যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করার নির্বাহী আদেশ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছেছে। শনিবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে আদেশের কপি তাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানান কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার নাশির আহমেদ।
তবে মীর কাসেমের ফাঁসি কখন কার্যকর হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য তিনি দেননি। তবে আজ দুপুরের পর থেকে কাশিমপুর কারাগারের চারপাশের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
কারাগারের ফটকে পুলিশের পাশাপাশি অবস্থান নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক র্যাব সদস্য। ফায়ার সার্ভিসের একটা গাড়ি বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কারাগারে ঢুকেছে। আগের রাতেই কারাগারের ভেতরে নিয়ে রাখা হয়েছিল পুলিশের একটি জলকামান।
পুলিশ কারাগারের আরপি চেকপোস্ট সংলগ্ন দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে। কারা ফটকে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। সেখানে উপস্থিত আছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মীও।
এদিকে, মীর কাসেমের সঙ্গে শেষবার দেখা করার জন্য বিকাল সাড়ে ৩টায় কাসিমপুরে পৌঁছান তার পরিবারের সদস্যসহ ৪৫ জন আত্মীয়। কারা কর্তৃপক্ষের ডাক পেয়ে ছয়টি মাইক্রোবাসে করে আসেন তারা।
নাশির আহমেদ জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে মীর কাসেমের স্ত্রী, মেয়ে, পুত্রবধূসহ ৩৮ জনকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পরিবারের শেষ সাক্ষাতের দিনই তাদের ফাঁসি কার্যকর করেছে কর্তৃপক্ষ।