গোপন ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে দুই বছর ধরে স্কুলের শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ভারতের দক্ষিণ দিল্লির বেসরকারি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বুধবার সরিতা বিহার থানায় অভিযোগ করেন ২৭ বছরের ওই শিক্ষিকা। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার চিন্ময় বিসওয়াল জানান, নির্যাতিতার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভয় দেখিয়ে বিগত কয়েক বছর তার ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। আমরা ওই শিক্ষিকার বয়ান নথিভুক্ত করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষক রাকেশ সিংহকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দায়ের করা এফআইআরে তার ওপর চলা অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন ওই নির্যাতিতা। এফআইআরে তিনি জানান, ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০১৭ সালের জুনে। সে দিন স্কুল-টাইমের পর অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার ছুতোয় প্রধান শিক্ষক তাকে ডেকে পাঠান। তাকে অন্য ঘরে বসতে দিয়ে পানীয় দেয়া হয়। মাদক মেশানো সেই পানীয় খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শিক্ষক। সেই ঘটনার ভিডিও করে রাখেন তিনি।
এরপর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শিক্ষিকাকে গত দু’বছর ধরে নিজের ‘দাবি’ মেটাতে বাধ্য করেন তিনি। চলতি বছর জুন পর্যন্ত স্কুলের মধ্যেই একাধিকবার তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। সেই কাজে প্রধান শিক্ষককে ওই স্কুলেরই দুই শিক্ষিকা সাহায্য করতেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। যৌন নির্যাতনের ফলে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে ওই শিক্ষিকারা তাকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন, এমন অভিযোগও জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
দু’বছর ধরে এমনটা চলার পর বাড়ির লোককে সমস্ত ঘটনা জানান ওই শিক্ষিকা। তারপরই অভিযোগ করা হয় পুলিশে। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ওই শিক্ষক নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন।