বিনোদন

দুজনের সংম্পর্ক নিয়ে বাতাসে ফিসফিসানি চলছে আগে থেকেই। তবে সেটার স্বপক্ষে প্রমাণ দাঁড় করানো যাচ্ছিল না। এবার একসঙ্গে জনসম্মুখে এসে সেই ফিসফিসানিকেও যেন প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন সোনাক্ষী সিনহা। ফলে প্রেম পর্যন্ত গুঞ্জনটা আর থাকেনি, চলে গেছে একেবারে বাগদান পর্যন্ত। বান্টে সাজদেহ্র'র সাথে চুপিচুপি প্রেম করছেন এমন খবর কিছুদিন ধরেই বাতাসে। কিন্তু তাদের প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাদের সেভাবে। এবার একটি নৈশ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বান্টি-সোনাক্ষী একসঙ্গে হাজির হলে আর প্রেম নয়, একেবারে বাগদানের খবর ছড়িয়ে যায় সবখানে। গুজব ছড়ানোর এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই বান্টির বিষয়ে মুখ খুললেন সোনাক্ষী। এক সাক্ষাৎকারে একটু খেপে গিয়েই বললেন, ‘আমার অনামিকায় কোনো আংটি আছে? দেখা যাচ্ছে না তাই না? তাহলে আপনারা কী করে বলতে পারেন যে আমার বাগদান হয়েছে?’ বান্টির সঙ্গে আদৌ সম্পর্কটি প্রেমের কি না, জানতে চাইলে সোন

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতসাধক পন্ডিত রামকানাই দাশ ও লোককবি সুবর্ণা দাশ রচিত ও সুরারোপিত সংগীত বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ‘তোমার আমার প্রাণের সুর’ এর উদ্বোধন হয়েছে। উদীচী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যরিস্টার মো. আরশ আলী বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন। সংগীত বিষয়ক কর্মশালা ও স্মরণানুষ্ঠানটি নগরীর ক্বীনব্রীজ সংলগ্ন শারদা হল সম্মিলিত নাট্যপরিষদের মহড়া কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। প্রবীন লোকশিল্পী সুষমা দাশ এর সভাপতিত্বে ও সংগীত পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মামুন পারভেজ এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সংগীত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পিনুসেন দাশ, পন্ডিত রামকানাই দাশ এর ছাত্র স্বরাজ চন্দ্র দে, কর্মশালা প্রশিক্ষক অনিন্দিতা চৌধুরী ও সুকন্যা শৈলী। অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ৫০জন প্রশিক্ষনার্থ

বিখ্যাত সাময়িকী ‘ভোগ’-এর অক্টোবর সংখ্যার প্রচ্ছদের মডেল হয়েছেন বাংলাদেশের মডেল ও অভিনেত্রী জান্নাতুল পিয়া। এই সাময়িকীর ভারতীয় সংস্করণে অন্য দেশের মডেলদের সঙ্গে প্রচ্ছদকন্যা হিসেবে স্থান পেয়েছেন পিয়া। এ কারণে ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি। নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অক্টোবর মাসের সংখ্যায় বিভিন্ন দেশের মডেলদের নিয়ে এবার প্রচ্ছদ করেছে ভোগ ইন্ডিয়া। গত আগস্টে ভোগ-এর প্রচ্ছদের ফটোশুটে অংশ নিতে মুম্বাইয়ে যান পিয়া। মুম্বাইয়ের মেহবুব স্টুডিওতে সার্কভুক্ত ছয়টি দেশের মডেলদের ক্যামেরাবন্দী করা হয় । ফটোশুটের দায়িত্বে ছিলেন ভোগ ইন্ডিয়ার ফ্যাশন সম্পাদক আনাইতা আদাজানিয়া শ্রফ। আলোকচিত্রী হিসেবে ছিলেন ভারত শিখা। মডেলদের হেয়ার স্টাইল করেছেন প্যারিসের প্রখ্যাত ফ্যাশন আইকন সাইরিল। পিয়া এর আগে দেশের বাইরের বিভিন্ন ফ্যাশন উৎসবে অংশ নিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। ভোগ সাময়িকীর প্রচ্ছদে পিয়া ছাড়াও আছেন ভারতের পূজা মোর, শ্

রূপালী পর্দায় প্রথমবার যখন মুখ দেখালেন ‘ওম শান্তি ওম’ তখন তিনি একাধারে দুটি চরিত্র। একজন বাস্তবের অন্যজন অতীতের নায়িকা। সে ছবিতে দীপিকা পাড়কুনের যদিও কোন ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করতে হয়নি। কিন্তু পরবর্তী জীবনে ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা নায়িকা হিসেবে বারবার ধরা দিয়েছেন দীপিকা। সঞ্জয়লীলা বানসালির বাজিরাও মাস্তানি ছবির ‘মাস্তানি’ হয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। তার রেশ কাটতে না–কাটতেই একই পরিচালকের আরও একটি ছবিতে ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। সেই ছবিতে দেখা যাবে ‘রানি পদ্মাবতী’র চরিত্রে। ছবিটির নামও রাখা হয়েছে চরিত্রের নামেই। শোনা যাচ্ছে, আরও একটি ইতিহাসভিত্তিক সিনেমার নায়িকা হওয়ার সম্ভাবনা আছে দীপিকার। রাজা অশোকের বড় মেয়ে সংঘমিত্রার জীবন নিয়ে তৈরি এই সিনেমার নাম–ভূমিকায় দেখা যেতে পারে এই তারকাকে। ছবিটি নির্মাণ করবেন দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা সুন্দর সি। তামিল এই ছবি

জীবন ফারুকি বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সুবির নন্দী, সালাউদ্দিন আহমেদ, কুমার বিশ্বজিৎ, পার্থ বড়ুয়া, ফাহমিদা নবী, মনোময় ভট্টাচার্য ও রাঘব চ্যাটার্জীর পর এবার রাজন সাহার সুরে আপকামিং এ্যালবাম “চন্দ্রগ্রাস” এ কণ্ঠ দিলেন দেশ বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস আরা। শ্রদ্ধেয় গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জীর লেখায় সম্প্রতি এই “নিঃসঙ্গ হৃদয়” শিরোনামের গানটি রেকর্ড করা হয়। গানটি সম্পর্কে কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস আরা বলেন, “আমি এই প্রথম আমার ঘরানার বাইরে একটি গান গাইলাম। গানটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। গানটির বাণী ও সুর সত্যিই অসাধারন।আশা করি গানটি বাংলা শ্রোতাদের কাছে অন্যরকম মাত্রা যোগ করবে।” গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী বলেন, “রাজনের সুর বরাবরই আমার ভাল লাগে। বয়সে নবীন হলেও প্রবীণ গুনীদের নিয়ে কাজ করার প্রবণতা ওর মধ্যে বেশী। আশাকরি “চন্দ্রগ্রাস” এ্যালবামটি বাংলা গানের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।” সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক রাজন সাহা বল

বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওন চাইছেন না তাঁকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘মোস্টলি সানি’ ভারতে মুক্তি পাক। দিলীপ মেহতা নির্দেশিত এই তথ্যচিত্রটি সম্প্রতি টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়। যদিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না সানি। রক্ষণশীল শিখ পরিবারে জন্ম সানি লিওনের। এরপর সারিনার অন্টারিও থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস। ক্রমে হয়ে-ওঠা পর্নোছবির তারকা। সেখান থেকে ব্রেকথ্রু বলিউডের মূলধারায়। ছোট পরিসরে সানির গোটা জীবনটাই ধরার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। তার পরেও সানি লিওন চান না তথ্যচিত্রটি কোনোভাবে ভারতে রিলিজ করুক। কারণ, সানির কথায়, ‘এই তথ্যচিত্রটিতে আমার জীবন যতটা না ধরা পড়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে আমাকে নিয়ে অন্যান্যদের মতামত। অন্যের দর্শন। তাই এটা আমার গল্প নয়। এ কারণেই চাইছি না ভারতে ‘মোস্টলি সানি’ দেখানো হোক।’ ক্ষুব্ধ সানির সোজাসাপ্টা বক্তব্য, ‘তোমার গল্প তুমি ছাড়া অন্য কেউ বলবে, এটা হতে পারে না।

কবি জয় গোস্বামীর বেণিমাধব গানটি শিল্পী হিসেবে অন্য এক মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল লোপামুদ্রা মিত্রকে। তাঁর বাড়ি ‘চড়ুইভাতি’ তে উইমেন ওয়ার্ডস এর সাথে আড্ডা জমেছিল। ভারতীয় বস্ত্র ও রূপোর গয়নার একটি বিপণনীও এখানে গড়ে তুলেছেন তিনি। নাম দিয়েছেন ‘প্রথা’। দেয়াল আলো করা শাড়ি-গয়না দেখার ফাঁকে ফাঁকেই আড্ডা জমে গেল। প্রথা’র বাইরেও তাঁর আরেকটি প্রতিষ্ঠান ‘লোপামুদ্রা প্রোডাকশনস’—গত তিন বছর ধরে জনপ্রিয় লোকগানের দল ‘দোহার’কে নিয়ে আয়োজন করছে বাঙালি ঐতিহ্যের সংস্কৃতি উৎসব ‘সহজ পরব’। এসবও বাদ গেল না আড্ডার বিষয়বস্তু থেকে। প্রিয় পাঠক, লোপামুদ্রা মিত্রের সাথে সেই আড্ডার চুম্বক অংশ আপনাদের জন্য তুলে ধরেছেন —শবনম সুরিতা ডানা শবনম সুরিতা ডানা : ‘সহজ পরব’ এবছরের মত শেষ হল। কেমন লাগছে? লোপামুদ্রা মিত্র: ‘সহজ পরব’ তৃতীয়বারের মতো হয়ে গেল। ‘সহজ পরব’ করতে গিয়ে এই তিনবছর পেরিয়ে একটা শিক্ষা হয়েছে। আসলে আমরা তো সবাই মিউজ

বৈচিত্রময় আয়োজন আর দর্শক মুগ্ধতায় অতিবাহিত হলো ‘সহজ পরব’ উৎসবের দ্বিতীয় দিন। দার্জিলিংয়ের লোকনৃত্য মারুনি দিয়ে দ্বিতীয়দিনের শুরুটা হয়েছিলো আর শেষটায় বাংলাদেশের লোকগানের দল ‘জলের গান’ এর পরিবেশনা মাতালো দর্শকদের। বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম জন্ম শতবর্ষ উদযাপনে উৎসর্গ করা সহজ পরব’র এবারের তিনদিনব্যাপি উৎসবের গতকাল শনিবার ছিলো দ্বিতীয়দিন। কলকাতার সাউদার্ন এভিনিউয়ের নজরুল মঞ্চে দ্বিতীয়দিনের উৎসব শুরু হয় দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যবাহি লোকনৃত্য মারুনি দিয়ে। মারুনি নৃত্যের মোহ কাটিয়ে উঠার আগেই দর্শকদের আরেকবার মোহগ্রস্থ করেন বাংলা ঢোলের জাদুকর বলরাম হাজরা। তারপর ঐতিহ্যবাহি কবিগান নিয়ে মঞ্চে আসেন অসীম সরকার ও সম্প্রদায়। ভজন ও দোঁহা পরিবেশিত হয় বিদুষী শুভা মুদগলের কণ্ঠে। অনুষ্ঠানের শেষবেলায় মঞ্চে আসে বাংলাদেশের লোকগানের দল ‘জলের গান’। ভিন্ন আঙ্গিকে জলের গানের পরিবেশনা দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে যেন। ঘড়

বলিউড মাৎ করেছেন বহু আগে। হলিউডেও তাই। ফোবস, ভ্যানেটি ফেয়ারের মতো বিখ্যাত ম্যাগাজিনগুলোর প্রচ্ছদেও আছেন দীপিকা। তাহলে প্রশ্নপত্রই বা বাদ যাবে কেন। এবার সেখানেও পাওয়া গেল তাকে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর ভর্তি পরীক্ষাতেও! ভর্তি পরীক্ষায় এবার যে একটি প্রশ্ন এসেছিল দীপিকাকে নিয়ে। প্রশ্নটি ছিল, ২০১৬ সালে কোন ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন দীপিকা? চারটি সম্ভাব্য উত্তর দেওয়া ছিল: পিকু, বাজিরাও মাস্তানি, তামাশা ও হ্যাপি নিউ ইয়ার। সিনেমা দেখাটা এত দিনে কাজে লাগল বটে কিছু কিছু মানুষের! অবশ্য এই প্রথম ভারতের কোনো পাবলিক পরীক্ষায় বলিউড নিয়ে প্রশ্ন এল না। এই তো গত বছরও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল বাহুবলী ছবিটি থেকে। তবে সিনেমা নিয়ে প্রশ্ন আসা এক কথা আর একজন অভিনেত্রীকে নিয়ে আসা আরেক ব্যাপার। এই মুহূর্তে বলিউডের রাজত্বটা যে তাঁর দখলে, এ নিয়ে আর কোনো সংশয় নিশ্চয়ই আপনার থাকল না।