বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আকতারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় পদ হারালেন জায়েদ খান। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণ পেয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। এ পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ড।
এ ঘোষণার পর ৩৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার নারী সাধারণ সম্পাদক পেলেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা।
আপিল বোর্ডের বৈঠককে ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে এফডিসি। সকাল থেকেই জায়েদ খানের অপসারণ চেয়ে মিছিল করেন অনেকে। বিক্ষুব্ধ মিছিল থেকে স্লোগান ভেসে আসে, জায়েদ খানের বিচার চাই, বিচার চাই।
এসব বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই ছিলেন ভোটাধিকার বঞ্চিত ১৮৪ জন শিল্পী। মিশা সওদাগর সভাপতি ও জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক থাক অবস্থায় এসব শিল্পীদের সদস্য পদ বাতিল করা হয়। যে কারণে তাদের এফডিসিতেও প্রবেশেও বাধায় পড়তে হয়।
এবার এসব ভোটাধিকার বঞ্চিতদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের কমিটি?
জবাবে নিপুণ বলেছেন, ‘এখন তো আর কোনো সমস্যা নেই। আমরা আগে থেকেই চেয়েছি তাঁদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক, কিন্তু আগের কমিটি সেটা করেনি। আদালত থেকে ১০৩ জনের ব্যাপারে ইতিবাচক রায় এসেছে। এখন তো আর কোনো সমস্যা নেই। কারণ, শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্যাবিনেট মিটিংয়ে সবার সম্মতিতে তাঁদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ আছে। আমরা সেই কাজ করব। কারণ, আমি সব সময়ই নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, তাদের জন্য কাজ করেছি। সুতরাং, এখানেও আমি ফেল করব না।’
সূত্র: যুগান্তর