ধর্ষণের অভিযোগে দিল্লির সাবেক নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সন্দীপ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, মন্ত্রী থাকা কালেই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগেই আম আদমি পার্টির এই নেতাকে তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। তার তিনদিন পরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
সন্দীপ কুমার বিবাহিত ও এক সন্তানের পিতা। তাঁর যৌন সম্পর্কের একটি ভিডিও ফুটেজ টেলিভিশনে ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে বরখাস্ত করা হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, আন্ডারওয়্যার পরিহিত অবস্থায় বিছানায় শুয়ে একজন নারীকে তিনি চুমু খাচ্ছেন।
টিভি চ্যানেলে ওই ভিডিওটির সামান্য অংশ দেখানো হয়। কিন্তু বলা হচ্ছেযে, ওই ভিডিওতে তাদের যৌন সম্পর্কের দৃশ্যওে আছে।
ভিডিওটিতে যে নারীকে দেখা যায় তিনি জানান,বছর খানেক আগে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তার অজান্তেই এই ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে।
পানীয়ের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেছেন, সেসময় মন্ত্রী তাকে চাকরির প্রলোভন ও সরকারের বেনিফিট কার্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু বিবাহিত এই নারী সন্দীপ কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। ফলে সন্দীপের বিরুদ্ধে এখন ফৌজদারি মামলাও হতে পারে।
এদিকে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সন্দীপ কুমার । তিনি বলছেন, ভিডিওটি বানানো।
এএফপি আরও বলছে, দলের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই ন’মিনিটের এই ভিডিও ফুটেজটি টিভি চ্যানেলগুলোর কাছে পাঠিয়েছিলেন। তার পরপরই তিনি তাকে দিল্লির মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত করেন।
রাজনীতিতে দুর্নীতির অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে জনগণের ব্যাপক সমর্থন আদায় করেছে আম আদমি পার্টি । তাদের নেতারা সৎ, নীতিবান ও দুর্নীতিমুক্ত বলে দলটি দাবি করেছিলো। কিন্তু সন্দীপের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পর বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে দলটি।
রাজধানী দিল্লিসহ সারা ভারতেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে বড়ো রকমের সামাজিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে, আর এমন সময়েই অভিযোগটি আসল।