প্যারা অলিম্পিকের পরেই স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করবেন ভারভোর্ট - Women Words

প্যারা অলিম্পিকের পরেই স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করবেন ভারভোর্ট

প্রকৃতি তাঁর প্রতি বৈরি ছিলো। তবুও শত বাঁধা উপেক্ষা করে তিনি এক জীবনে অনেক পদক জিতেছেন। ভেঙে দিয়েছেন অনেকগুলো রেকর্ড। কিন্তু রোগ যন্ত্রণার সঙ্গে লড়াইয়ে আর পেরে উঠছেন না অলিম্পিকে সোনা জয়ী মারিয়েকে ভারভোর্ট। চলতি বছরই স্বেচ্ছামৃত্যুর মাধ্যমে জীবনাবসান করতে আবেদন করতে যাচ্ছেন অলিম্পিকে একাধিক পদকজয়ী এই অ্যাথলিট।

রিওয় আজই শুরু হল প্যারা অলিম্পিকের আসর। সেখানেও দেখা যাবে মারিয়েকে। কিন্তু এটাই তাঁর শেষ অলিম্পিক। ‘রিওর পর আমি ক্যারিয়ারের ইতি টানব। এরপর আমি জীবনকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলতে চাই। যে ক’দিন পৃথিবীতে আছি, আশ মিটিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আমি স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য নিজেকে তৈরি করছি’—জীবনের শেষ অলিম্পিকের আগে জানালেন মারিয়েকে।

লন্ডন অলিম্পিকের হুইলচেয়ার ইভেন্টে ১০০ মিটারে সোনা এবং ২০০ মিটারে রুপা জিতেছিলেন বেলজিয়ামের এই অ্যাথলিট। পরবর্তী ৪ বছরে বহু রেকর্ড ভেঙেছেন। ২০১৫ সালে হয়েছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।

বেলজিয়ামে ইচ্ছামৃত্যু বৈধ। প্রতি বছর সে দেশে প্রায় ১৪০০ মানুষ স্বেচ্ছায় মৃত্যুর জন্য আবেদন করেন। তিনজন চিকিৎসকের একটি বোর্ডের অনুমতি মিললে তবেই গৃহীত হয় আবেদন।

৩৭ বছরের মারিয়েকে বলেন,আমি যে এত দূর আসতে পারব তা কখনও ভাবিনি। তবে আর না, রিওই আমার শেষ স্টেশন।

২০০০ সালে এক দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হন মারিয়েকে। পক্ষাঘাতে একেবারেই পঙ্গু যায় তাঁর শরীরের নিম্নাংশ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই রোগে এতটাই যন্ত্রণা হয় যে, রোগী ঘুমোতেও পারেন না। মরিয়েকের কথায়, সারাদিন যন্ত্রণা নিয়েই ট্রেনিং করতাম। সব মিলিয়ে ১০ মিনিটের বেশি টানা ঘুমোতে পারতাম না। রাতে ঘুমোতে যেতাম আর ১০ মিনিট পর উঠে আবার প্র্যাকটিস শুরু করতাম।

রিওর পরেই ইউথেনেসিয়ার (স্বেচ্ছামৃত্যু) জন্য আবেদন করবেন মারিয়েকে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।