শিল্প ও সাহিত্য Archives - Women Words

শিল্প ও সাহিত্য

চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর

চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর

কিংবদন্তিতুল্য কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের জীবনাবসান হল। মৃত্যূকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। রোববার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন লতা। গত মাসের শুরু থেকেই চিকিৎসক প্রতীত সমধানীর অধীনে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন লতা। প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কোভিড নেগেটিভ হলেও পরে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আশার আলো দেখছিলেন চিকিৎসকেরাও। তবে শনিবার দুপুরে চিকিৎসকেরা জানান, গায়িকার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তখন থেকে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। ভক্ত, পরিবারের সবাই তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে থাকেন। শনিবার সন্ধ্যাবেলা দিদি লতাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান আশা ভোসলে। লতার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমেছে ভারত, এমনকি বাংলাদেশে। লতার মৃ
বাংলা একাডেমির সভাপতি হলেন সেলিনা হোসেন

বাংলা একাডেমির সভাপতি হলেন সেলিনা হোসেন

একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তার এই নিয়োগ আগামী তিন বছরের জন্য। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩’ এর ধারা-৬(১) এবং ৬(৩) অনুযায়ী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে সেলিনা হোসেন এই নিয়োগ পেয়েছেন। যোগদানের তারিখ থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর বাংলা একাডেমির সভাপতি ভাষাসংগ্রামী, শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম মারা যান। তার মৃত্যুর পর সভাপতির পদটি শূন্য হয়। সেলিনা হোসেন একাধারে কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, গবেষক এবং প্রাবন্ধিক। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি একাধিক মেয়াদে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। উপন্যাসে অবদানের জন্য ১৯৮
অভিনেত্রী শাওলি মিত্রের প্রয়াণ

অভিনেত্রী শাওলি মিত্রের প্রয়াণ

বিখ্যাত অভিনেত্রী শাওলি মিত্র হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। সবার চোখের আড়ালে চিরবিদায় নিলেন নাট্য দুনিয়ার প্রথম সারির এ অভিনেত্রী। তিনি ছিলেন মঞ্চদুনিয়ার দিকপাল ব্যক্তিত্ব। রোববার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যা। এ দিন দুপুরে সিরিটি মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শেষ ইচ্ছাপত্রে ‘নাথবতী অনাথবৎ’ কন্যা জানিয়ে গিয়েছিলেন, দাহকার্যের পর তাঁর মৃত্যুর খবর যেন জানানো হয় সবাইকে। তাঁর শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকর্মী এবং রাজনীতিবিদ অর্পিতা ঘোষ। বাবা শম্ভু মিত্রের মতোই মৃত্যুর পরবর্তী নিয়ম বিধি প্রকাশ করে গেলেন তিনি। ফুলের ভারে তাঁর দেহ যেন সেজে না ওঠে এমনই নির্দেশ ছিল তাঁর। প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব শেষ ইচ্ছাপত্রে তাঁর মানস-পুত্র এবং কন্যা সায়ক চক্রবর্তী এবং অর্পিতা ঘোষের উপরেই তাঁর দাহকার্যের ভার দিয়ে
তুলতুলের তুতুন

তুলতুলের তুতুন

মিতু বালা শপিংমলে প্রবেশ করতেই তুলতুলের নজরে এলো সাদা দাড়ি বিশিষ্ট স্থূলকায় হাস্যমুখর এক ব্যক্তির। পরনে ছিল সাদা কলার ও কাফযুক্ত লাল কোট, সাদা কাফযুক্ত লাল ট্রাউজার্স, কালো চামড়ার বেল্ট ও বুটজুতো।আর কাঁধে বিশাল এক ঝোলা । এমন কিম্ভূতকিমাকার চেহারা বিশেষত তার ঐ আলখাল্লার মতো পোশাকটা দেখে তুলতুলের  চিনতে অসুবিধা হলো না ; এই তো সেই সান্টাক্লজ ! টেলিভিশন আর মোবাইলের পর্দায় সে তো বহুবার সান্টাকে দেখেছে। না,তার চিনতে একদম ভুল হচ্ছে না। জীবন্ত সান্টাকেই সে দেখছে। তবে সান্টা শপিংমলে কি করছে ? তখন ওর  মনে হলো, আরে কিছুদিন বাদেই তো বড়দিন। এ সময়তো সান্টা ভালো ছেলেমেয়েদের বাড়ি ঘুরে ঘুরে উপহার দিতে আসেন। শিশুদের আচরণ অনুযায়ী তাদের  একটা তালিকাও প্রস্তুত করেন  । আর এদের  একদলে থাকে দুষ্ট বাচ্চারা, অন্যদলে লক্ষ্মী বাচ্চারা।  তারপর খ্রিষ্টমাস ইভের রাতে তিনি লক্ষ্মী ছেলেমেয়েদের জন্য খেলনা, লজঞ্
মোহঘোর

মোহঘোর

মিতু বালা আজ লিথিলার বিয়ে।মিষ্টি সুরে সানাই বাজছে। সানাইয়ে’র সুর মেঘের মতো উড়ে উড়ে জানান দিচ্ছে বিয়ের। আমার ব্যালকনি থেকে ওদের টিনের বাড়িটা দেখা যায়। টিনের গায়ে গাঢ় আকাশী রঙের প্রলেপের জন্য বাড়িটা দূর থেকেই চকচক করে। বিয়ের সাজে আজকে বাড়িটাকে আরো বেশি রঙিন মনে হচ্ছে। কাক ভোরে দধি মঙ্গলের আয়োজন হয়েছিল; শঙ্খধ্বনি,  উলুধ্বনির আওয়াজে ঘুম ভেঙেছিল আমার। এখন, গায়ে হলুদ উপলক্ষ্যে কলসি কাঁখে জল আনতে পুকুরে যাচ্ছে সবাই। গায়ে হলুদের জল আনতে গিয়ে হঠাৎ দু’ মিনিটের ঝুম বৃষ্টির জল সবাইকে সিক্ত করে দিলো। পাশেই ঘাটলা বাঁধা একটা পুকুর আছে। ছোটবেলা থেকে পুকুরটা দেখছি। পুকুরটা এখনও জীবিত। শুনেছি পুকুরের মালিকানা বহুজনের নামে। ভাগবাটোয়ারা করলে খুব সামান্য অংশ সবাই পাবে। হয়তো-বা এজন্যই পুকুরটার অস্তিত্ব এখনও আছে। বরে’র বাড়ি থেকে বরে’র গায়ে মাখানো হলুদ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে সবার হৈচৈ লেগেছে। এবং নানা স্ত্র
‘ধর্ষণের শেষপর্ব’

‘ধর্ষণের শেষপর্ব’

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা বিবেকবানদের  নাড়া দিয়েছে। দেশজুড়ে চলছে ধর্ষণের প্রতিবাদ। এর মধ্যেও থেমে নেই ধর্ষণ। এসব ঘটনা দাগ কেঁটেছে খ্যাতিমান কবি নির্মলেন্দু গুণকে। আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) বেলা দেড়টার দিকে তিনি নিজের ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি ধর্ষকদের ক্রসফায়ারের দাবি তুলেছেন। একের পর এক ধর্ষণের সংবাদ আর সইতে না পেরে দেওয়া কবির ফেসবুক স্ট্যাটাস উইমেন ওয়ার্ডস-এর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘ধর্ষণের শেষপর্ব ধর্ষণের বিরুদ্ধে এইবার মানুষ যেভাবে সোচ্চার হয়েছে, তেমনটি পূর্বে কখনও হয়নি। জাতি এখন ক্রস-ফায়ারের অপেক্ষায় আছে। মনে হচ্ছে, ধর্ষণকে "না" ও ক্রস-ফায়ারকে "হ্যাঁ" বলার জন্য বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। মাদকবিরোধী অভিযানে যদি শত শত ক্রস-ফায়ার চলতে পারে, ধর্ষণবিরোধী অভিযানে কেন নয়? আমরা ধর্ষণের শেষ দেখতে চাই। অনেক সয়েছি, আ
বৃষ্টি বিরতি

বৃষ্টি বিরতি

নমিতা দাশ বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা টপ টপ করে পরে ভিজে গেছে সারা পথ, নিরালা বৃষ্টি। অথৈ জলে ভিজে মাটির উঠানে ডানা ঝাপটাচ্ছে হাঁস। কেউ কেউ একটু দূরে সরে একাই দাঁড়িয়ে আছে, যেনো বৃষ্টিতে ভিজাটা একটুও উচিত হয়নি। মাটির পথ ধরে হাঁটছি - থেমে যাবে একটু পরে নিশ্চয়ই। বৃষ্টি তো এখন আর বেশিক্ষন বেঁচে থাকে না। অল্প দম। সকালে নদী পার হওয়ার সময় কি ঝকঝকে রোদ ছিলো, কমিনিউটির স্যাঁতস্যাঁতে রুম থেকে বসে আকাশটাও কি আলো-হাসি মাখা পরিস্কার দেখা যাচ্ছিলো। ৬০ তম রোগীর সিরিয়াল শেষ করে বের হতে কিছু তো সময় লাগেই। তাতেই আকাশ জল ছেড়ে দিলো। হাঁটতে তো হবেই। এখানে রিক্সা কোথায়? প্রায় এক মাইল পথ প্রতিদিন হেঁটে তারপর নৌকায়। সেখান থেকে সিএনজি, ল্যাগুনা যা পাওয়া যায়। সমস্যা হচ্ছে প্রতিদিন সেখানে কিছু না কিছু ঝামেলা লেগে থাকে - ল্যাগুনা আর সিএনজি চালকদের মাঝে। গ্রামের বড় বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে এই বাজার প্রায় ৩ কিলোমিটার
ছোবল

ছোবল

মিতু বালা মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে ওঠা ভয়েস ম্যাসেজটা বার বার শুনছে ;এতোবার শুনছে যে ওর দাদা ক্ষিপ্ত হয়ে  মোবাইলটা নিয়ে গেলো। এইটুকু বয়সে তোর কিসের ম্যাসেঞ্জার? আদরে বাঁদর হচ্ছিস দিনে দিনে। আজ থেকে তোর ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করা খতম। ঋতু উৎকন্ঠিত হয়ে বলতে লাগলো, “দাদা,দাদা…প্লিজ ডিলিট করিস না! ” কে শোনে কার কথা, ওর দাদা মোবাইলটা হাতে নিয়েই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দিলো। ঋতু এক দৌড়ে নিচে  নেমে গেলো মায়ের কাছে ; ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে আরম্ভ করলো। বিড়বিড় করে নালিশ জানালো দাদার বিরুদ্ধে। মা সান্ত্বনার সুরে  বললো,কাঁদিস না মা। তোর বাবা এক্ষুনি বাড়ি ফিরে আসবে। বাবাকে বলিস কি হয়েছে। মায়ের সান্ত্বনায় সে খানিক স্বস্তি ফিরে পেলো। কান্না থামিয়ে দিয়ে বাবার  বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করতে লাগলো। বারবার জানালা দিয়ে রাস্তায় উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলো। ওর বাবার একটা ফার্মেসী আছে। তাই লকডাউন থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত
ছন্নছাড়া চড়ুইভাতি

ছন্নছাড়া চড়ুইভাতি

মিতু বালা সময়  যেন থমকে গেছে। ঝুম বৃষ্টি দমকা হাওয়ায় উড়ে গেছে।লাজুক বৃষ্টি উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। আমি ভয়ংকর ভাবনায় বুঁদ হয়ে আছি। শেষ প্রহরের আলো নিভু নিভু করছে। ঘুমের ঘোরে অচেতন আমি। হঠাৎ কলরবে আচমকা চেতন এলো । এই রুমের  ভেন্টিলেটরে এক চড়ুই যুগলের বসবাস।তাদের বহুকণ্ঠীয় কিচির মিচির আওয়াজে সমস্ত ঘোর কেটে গেলো।চোখ রগড়াতে রগড়াতে ব্যালকনিতে চলে এলাম।  গোধূলি জুড়ে মৃদুমধুর শীতল হাওয়া চোখের ক্লান্তিকে এক ঝটকায় যেন ছিনিয়ে নিয়ে গেলো। আযানের ধ্বনি চারিপাশ জুড়ে সুরে বেসুরে ভেসে আসছে। অদূরে শঙ্খধ্বনি চারপাশটাকে সরব করে তুললো।হঠাৎ কণ্ঠস্বর সমস্ত অনুভূতির ছেদ ঘটালো। কি তোমার  ঘুম ভাঙল?অনেক বার হলো তোমার রুমে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলাম।দেখলাম তুমি অঘোরে ঘুমোচ্ছ। হ্যাঁ,তবে ঘুম ভাঙ্গেনি ঘুমকে জোর করে ভাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনি কখন এলেন? এই একলা ঘর আর এই অচেনা গ্রামে আমার দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। তা  ঘু
বইমেলায় জয়দীপ দে’র উপন্যাস ‘কাসিদ’

বইমেলায় জয়দীপ দে’র উপন্যাস ‘কাসিদ’

উইমেন ওয়ার্ডস ডেস্ক: এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে জয়দীপ দে’র উপন্যাস ‘কাসিদ’। বইটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে উপজীব্য করে লেখা হয়েছে। উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে দেশ পাবেলিকেশন্স।   পলাশী যুদ্ধ। কেবল একটা যুদ্ধ নয়, ইতিহাসের বাঁক ফেরানোর একটি ঘটনা। যে ঘটনায় পাল্টে দিল পুরো ভূ-ভারতের ভাগ্য। রাজা রাজাকে হারায়। রাজপাটে যায়। কিন্তু পলাশীতে হলো ভিন্ন ঘটনা। নবাবের অর্ধলক্ষ সৈনিকের মুখোমুখি হাজার মাইল দূর থেকে ভাগ্যান্বেষণে আসা বণিকদের ভাড়াটে সৈন্যদের একটা ছোট্টবাহিনী। সংখ্যায় মাত্র ৩ হাজার। কিন্তু ছোট্ট এই দলের সামনে ৮ ঘন্টা টিকে থাকতে পারল না নবাবের অর্ধলক্ষ সৈন্য। সব দায় কি চক্রান্তকারীদের? নাকি বিটুইন দ্য লাইনসে আরো কিছু আছে। সেই সব প্রশ্নের উত্তর মিলাতে গিয়ে ইতিহাসের তোশাখানায় প্রবেশ। দীর্ঘদিন ধরে অনাদরে পড়ে থাকা ধূলিমলিন সূত্রগুলো ধরে এগুবার চেষ্টা। অনেক অমীমাংসিত প্রশ্ন সামনে। বইটির প্রচ্ছদ শিল্