বিশ্লেষণ Archives - Women Words

বিশ্লেষণ

মানুষ গড়ে প্রতিদিন পরনিন্দা করে ৫২ মিনিট

মানুষ গড়ে প্রতিদিন পরনিন্দা করে ৫২ মিনিট

গল্প করতে না পারলে শন্তি থাকে না অনেকের মনেই। গল্প করেই সবচেয়ে ভালো সময় কাটানো যায়। স্কুল, কলেজ, অফিসসহ সব জায়গাতেই টাইম পাস করার জন্য আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি গল্প বা আড্ডা দিয়ে থাকি। আবার অনেকের গল্প করতে না পারলে সারাদিনের খাবার হজম হয় না। এমন মানুষের সংখ্যাও খুব একটা কম নয়। কিন্তু এই গল্প নিয়ে সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় এ নিয়ে একটি গবেষেণায় চালিয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণায় ওঠে এসেছে একজন মানুষ প্রতিদিন মোট ৫২ মিনিট গল্প করেন। প্রথমে গবেষণায় কিছু মানুষকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মানুষ কোন সময় বেশি গল্প করে? গল্পে বা আড্ডায় কী কী বিষয়ে গল্প করতে মানুষ পছন্দ করেন? পরে এগুলি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই ৫২ মিনিটের তথ্য সামনে আসে গবেষকদের। এরই সঙ্গে বলা হয়েছে, কম বয়সিরা নেতিবাচক গল্প করতে পছন্দ করেন। ক্যালিফোর্নিয়া রিভার
বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ: নেপথ্যে নানা কারণ দেখছেন মনোবিজ্ঞানীরা

বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ: নেপথ্যে নানা কারণ দেখছেন মনোবিজ্ঞানীরা

ঢাকার দু'টি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতিবছর ৫ হাজার ১৪৩টি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। দুই কর্পোরেশনের তালাক রেজিস্ট্রি দপ্তর জানাচ্ছে – দিন দিন ভয়াবহ আকারে বেড়েই চলেছে বিবাহবিচ্ছেদ। ঢাকায় এর প্রবণতা ইতিমধ্যেই ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এরমধ্যে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে প্রভাবশালী ও তারকা পরিবারও রয়েছে। বিচ্ছেদের দুই-তৃতীয়াংশ নোটিশই আসছে নারীর কাছ থেকে। আর ঢাকা শহরের তুলনায় সারাদেশে এই চিত্র আরও ভয়াবহ। বিবাহবিচ্ছেদের নেপথ্যে নানা কারণ দেখছেন মনোবিজ্ঞানীরা। ‘‘পারিবারিক, সামাজিক বন্ধন দুর্বল হচ্ছে ক্রমশ। যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে মানুষ। ভালোলাগা-ভালোবাসাও যাচ্ছে কমে। ফলে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ,’’ বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তানিয়া হক। দেখছেন মনোবিজ্ঞানীদের মতে, নির্যাতন, মাদকাসক্ত, সন্দেহ প্রবণতা, একে-অপরের অবাধ্য হওয়া, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে না চলা, পুরুষ নির্ভরশীলতা কমে যাওয়া, আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি,
নববর্ষে যৌন হয়রানি: মেয়েদের নিরাপত্তা কি বেড়েছে?

নববর্ষে যৌন হয়রানি: মেয়েদের নিরাপত্তা কি বেড়েছে?

শায়লা রুখসানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল। টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকের সামনে তখনো বিকেলের আলো । গেটের ভেতরে ও বাইরে হাজার হাজার মানুষ। তার মাঝেই কিছু যুবক বাংলা নববর্ষের উৎসবে আসা মেয়েদের শরীরে হাত দিতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেকের পরনের কাপড় টেনে ছিড়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে সেইদিন। মানুষের ব্যাপক ভীড়ের মাঝে হারিয়ে যায় আক্রান্তু মেয়েদের চিৎকার। ঘটনার পর কয়েকদিন জুড়ে সংবাদমাধ্যমে উঠে আসতে থাকে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের খবরাখবর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে ঘিরেই যেহেতু বড় বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়, তাই বিশেষ দিনগুলোতে সেখানেই দেখা যায় হাজারো মানুষের ভিড়। আর ভিড়কেই টার্গেট করে নিপীড়ণকারীরা। মেয়েদের নিরাপত্তার পরিবেশ কতটা? ২০১৫ সালে বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে মেয়েদের ওপর একের পর এক যৌন হামলাকে নজিরবিহীন বলেছেন অনেকেই। কিন্তু
‘নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা…’

‘নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা…’

ফেরদৌসি বিকন নজরুল তাঁর ‘নারী’ কবিতায় ছন্দে ছন্দে নরনারীর মিলনে নারীর উষ্ণ, বর্ধিষ্ণু প্রেমের উদ্দীপ্ত, মোহনিয়া ভাবটি ব্যক্ত করেছিলেন এভাবে- নারীর বিরহে, নারীর মিলনে, নর পেল কবি-প্রাণ, যত কথা তার হইল কবিতা, শব্দ হইল গান। দিবসে দিয়াছে শক্তি সাহস, নিশীতে হ’য়েছে বধূ, পুরুষ এসেছে মরুতৃষা লয়ে, নারী যোগায়েছে মধু। নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা, সুধায় ক্ষুধায় মিলে, জন্ম লভিছে মহামানবের মহাশিশু তিলে তিলে!’ বিদ্রোহী কবির ভাবে এই সুরই স্পষ্ট হয়ে বেজে উঠে যে, সাংসারিক প্রেম এবং ভালোবাসার বন্ধন পরিত্যাগ করে বৈরাগ্যের সাধনায় ব্রতী হওয়ায় নরনারীর মুক্তি নয়। অন্যথায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতা, গান এবং লেখনীর মধ্য দিয়ে নানাভাবে এই সত্যকেই স্পষ্টতর করে তুলতে চেয়েছিলেন যে, পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য এবং মায়া মমতা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে জীবনের একাকীত্বের মধ্যে মানুষের মুক্তি নেই। নারী এব
ফুটবলের মাশরাফি টু মুস্তাফিজ খুঁজতে গ্রামের পথে প্রান্তরই চষে বেড়াতে হবে

ফুটবলের মাশরাফি টু মুস্তাফিজ খুঁজতে গ্রামের পথে প্রান্তরই চষে বেড়াতে হবে

আরিফ জেবতিক কাজী সালাউদ্দিন যখন ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব নেন, তখন আরো অনেকের মতো আমিও আশাবাদী হয়েছিলাম। তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের সোনালি ইতিহাসের জন্য নয়, বরং ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁর এবং সালাম মুর্শেদীর সাফল্য আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছিল যে তাঁদের ম্যানেজমেন্ট স্কিল ভালো, তাঁরা ফুটবলের সংকট সমাধানের পথে যেতে পারবেন। সালাউদ্দিন দায়িত্ব নেয়ার পরে যে এপ্রোচ নিয়েছিলেন, সেটি ছিল ফুটবলের হাইপ তৈরি করা। প্রথমেই তিনি মেসির দলকে নিয়ে এনে ঢাকায় গেম খেলালেন, তারপর অনেকগুলো ধারাবাহিক কাজকর্ম করলেন যেগুলো মূলত হাইপ তুলে ফুটবলকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা। দেখাই যাচ্ছে যে এই হাইপ কাজে লাগেনি। সাফল্য এলে স্টারইজম তৈরি হয়, সাফল্য না এলে মিডিয়া কারুকাজ করে স্টারইজমকে খানিক সময়ের জন্য দোলানো যায়, কিন্তু বাতাস শেষে ঠিকই নেতিয়ে পড়ে। ফুটবল ফেডারেশনের তাই এখন উচিত হচ্ছে আগের কাজ আগে করা। এসব চলতি খেলোয়াড়দের দৌঁড় আমাদের জানা
ভেতরকার পার্টিশন বাঙালিকে বাঁচতে দেবে তো?

ভেতরকার পার্টিশন বাঙালিকে বাঁচতে দেবে তো?

শবনম সুরিতা ডানা সময়ের সাথে বাড়ছে বয়স। সাথে তাল মিলিয়ে অবসরও। আমার অবসর মস্তিষ্কেই বিবিধ চিন্তা ভালো খেলে সাধারণত। এমনই কোন অলস দুপুরে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ নিয়ে ঢালাও ভাবনা-চিন্তা সাজাচ্ছিলাম, একান্তে। যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাইছিলাম কেন আমাদের সামাজিক চিন্তা বরাবরই অতীত আর ভবিষ্যতেই সীমাবদ্ধ। বর্তমানের ভূমিকা কেন সেখানে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম। বর্তমান নিয়ে যারা ভাবেন, তারা মোটেও বর্তমানের জন্য ভাবেন না। বর্তমানে পা রেখে সূত্র ধরেন অতীতের। আর বোঝাতে চান, বুঝতে চান ভবিষ্যৎ। বর্তমান সেখানে শুধুই বিশেষত্বহীন সময় হয়ে থেমে থাকে। প্রাণহীন, একা। বিষয়টা খোলসা করতে নিজেই নিজেকে কিছু উদাহরণ দিয়েছিলাম, সেই সূত্র ধরেই শুরু করি তবে। সামাজিক বিবর্তনের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ নিয়ে গড়ে ওঠা প্রায় সব আলোচনায় খুঁজে পাওয়া যায় মেয়েদের জীবন, অধিকার ইত্যাদি। আমার মাথার
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ইউনেস্কো’র আনুষ্ঠানিক আপত্তি!

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ইউনেস্কো’র আনুষ্ঠানিক আপত্তি!

রামপালে প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানিয়েছে ইউনেস্কো। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) বাংলাদেশ সরকারকে ৫০ পৃষ্ঠার এক লিখিত প্রতিবেদনে এই আপত্তির কথা জানিয়েছে। ইউনেস্কো বলেছে, রামপালে প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরকার যে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (এভায়রনমেন্টাল ইমপ‌্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট বা সংক্ষেপে ইআইএ) করেছে, সেটিও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি বা অসম্পূর্ণ রয়েছে। এজন্য ইউনেস্কো'র ওই লিখিত প্রতিবেদনের বিষয়ে আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে সরকারের মতামত চেয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রামপাল থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেবার জন্য সরকারকে পরামর্শও দিয়েছে ইউনেস্কো। আগামী ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর ফ্রা
রাষ্ট্রীয় ভঙ্গুরতা সূচক ও সাম্প্রতিক বাংলাদেশ

রাষ্ট্রীয় ভঙ্গুরতা সূচক ও সাম্প্রতিক বাংলাদেশ

প্রতি বছরের ন্যায় যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ফান্ড ফর পিস’ ২০১৬ সালের ভঙ্গুর দেশের ইনডেক্স প্রকাশ করেছে। ১৭৮ টি দেশের এ তালিকায় ১ম স্থানে অবস্থান করছে পৃথিবীর সবচেয়ে ভঙ্গুর দেশ সোমালিয়া এবং শেষ অবস্থানে আছে সবচেয়ে সুস্থিত দেশ ফিনল্যান্ড। বাংলাদেশের অবস্থান ৩৬তম। গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩২। সে তুলনায়, এ প্রতিবেদন অনুযায়ী গত এক বছরে বাংলাদেশের ভঙ্গুরতা কমেছে। এ থেকে আমরা আসলে কী বুঝতে পারি? এটা কি কোনভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন নির্দেশ করে? এ থেকে বাংলাদেশ কী ধরণের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে? এ ধরণের প্রশ্নগুলো সামনে চলে আসে। এ প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে আমাদেরকে জানতে হবে এই ভঙ্গুরতা বলতে কী বুঝায়। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের ভঙ্গুরতার কী ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে তা না বুঝে এ বিষয়ে কোন উপসংহারে পৌঁছানোও ঠিক হবে না। ফান্ড ফর পিস মূলত চারটি বিষয় ভিত্তিক সূচকের উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রের ভঙ
ব্রেক্সিটঃ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্যাস্ত?

ব্রেক্সিটঃ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্যাস্ত?

একটা সময় ছিলো যখন বলা হতো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনও সূর্যাস্ত হয় না। অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো ব্রিটিশ কলোনি। সেই দিন এখন আর নেই। ২৩ জুন, ২০১৬। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিশেষ দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই দিনে গণভোটে ব্রিটেনের প্রায় ৫২ শতাংশ (ভোটে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে) মানুষ ব্রিটেনকে ইউরোপিয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে মত দিয়েছে। ইউকে আর ইইউ এ থাকছে না। এর ফলে, অনেক গুলো বিষয় আলোচনায় ও বিবেচনায় আসছে। প্রথমত, যুক্তরাজ্যের নিজের অখন্ডতা এখন প্রশ্নের সম্মুখীন। ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ড পার্লামেন্টের একটি বিলের পরিপ্রেক্ষিতে স্কটল্যান্ড যুক্তরাজ্যে থাকবে কি না সে বিষয়ে একটি গণভোট হয়েছিল। সেই নির্বাচনে প্রায় ৫৫ ভাগ ভোটার যুক্তরাজ্যের পক্ষে মত দিয়েছিল বলে স্কটল্যান্ড এখনও যুক্তরাজ্যের অংশ। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে থাকার সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্কটল্যান্ড পার্লামে
ব্রিটেনের বিদায়: এবার আত্মসমালোচনার পালা ইইউ’র

ব্রিটেনের বিদায়: এবার আত্মসমালোচনার পালা ইইউ’র

অভাবনীয় কাণ্ড ঘটে গেছে৷ ব্রিটেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইইউ ছেড়ে চলে যেতে চান৷ ক্রিস্টফ হাসেলবাখ মনে করেন, এই গণভোট সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিশোধস্পৃহা দেখানো শোভা পায়না৷ এই ফলাফল সবার জন্যই একটা বিপর্যয়৷ এই সিদ্ধান্ত শুধু পরাজয়ের গ্লানি এনে দিয়েছে৷ ব্রেক্সিটপন্থিরা নিজেদের স্বাধীন মনে করতে পারেন৷ কিন্তু তাঁরা দ্রুত বুঝতে পারবেন, যে সেই স্বাধীনতা মোটেই বাস্তবসম্মত নয়৷ দেশ আরও দরিদ্র হয়ে পড়বে৷ তার চেয়েও জরুরি বিষয় হলো, ব্রিটেনের অখণ্ডতা আর না-ও বজায় থাকতে পারে, কারণ, স্কটল্যান্ডের বেশিরভাগ মানুষ ইইউ-তে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ ফলে তাঁরা ব্রিটেন থেকে বিচ্ছিন্ন হবার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন৷ এক ঐক্যবদ্ধ আয়ারল্যান্ডের ডাকও জোরালো হয়ে উঠতে পারে, কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহির্সীমানা এবার আয়ারল্যান্ডের মধ্য দিয়ে আঁকা হবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি অংশেও চরম পরিণতি হতে পারে৷ ইইউ তহবিলে অর্থ দিয়ে আসছে,