রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই।
আজ রবিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন শুদ্ধ সংগীত চর্চার অন্যতম পুরোধা মিতা হক। তবে চার দিন আগে করোনা নেগেটিভ হয়েছিলেন তিনি।
আজ বেলা ১১টায় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মরদেহ ছায়ানটে নেওয়া হবে। তাঁকে দাফন করা হবে কেরানীগঞ্জের বড় মনোহারিয়ায়, বাবা-মায়ের কবরের পাশে।
মিতা হক দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি ডায়ালাইসিস করাচ্ছিলেন। তিনি করোনা পজিটিভ হয়ে চারদিন আগে সেরে উঠলেও গতকাল শনিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। দেওয়া হয় লাইফ সাপোর্ট। আজ সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার জামাতা মোস্তাফিজ শাহীন ফেসবুকে লেখেন, ‘মিতা হক….সকাল ৬.২০ এ চলে গেলেন। চলেই গেলেন… সবাই ভালোবাসা আর প্রার্থনায় রাখবেন।’
১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করেন মিতা হক। তিনি প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশনা করতেন।
২০২০ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন মিতা হক। তারও আগে ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। এরপর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিতা হককে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয়।
তিনি সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করেন। এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সহ-সভাপতিও ছিলেন।
সংগীতশিল্পী মিতা হক প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। মেয়ে ফারহিন খান জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী।