অপহরণ, তিন মাস ধর্ষণ, পালিয়ে বাঁচলো কিশোরী - Women Words

অপহরণ, তিন মাস ধর্ষণ, পালিয়ে বাঁচলো কিশোরী

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক কিশোরীকে (১৫) অপহরণের পর তিন মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত আকলিমা বেগমকে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (১৯ জুন) দুপুরে অভিযুক্ত ওই নারীকে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর বোন বৃহস্পতিবার রাতে বাদী হয়ে ওই নারীসহ চার জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার অপর আসামিরা হচ্ছে, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার মাটিভাঙ্গা গ্রামের সহিদ শেখ ওরফে সুমন, একই থানার মাহমুদকান্দি গ্রামের সরোয়ার ফরাজীর ছেলে রেজাউল ফরাজী এবং আকলিমার স্বামী সাহিদ শেখ।

মামলার বাদী বলেন, মায়ের মৃত্যুর পর ছোট বোনকে নিয়ে তারা দাদার বাড়িতে থাকতেন। বাবা ঢাকায় কাজ করতেন। দাদা-দাদী মারা যাওয়ার পরে তাদের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় বাসা নেন। বাবা ঢাকায় থাকার কারণে ছোট বোনকে বাড়িতে ফুফু সম্পর্কের আকলিমাকে দেখা-শোনার জন্য বলেন। বাড়িতে আকলিমার ভাসুর সুমনসহ পরিবারের অন্যান্য স্বজনরা যাতায়াত করত। সেই সুবাদে আসামিদের সঙ্গে আমার বোনের পরিচয় ছিল। সেই সূত্র ধরে গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় সুমন মোবাইলে আমার বোনকে বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর দেখা করতে বলে। সেখান থেকেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সুমন, রেজাউল ফরাজী, আকলিমা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিন জন মিলে তাকে অপহরণ করে। এরপর মোটরসাইকেলে করে পিরোজপুর নিয়ে সুমনের বাড়িতে আটকে রাখে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৭ মার্চ রাতে সুমন জোরপূর্বক আমার বোনকে ধর্ষণ করে। এরপরে প্রায় তিন মাস বাড়িতে আটকে রেখে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ করে। গত ১০ জুন কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ি এসে এই ঘটনা জানায় আমার বোন। এরপরই এই মামলা করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৈয়বুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে সহায়তাকারী আকলিমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামিদের গ্রেফতারর জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।