পুলিৎজার পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফাহমিদা আজিম - Women Words

পুলিৎজার পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফাহমিদা আজিম

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন চিত্রশিল্পী এবং অলঙ্করণ শিল্পী ফাহমিদা আজিম পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন

ইনসাইডার ওয়েবসাইট প্রকাশিত “হাউ আই এসকেপড আ চায়নিজ ইন্টারমেন্ট ক্যাম্প” (যেভাবে একটি চীনা বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে এসেছি) শিরোনামের ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্ট- এ অলঙ্করণের জন্য এ পুরস্কার জিতে নেন তিনি।

সাংবাদিকতা ও প্রকাশনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সবচেয়ে সম্মানজনক সম্মাননা হিসেবে বিবেচিত হয় এই পুরস্কার।

এর আগে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী পনির হোসেন ২০১৮ সালে রয়টার্সের পাঁচ ফটো-সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিৎজার জিতেন।

তবে ফাহমিদা হচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক যিনি পুলিৎজার পুরস্কার পেলেন।

ফাহমিদা আজিম এর আগে “সামিরা সার্ফ” বইয়ের অলঙ্করণের জন্যে এ বছরই “গোল্ডেন কাইট” পুরস্কার পান।

২০২০ সালে “মুসলিম উইমেন আর এভরিথিংস” এবং ২০২১ সালে “আমিরার পিকশ্চার ডে” গ্রন্থের প্রচ্ছদ করার জন্যও তিনি পুরস্কার পেয়েছিলেন।

এর আগে নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য নিউ ইয়র্কার, সায়েন্টিফিক আমেরিকান, দ্য ইন্টারসেপ্ট, এন্টারটেইনমেন্ট উইকলিতে তার ইলাস্ট্রেশন ছাপা হয়।

কম্যুনিকেশন্স আর্টে পড়াশোনা শেষে এবং বর্তমানে ওয়াশিংটন স্টেটের সিয়াটলে একটি কোম্পানিতে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে চাকরি করছেন ফাহমিদা আজিম।

ছয় বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় এসে লেখাপড়া শুরু করেন ফাহমিদা। শৈশব থেকেই তার স্বপ্ন ছিল খ্যাতনামা একজন চিত্রশিল্পী হওয়ার।

উল্লেখ্য, ১৯১৭ সাল থেকে পুলিৎজার পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ১৯১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র প্রকাশক জোসেফ পুলিৎজারের মৃত্যুর পর তার উইল অনুসারে এবং দান করা সম্পদ দিয়ে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতার স্কুল চালু করা হয় এবং এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।

শুরুতে সাংবাদিকতায় চার বিভাগে, চিঠিপত্র ও নাটকের জন্য চার বিভাগে, শিক্ষায় একটি পুরস্কার এবং পাঁচটি ভ্রমণ বৃত্তি দেওয়া হত।

বর্তমানে সংবাদমাধ্যমে সাংবাদিকতা, লেখালেখি ও আলোকচিত্রের জন্য ১৫টি বিভাগে এবং বই, নাটক ও সংগীতের জন্য সাতটি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন