতা হলো আমেরিকার মত দেশে থেকেও তাদের মানসিকতা এতটুকু উন্নতি সাধন হয়নি। পান থেকে চূণ খসলেই তারা হাত উঠান। অথচ এখানে আইন অনেক কঠোর। গায়ে হাত দিলে শুধু ‘৯১১’ -এ কল দিলেই হলো অভিযুক্ত সাথে সাথে এরেস্ট। এরকম আইন থাকার পরও নিষ্ঠুর নির্যাতন চলছেই। সেদিন আমার ডেন্টিস্টে এপয়েনমেন্ট ছিল । স্কুলের শেষে বাসায় এসে দুটো মুখে গুজেই সেখানে গেলাম। পাক্কা দুইঘন্টা লাগলো। ডেন্টিস্ট স
‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’

‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’

ফাতেমা চৌধুরী স্বপ্না ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’ কবিতা পড়ে তাঁর ভক্ত হয়েছিলাম। অল্প কিছুদিন আগে হঠাৎ কবিকে প্রথমবার দেখা। শেষবার দেখাও বটে। নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকায় আমাদের বাসার কাছাকাছি একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে থাকতেন তিনি। এখন আর নেই। কবি চলে গেলেন। কিন্তু রয়ে গেল তার অমর সৃষ্টিগুলো। চর্ম চোখে কবিকে দেখার সেই স্মৃতি আজও মানসপটে সমুজ্জল। মনে পড়ে, সেদিন তাঁর প্রতিটি কথায় ঝরে পড়ছিল দেশের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা! মুগ্ধ হয়ে শুনেছি, পীর হাবিবের (পীর হাবিবুর রহমান) সঙ্গে কবির দেশপ্রেমের সেইসব অন্তরঙ্গ গল্প। প্রশ্ন করেছি, কবির লেখা নিয়ে। বিশেষ করে আমার প্রিয় এই কবিতাখানি নিয়ে। স্মিত হেসে কবি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। কবির সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগটিও হাতছাড়া করলাম না। আগ্রহ দেখাতে তিনি নিজ থেকেই মুখ বাড়িয়ে ফোনের কাছে আসলেন। যে মুখে নেই এতটুকুন বিরক্তির ছাপ। থাকবেই বা কেন! ভালোবাসা আর ভালো
প্রথম দেখা বন্ধুর মৃতমুখ

প্রথম দেখা বন্ধুর মৃতমুখ

ফাহমিদা ফাম্মী কেন জানিনা মৃত মুখ দেখতে ইচ্ছে হয় না আমার, সেই ছেলেবেলা থেকেই। যদিও হাসপাতালের পাশে বাসা হওয়ায় আম্মুর কল্যাণে প্রায়ই শুনতাম রোগীদের মৃত্যু সংবাদ। একবার কাছের এক চাচা মারা গেলেন। কিন্তু আমি দেখতে গেলাম না। আমার মনে হতো মানুষটার জীবিত স্মৃতিটাই থাকুক আমার স্মৃতিতে। মৃত চেহারাটা দেখে আর পরিচিত চেহারায় দাগ লাগানোর দরকার কি। তাই এই এড়িয়ে চলা। কলেজে পা দিতেই নতুন নতুন মেয়ের সাথে পরিচয় হল। তেমনই একমুখ পূজা। কমন রুমে অনেক সময় পার করেছি। সেই সময়টায় পূজার সাথে পরিচয়। তবে তেমন ঘনিষ্টতা হয়নি। মেয়েটা ব্লু বার্ড স্কুলের ছিল। বেশিরভাগ সময়ই সায়েন্স বিল্ডিং এর বারান্দায় বসেই বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিত। পূজাকে যতদিন দেখেছি হাসিখুশি চেহারায় দেখেছি। কখনও মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখিনি। প্রায় দেখতাম সহপাঠি শারমিনের সাথে বসে খিলখিল করে হাসছে অথবা গল্প করছে। কমন রুমেও একই অবস্থা। মাঝে সাঝে ক্লাসেও দেখ
বাস্তব-অবাস্তব

বাস্তব-অবাস্তব

শবনম সুরিতা কিছুক্ষণ আগে একটা ভিডিও দেখে আঁতকে উঠলাম। পুরো ভিডিওটা সাহস করে দেখে উঠতে পারিনি। ভয়, রাগ, ঘেন্না হচ্ছিল। একই সাথে কোথাও যেন খুব পরিচিতও ঠেকছিল। একটা মেয়ে। বয়স খুব বেশি হলে ২০-২২ হবে। মাটিতে পড়ে কাঁদছে, কাতরাচ্ছে। আর একজন পুরুষ তার শরীরের সমস্ত শক্তি এক করে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে মেয়েটাকে। মারতে মারতে কখনো টেনে ধরছে তার চুল। লাঠির সাথে হাত-পা’ও থেমে নেই মোটে। চড়-লাথির অবিরাম বর্ষণ ল্যাপটপের পর্দায় স্পষ্ট। আশ্চর্য বিষয়, মেয়েটা একবারও নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে না। ঘরের এক কোণ থেকে আরেক কোণায় ঘষটে ঘষটে নিয়ে যাচ্ছে তার শরীরকে অথচ পালানোর কোন লক্ষণ দেখা যাচেছ না তার মধ্যে। উলটে দু-এক ঘা দেওয়া তো আরও দূূরের কথা। গতকালই এক বন্ধুকে থমকে দিয়েছিলাম আমার দেশের রাজধানী, দিল্লীতে থাকাকালীন আমার সাথে ঘটা কিছু ঘটনার গল্প শুনিয়ে। তার ভয় পাওয়াটা বড় কোন বিষয় নয়। মানুষ ভয় পাবে এটাইতো স্বাভাবিক। আমি
বাবা বলতেন, কিশোরগঞ্জ ভালবাসার আশ্রয়

বাবা বলতেন, কিশোরগঞ্জ ভালবাসার আশ্রয়

ধ্রুবনারায়ণ চৌধুরী আমার পৈত্রিক ভিটে। কখনও সেখানে যাওয়া হয়নি। কিন্তু বাবা (প্রয়াত নীরদচন্দ্র চৌধুরী)-র কাছে গল্প শুনে শুনেই কিশোরগঞ্জ আমার অস্তিত্বের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছে। মনে হয়, চোখ বন্ধ করলেই যেন ওখানকার মাটির গন্ধ পাব। আশৈশব গল্প শুনে শুনে চিনে ফেলা সেই জায়গার আজকের এই অচেনা ছবিটা আমাকে অস্থির করে তুলছে। এক মুহূর্তও স্বস্তি পাচ্ছি না। যে জায়গায় ঘটনাটা ঘটেছে, সেখানকার গল্পও বাবার কাছে শুনেছি। কী ভাবে অসংখ্য মানুষ নমাজ পড়তেন, কী ভাবে নমাজের পরে জড়িয়ে ধরতেন একে অপরকে, তার প্রত্যেকটা ধাপ আমার জানা। গল্প বলতে বলতে বাবা অনেক সময় খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তেন। বলতেন, ‘‘কিশোরগঞ্জ হলো ভালবাসার জায়গা। ওখানে মানুষ মানুষকে বড় বেশি বিশ্বাস করে...।’’ আজ মনে হচ্ছে, এই কি সেই বিশ্বাসের নমুনা? আচমকাই এতটা বদলে যেতে পারে কোনও জায়গা? নাকি বদলের বীজটা অনেক আগেই পোঁতা হয়ে গিয়েছিল? কিশোরগঞ্জে মুসলি