চিত্তরঞ্জন লেনের ‘যুগশক্তি’ বাড়িটা
শবনম সুরিতা ডানা
গ্রীষ্মকাল হোক কিবা শীতের দিন। ছোটবেলার ছুটি মানেই ছিল ধূলো উড়িয়ে, ঘাম ঝরিয়ে দল বেঁধে করিমগঞ্জে দাদুর বাড়িতে হানা দেওয়া। ভারতবর্ষের একটি নিতান্ত প্রান্তিক শহরের তস্য প্রান্তিক কোণে সরু হাড় জিরজির করতে থাকা ‘চিত্তরঞ্জন লেন’। সেই গলিতে নাক বরাবর হাঁটলে খান কতক বাড়ি পেরোলেই টিমটিম করা একটি নীচু একতলা বাড়ি। বাড়িটির গায়ে ক্ষয়ে যাওয়া অক্ষরে লেখা ‘যুগশক্তি’। অথৈ রহস্যে ভরপুর সেই বাড়িতেই আমার মায়ের জন্ম, আমার দৌরাত্মের আঁতুড়ঘর।
‘যুগশক্তি’-র বাড়িতে নিয়ম মেনে সকাল হত মাছবিক্রেতার আনাগোনায়। নাতি-নাতনী-মেয়ে-জামাইদের আগমন চিত্তরঞ্জন লেনে চির অসম্পূর্ণ মানা হত দু’বেলা মাছদের বৈপ্লবিক সংখ্যাহ্রাস না ঘটালে। দুপুরবেলায় কানাউঁচু স্টিলের থালায় মাছভাজা সহকারে মুসুর ডাল, মুড়ি ঘন্ট, তেল কই না পড়লে আমার যেমন মনে হত না যে ছুটি পড়েছে, সেভাবেই সন্ধ্যেবেলা লোডশেডিং ছিল অবধারিত।
ঘুটঘুটে অন্ধকার, ঝিঁঝ