সংগ্রামী নারী Archives - Page 3 of 3 - Women Words

সংগ্রামী নারী

আইএস’র যৌনদাসী থেকে জাতিসংঘের ‘শুভেচ্ছাদূত’ নাদিয়া

আইএস’র যৌনদাসী থেকে জাতিসংঘের ‘শুভেচ্ছাদূত’ নাদিয়া

ইসলামিক স্টেট-এর যৌনদাসী হিসেবে দিনের পর দিন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সইতে হয়েছে অকথ্য অত্যাচার। কাঁদতে কাঁদতে চোখের জলও একসময় শুকিয়ে গিয়েছিল। শরীর আর মনের নিদারুণ যন্ত্রণার মধ্যে থেকেও মুক্তির স্বপ্ন দেখেছেন সবসময়। ভেবেছেন- পালাতে হবে। পালাতেই হবে। শেষ পর্যন্ত চরম ঝুঁকি নিয়ে সেই নরক থেকে পালাতে পারা নাদিয়া মুরাদই এখন জাতিসংঘের গুডউইল অ্যাম্বাসাডর বা শুভেচ্ছাদূত। গত বছর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিজের ‘পুনরুজ্জীবন’এর কাহিনি শুনিয়েছেন নাদিয়া। শিউরে ওঠার মতো সে কাহিনি। ইরাকের কুর্দ জনগোষ্ঠীর ইয়াজিদি ধর্মের মেয়ে ছিলেন নাদিয়া মুরাদ। ২০১৪ সালে যখন ইরাক ইসলামিক স্টেটের দখলে একটু একটু করে চলে যাচ্ছিল তখন সদ্য যৌবনে পা রেখেছেন মাত্র নাদিয়া। ১৯ বছর বয়স। ইসলামিক স্টেটের তাণ্ডব চলছে তখন ইরাকের নানা অংশ জুড়ে। দুর্ভাগ্যবশত তেমনই এক অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলো নাদিয়ার পরিবার। মা, বাবা এবং ছয় ভাইয়ের সঙ্গে
অভিশংসনেই কি সমাপ্তি একসময়ের গেরিলা নেত্রীর রাজনৈতিক অধ্যায়!

অভিশংসনেই কি সমাপ্তি একসময়ের গেরিলা নেত্রীর রাজনৈতিক অধ্যায়!

অভিশংসনের মধ্য দিয়ে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত হলেন ব্রাজিলের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ। স্বভাবতই সামনে প্রশ্ন চলে এসেছে তবে কি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটলো। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মধ্যবিত্ত পরিবারে স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়ে ওঠা যে মেয়েটি মার্কসবাদী গেরিলাও হয়ে উঠতে পারে সামরিক শাসনের বিরোধীতা থেকে তাকে সহজেই বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া পার্লামেন্ট তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সরিয়ে দিলেও তাঁর রাজনৈতিক সক্রিয়তার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। বিশ্লেষকদের মতে, অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট দিউমার পরবর্তী পদক্ষেপই বলে দেবে, তাঁর শেষটা ঠিক কেমন হবে। ব্রাজিলের মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৪৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া দিলমা নিশ্চিত নিরাপদ জীবন কাটাতে পারতেন। কিন্তু তা ছেড়ে মার্কসবাদী গেরিলা হয়ে ওঠা দিলমাকে মাত্র ২২ বছর বয়সে সামরিক কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। তাঁর সেই সময়কার স্পর্ধিত ভ
১৬ বছরের অনশন ভাঙলেন শর্মিলা, হতে চান মুখ্যমন্ত্রী

১৬ বছরের অনশন ভাঙলেন শর্মিলা, হতে চান মুখ্যমন্ত্রী

টানা ১৬ বছর পর আর মঙ্গলবার অনশন ভাঙলেন ভারতের ইরম চানু শর্মিলা। দেশটির মণিপুর রাজ্যে সেনাবাহিনীর বর্বরতার প্রতিবাদে পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘতম এ অনশন পালন করেন তিনি। শর্মিলাকে ইম্ফল জেলা আদালত আজ জামিনে মুক্তিও দিয়েছে। মণিপুরের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন তিনি। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। ৪৪ বছর বয়সী শর্মিলা ২০০০ সালে ১ নভেম্বর অনশন শুরু করেছিলেন। টানা ১৬ বছর ধরে অনশনের সময় এই নারী কোনো খাবার খাননি। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের একটি কারা হাসপাতালে তাঁর নাকে পাইপ দিয়ে জোর করে খাওয়ানো হয়। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২০০০ সালে মণিপুরের ১০ অধিবাসী নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন শুরু করেন তিনি। আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগে শর্মিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে হাসপাতালের ওয়ার্ডেই
আঁধার পেরুনো ইউসরার আলোকময় দিন

আঁধার পেরুনো ইউসরার আলোকময় দিন

ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা এখনও কলজে হিম করে দেয় ইউসরা মারদিনি। গৃহযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত মাতৃভূমি সিরিয়া ছেড়ে তাঁর পরিবার তখন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ইউরোপের দিকে পাড়ি জমিয়েছিল। আতঙ্ক, হাহাকার আর মর্মন্তুদ বেদনার মধ্যেই ঘনিয়ে এল আরেক বিপদ। মাঝসমুদ্রে ভিড়ের চাপে ইউসরাদের নৌকাটি তখন প্রায় ডুবতে বসেছে। প্রাণ বাঁচাতেই সেদিন সমুদ্রের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ইউসরা। ইউসরা ও তাঁর বোনের সাহসিকতায় সেদিন জীবন বেঁচেছিল নৌকায় থাকা ১৯ জন শরণার্থীর। জার্মানির শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া এই সাহসিকা তরুণী ইউসরাই এখন লড়ছেন অলিম্পিকে। নাহ্, নিজের দেশের পতাকা নিয়ে অলিম্পিকে যাওয়ার ভাগ্য হয়নি তাঁর। তবে অলিম্পিক দরজাটা তাঁর সামনে খুলেছে অন্যভাবে। অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথম অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর বাইরে একটি ‘শরণার্থী দল’ খেলছে। বিভিন্ন দেশের শরণার্থীরা অন্য সব প্রতিযোগীর মতোই খেলবেন দ্য গ্রেটেস্ট
মৃত্যুমুখ থেকে ফেরা শরণার্থী ইউসরার পদক জয়ের স্বপ্ন

মৃত্যুমুখ থেকে ফেরা শরণার্থী ইউসরার পদক জয়ের স্বপ্ন

অধিক যাত্রী বুঝাই নৌকাটি মাঝ সমুদ্রে ডুবতে বসেছে। প্রাণ বাঁচাতে ভূমধ্যসাগরে ঝাঁপ দিয়েছিলো কিশোরীটি। কনকনে ঠান্ডায় তিন ঘন্টা সাঁতার কাটতে কাটেত পানিতে জমে যেতে যেতে সে ভাবছিল, জীবন বুঝি শেষ হলো। চোখ যখন বুঝে আসছিল ক্লান্তিতে, মৃত্যু ছাড়া আর কিছু মনে আসছিল না ইউসরা মারদিনির। সিরিয়া থেকে শরণার্থীরা তখন আশ্রয়ের খোঁজে দলে দলে চলেছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন সিরিয়ার দামাস্কাসে বসবাস করা ইউসরার পরিবারও। মাথা গোঁজার মতো একটা ঠাঁই পেতে একরাতে সমুদ্রে ভেসে পড়া। কিন্তু নৌকার ইঞ্জিন হঠাৎই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বোটের ভার কমাতে প্রথমে সকলে ব্যাগ, জামাকাপড় খুলে সমুদ্রে ছুড়ে ফেলতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত জলে ঝাঁপ দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। সেই দলে ছিলেন ইউসরা এবং তাঁর বোনও। নিজের জীবন বিপন্ন করে সে দিন ওই কিশোরী শুধু নিজের জীবন বাঁচাননি, বাঁচিয়েছিলেন আরও ১৯ জন শরণার্থীর জীবনও। সেই জীবন
অনশন ভাঙছেন শর্মিলা, করবেন বিয়ে, লড়বেন নির্বাচনে

অনশন ভাঙছেন শর্মিলা, করবেন বিয়ে, লড়বেন নির্বাচনে

দীর্ঘ ১৬ বছরের অনশন ভাঙতে যাচ্ছেন ইরম শর্মিলা চানু। ৪৪ বছর বয়সি এই সংগ্রামী নারী জানিয়েছেন এবার বসবেন বিয়ের পিড়িতে, লড়েবেন নির্বাচনে। সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (এএফএসপিএ) বাতিলের দাবিতে ২০০০ সাল থেকে অনশন শুরু করেন শর্মিলা। শর্মিলা যখন খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ২৭। এখন বয়স ৪৪। আগামী ৯ আগস্ট তিনি অনশন ভাঙবেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার, আনন্দবাজার। আদালতে নিয়ম মাফিক হাজিরায় ‘নিয়ম’ ভেঙে বোমা ফাটান ইরম শর্মিলা চানু! বিচারককে স্পষ্ট জানান, আর অনশন নয়। এ বার লক্ষ্য বিয়ে এবং নির্বাচনে লড়া! পাশাপাশি বললেন, ‘সরকার ইতিবাচক সাড়া দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমি অনশন ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ইস্যুর সমাধানে আমি নির্বাচনে লড়ব।’ ২০০০ সালে মণিপুরের মালোম গ্রামে জঙ্গি সন্দেহে দশ নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যার প্রতিবাদে ও আফস্পা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন শুরু করেন চানু। প্রথমবার তিনি গ্রেফতা
শুধু চামড়াটাই তো পুড়েছে, হাসছেন মনীষা

শুধু চামড়াটাই তো পুড়েছে, হাসছেন মনীষা

তিয়াষ মুখোপাধ্যায় সকালে ঘুম ভেঙে আয়নায় নিজের মুখটা চোখে পড়ে। বীভৎস পোড়া একটা মুখ। গলা-বুক-হাতের চামড়াগুলো গুটিয়ে যাওয়া। বাঁ চোখের জায়গায় একটা ঝাপসা গর্ত। এক মগ নাইট্রিক অ্যাসিডের ঝাঁঝ পুড়িয়ে দিয়েছে সব কিছু। ছোটবেলা থেকে একটাই চিন্তা ছিল ডানপিটে মেয়ের। পড়াশোনা করে একটা ভাল চাকরি। সব্জিওলা বাবার মুখে হাসি, ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা, দিন-রাত এক করে ঘরের কাজ করে যাওয়া মায়ের একটু আরাম। পড়াশোনার পাশাপাশি তাই নার্সিং ট্রেনিং, কম্পিউটার কোর্স, বিউটিশিয়ান কোর্স, হাতের কাজেও তুখোড় হয়ে ওঠার লড়াই চলছিল জয়নগরের মনীষার। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের মেয়ে তখনও ভাবতে পারেননি, এর চেয়েও বড় লড়াই অপেক্ষা করছে হাসপাতাল-থানা-আদালতে। কে-ই বা ভাবতে পারেন, পাড়ায় ছোট থেকে দেখা কয়েকটা মানুষ এক শীত-সন্ধেয় স্রেফ ব্যক্তিগত আক্রোশের বশে অ্যাসিড ছুড়ে যাবে মুখে! আয়নাটার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয় কত কথা! সুন্দরী, স্বাধীন