ক্রাইসিস ইন লাইফ এবং করণীয় - Women Words

ক্রাইসিস ইন লাইফ এবং করণীয়

শমশের রাসেল

এই লেখাটা পুরোপুরিভাবেই নিজের জীবন এবং অভিজ্ঞতা নির্ভর।। তাই আপনার সাথে না-ও মিলতে পারে।

কম বয়সেই আমাদের শেখানো হয়েছিল জীবনের সুখ-দুঃখ একটা গ্রাফের প্যাটার্ন মেনে চলে। সুখ বা দু:খ একসময় গ্রাজুয়েলি বাড়তেই থাকে, বাড়তেই থাকে। পিক পয়েন্টে না যাওয়া পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকে। সুখের সময়ে আমরা বাকি সব ভুলে যাই, কিন্তু তখনো মাথায় রাখতে হবে দু:খ আবার আসবেই।।

আর খারাপ সময়ে করণীয় একটাই…. মাটি কামড়ে পড়ে থাকা। খারাপ সময়কে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে।। খারাপ সময়ে আপনি যাই করবেন দেখবেন সব আপনার বিপক্ষে যাচ্ছে। মনে মনে ভাবতে হবে সেই গ্রাফের কথা, পিক পয়েন্টে যাওয়ার পরেই আবার সুদিন আসবেই।

আমার যখন খুব বাজে সময় যায় আমি মনে মনে ভাবি, আর কিছু না হইলেও আমার বেহেশত কনফার্ম হইয়া যাইতেছে কারণ মন খারাপ নিয়ে আপনি দুনিয়ার কোন খারাপ কাজই করতে পারবেন না। ইটস অল এবাউট পজিটিভ থিংকিং। যে কোন খারাপ থেকেও সম্ভাব্য ভালো কিছু খুঁজে বের করতে পারাও একটা মস্ত বড় গুণ। যেই খারাপ সময় আপনার জীবনে চলেই আসছে সেইটা নিয়ে হা হুতাশ করে লাভ নেই, এক মেন্টাল স্ট্রেস বাড়ানো ছাড়া। এরচে খারাপ আর কি কি হইতে পারত সেইটা ভেবেই সান্ত্বনা পাওয়া উচিত।।

আমার বড় ভাই ছিলেন আমার মেন্টর। কম বয়সেই উনি কয়েকটা অমূল্য বানী আমার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন।।
১। তার জন্যই গলা পানিতে নামুন যে আপনার জন্য অন্তত হাটু পানিতে নেমেছে।। আপনি গলা পানিতে নেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন অথচ সেই জন পায়ের পাতা ভেজাতে অনিচ্ছুক, অমন ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি আপনাকেই ছোট করছেন।।
২। চাকরির ক্ষেত্রে প্রথম গিট্টু খুলাটাই আসল।। প্রথম কুফা কেটে গেলে একটার পর একটা সুযোগ আসতেই থাকবে।।
যতদিন না গিট্টু খুলছে ভাবতে হবে, প্রতিটা কাজের একটা নির্দিষ্ট সময় আছে।। মাঝরাতে আপনি সূর্যোদয় আশা করতে পারেন না, সময়ের আগে ফুল ফুটবে সেইটাও আশা করা অনুচিত।। যতো দিন না কিছু হচ্ছে নিজের যা করার মানে চেষ্টা করে যেতে হবে।। আপনার চারদিকেই তাকিয়ে দেখুন, কয়জন মানুষ শেষ পর্যন্ত চাকরি/কিছু না করে বসে আছেন??

** আজকের যে সময় আপনার জীবন থেকে চলে যাচ্ছে সেই সময় আর কখনই ফিরে পাবেন না আপনি। চাকরির জন্য জীবন নয়, জীবনটাকে সুন্দর ভাবে কাটানোর জন্যই কিছু করা, অন্যের বিপদে পাশে দাড়ানোর জন্যই এই মানবজীবন।