কিংবদন্তিতুল্য কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের জীবনাবসান হল। মৃত্যূকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
রোববার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন লতা।
গত মাসের শুরু থেকেই চিকিৎসক প্রতীত সমধানীর অধীনে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন লতা। প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কোভিড নেগেটিভ হলেও পরে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আশার আলো দেখছিলেন চিকিৎসকেরাও। তবে শনিবার দুপুরে চিকিৎসকেরা জানান, গায়িকার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তখন থেকে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। ভক্ত, পরিবারের সবাই তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে থাকেন। শনিবার সন্ধ্যাবেলা দিদি লতাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান আশা ভোসলে।
লতার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমেছে ভারত, এমনকি বাংলাদেশে। লতার মৃত্যুতে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে শোক প্রকাশ করছেন বিনোদনজগৎ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড়সহ নানা জগতের মানুষ।
সাত দশক ধরে দর্শক ও সমালোচক হৃদয় তৃপ্ত করে চলা ভারতীয় সংগীতের এই জীবন্ত কিংবদন্তি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৪২ সালে, মারাঠি গান গেয়ে। ১৯৪৬ সালে তিনি প্রথম হিন্দি সিনেমার জন্য গান করেন। বসন্ত জোগলেকরের ‘আপ কি সেবা মে’ ছবিতে তিনি ‘পা লাগু কার জোরি’ গানটি গেয়েছিলেন। দুই বছর পর সুরকার গুলাম হায়দার তাঁকে প্রথম বড় সুযোগ দেন।
১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর সংগীত ভারত ছাপিয়ে তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বসংগীতের দরবারে।