মিতু বালা
শপিংমলে প্রবেশ করতেই তুলতুলের নজরে এলো সাদা দাড়ি বিশিষ্ট স্থূলকায় হাস্যমুখর এক ব্যক্তির। পরনে ছিল সাদা কলার ও কাফযুক্ত লাল কোট, সাদা কাফযুক্ত লাল ট্রাউজার্স, কালো চামড়ার বেল্ট ও বুটজুতো।আর কাঁধে বিশাল এক ঝোলা । এমন কিম্ভূতকিমাকার চেহারা বিশেষত তার ঐ আলখাল্লার মতো পোশাকটা দেখে তুলতুলের চিনতে অসুবিধা হলো না ;
এই তো সেই সান্টাক্লজ !
টেলিভিশন আর মোবাইলের পর্দায় সে তো বহুবার সান্টাকে দেখেছে। না,তার চিনতে একদম ভুল হচ্ছে না। জীবন্ত সান্টাকেই সে দেখছে।
তবে সান্টা শপিংমলে কি করছে ?
তখন ওর মনে হলো, আরে কিছুদিন বাদেই তো বড়দিন। এ সময়তো সান্টা ভালো ছেলেমেয়েদের বাড়ি ঘুরে ঘুরে উপহার দিতে আসেন। শিশুদের আচরণ অনুযায়ী তাদের একটা তালিকাও প্রস্তুত করেন । আর এদের একদলে থাকে দুষ্ট বাচ্চারা, অন্যদলে লক্ষ্মী বাচ্চারা। তারপর খ্রিষ্টমাস ইভের রাতে তিনি লক্ষ্মী ছেলেমেয়েদের জন্য খেলনা, লজঞ্চুস সহ আরো নানা ধরনের উপহার পাঠিয়ে দেন। আর দুষ্ট বাচ্চাদের জন্য পাঠিয়ে দেন কয়লা। অবশ্য এ কাজ সান্টা সম্পন্ন করেন তাঁর কারখানায় কর্মরত এলফ ও তার স্লেজগাড়ির বাহক বলগা হরিণ জুলির মাধ্যমে।
এসব গল্প তো সে তার মায়ের মুখে অনেক বার শুনেছে । সান্টাকে নিয়ে তো তার কিছুই অজানা নয়।
গল্প যখন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে তখন তুলতুলের মনে প্রশ্ন জাগলো সে কোন বাচ্চাদের দলে পড়বে? তার ভাগ্যে আবার কয়লা জুটবে না তো ?
ভাবনার মুক্তি ঘটাতে তুলতুল তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা, আমি কি লক্ষ্মী বাচ্চা নাকি দুষ্ট বাচ্চা ?
তুলতুলের বাবা তুলতুলকে আদর করে বললো, “মামনি তুমি তো আমাদের মিষ্টি তুলতুল, তুমি তো আমাদের লক্ষ্মী বাচ্চা। “
বাবার কথা শুনে তুলতুল কিছুটা ভরসা পেলো ; মনে মনে ভেবেই নিলো সান্টা শপিং মলে বোধহয় বাচ্চাদের ধরণ ধারণ দেখতে এসেছে। এরপর হয়তোবা বাচ্চাদের লক্ষণ দেখবার জন্য বাড়ি গিয়েও উঁকিঝুঁকি দেবে ।
তাই,আজ থেকে কোনো দুষ্টমি নয়।
আজ থেকেই তুলতুল একদম লক্ষ্মী বাচ্চা হয়ে যাবে। যেই ভাবনা সেই কাজ। এরপর থেকে তুলতুল আর খাবার খেতে গিয়ে বায়না ধরে না, এছাড়া কোনো ধরনের দুষ্টমির সঙ্গীও সে নেই ।
সে আপাদমস্তক, একটা মিষ্টি আর লক্ষ্মী বাচ্চার স্বরূপ ধারণ করলো। আর মনে মনে সে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকলো , কবে আসবে বড়দিন।
এভাবে দিন যায়, দেখতে দেখতে বড়দিনও চলে আসে।
চব্বিশ ডিসেম্বর রাত থেকেই সে বড়দিনের তোড়জোড় শুরু করলো এবং সান্টাকে উদ্দেশ্যে করে ওর মায়ের সাহায্য নিয়ে একটা চিঠি লিখলো । সে চিঠির কথা গুলো মুখে বললো, ওর মা সেটা লিখতে আরম্ভ করলো । একটা হলুদ পৃষ্ঠায় নীল রঙের কালি দিয়ে চিঠিটা লেখা হলো। চিঠিতে তুলতুল সান্টাকে ঘিরে অনেক মিষ্টি মিষ্টি অনুভূতি ব্যক্ত করলো।তুলতুল যে ভীষণ শান্ত মেয়ে এবং সে একদমই দুষ্টুমি করে না সেটাও প্রকাশ পেলো। তাছাড়া, সান্টার বামন হরিণগুলোর খোঁজ খবর জানতে চাইলো এবং চিঠির শেষ প্রান্তে সান্টার কাছে তুলতুল তার পছন্দের উপহার চাইলো। তারপর চিঠির উপর সান্টার জন্য লাল গোলাপ, চকলেট আর কেক রাখলো। আর সান্টার যদি ওতো রাতে বেশি ক্ষিধে পেয়ে যায় সে কথা ভেবে সান্টার খাওয়ার জন্য দুধ, পাউরুটি আর বাদামও রাখা হলো। সান্টা যেন তার উপহারটা রেখে যেতে পারে সেজন্য জানালার সামনে ঝুলিয়ে রাখা হলো একটা মোজা। আর সেই মোজার মধ্যে সান্টার হরিণগুলোর জন্য রাখা হলো দু’টো গাজর ।
সব কাজ শেষে খুব শান্তি নিয়ে তুলতুল ঘুমোতে গেলো আর ঘুমোনোর আগ মুহূর্তে মনে মনে সান্টাকে উইসের মাধ্যমে তার ইচ্ছের কথাটা আবার বললো।
আগামীকাল সকালে তার জন্য কি অপেক্ষা করছে সেটা ভাবতেই তুলতুলের ভীষণ রোমাঞ্চকর লাগছে।
সকালে ঘুম ভাঙতেই তুলতুল মোজার কাছে গেলো ;মোজাটা উল্টোতেই তা থেকে বেরিয়ে এলো গোলাপি রঙের কোঁকড়া চুলের একটা পুতুল আর একটা ছোট্ট চকলেট বক্স ।
তুলতুল সেটা দেখে একটু অবাক আর কিছুটা আনন্দিত হলো। সান্টার পাঠানো উপহার বলে কথা। যাইহোক ,সান্টা তার জন্য কয়লা তো পাঠায়নি। সেও তাহলে লক্ষ্মী বাচ্চার তালিকায় আছে।
সান্টার পাঠানো উপহারটা পেয়ে সে তার মা’কে দেখাতে গেলো। তার মা তো উপহারটা দেখে খুব অবাক হওয়ার ভান করলো।
তবে তুলতুল তার ভেতরের অনুভূতিকে আড়াল করতে পারলো না। তার মা’কে সে বলেই ফেললো এই উপহারের কথা তো গতকাল সান্টাকে সে লেখেনি ।তবে এই উপহার সান্টা কেনো পাঠালো ?
তার মা অবশ্য বেশ যুক্তি দিয়ে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললো। সে যেহেতু গতকাল রাতে চিঠিটা লিখেছে। সেজন্যই বোধহয় সান্টা উপহারটা এখনও প্রস্তুত করতে পারেনি। এতো দ্রুত তো উপহার বানানো সম্ভব নয়। পৌঁছে দেওয়ার তো একটা ব্যাপার আছে। সারাবিশ্ব জুড়ে কত সহস্র বাচ্চা। নিশ্চয়ই আগামী বছর সান্টা তুলতুলের জন্য তার মনের মতো উপহার পাঠাবে।
মা’য়ের বলা কথা তুলতুলের বেশ মনে ধরলো ;সত্যিই তো তাই। গতরাতের লেখা চিঠির উপহার এতো দ্রুত কি করে পাঠানো সম্ভব। উপহারটা খুঁজে পেতেও তো সময় লাগবে।
বরং এ বছর এই গোলাপি চুলের পুতুল নিয়েই খেলা করি। আগামী বছর নিশ্চয়ই হবে। সান্টা তো এখন জানেই তার পছন্দের উপহারের কথা ।আর শিশুদের উপহার দিয়ে খুশি করাই তো সান্টার প্রিয় কাজ। সে নিশ্চয়ই পরের বছর তার ইচ্ছে পূরণ করবে।
আর এই ছোট্ট তুলতুলের কাছে তো সান্টা কোনো কাল্পনিক ব্যক্তি নয় কিংবা কিংবদন্তির কোনো ঐতিহাসিক চরিত্র নয়। সান্টা তো সমস্ত কচিকাঁচার কাছে জীবন্ত, সত্যিকারের একজন মানুষ। তাই সান্টার প্রতি পৃথিবীর সকল তুলতুলের অগাধ বিশ্বাস।
প্রতিবারের মতো, বড়দিনের সন্ধ্যেবেলা তুলতুল তার বাবা মায়ের সঙ্গে গীর্জায় যায়, সঙ্গে নিয়ে যায় গোলাপ ফুল, মোম, কার্ড আর চকলেট। গীর্জা সেদিন আলোকসজ্জায় ভরপুর। ক্রিসমাস ট্রি গুলোতে রঙবেরঙের আলোর রশ্মি উঁকি দিচ্ছে। যিশুর জন্ম দৃশ্য ভিজ্যুয়ালি দেখানো হচ্ছে। বহু মানুষের আনাগোনা। অনেকটা ভীড় ঠেলেই সেদিন গীর্জার উপাসনা দ্বারে উপস্থিত হয় তিনজন। কিছুটা সময় জুড়ে চলে প্রার্থনা ; এবার তুলতুল তার মুঠো ভর্তি কয়েকটা গোলাপ উপাসনা গৃহের সামনে রাখে, ওর মা কয়েকটা মোমের আলো পাশাপাশি সাজিয়ে দেয়।
এরপর উপাসনা গৃহ থেকে বেরিয়ে গেটে যাওয়া পর্যন্ত যেসব কচিকাঁচাদের সঙ্গে দেখা হয় সবাইকে বড়দিনের কার্ড আর চকলেট দিয়ে তুলতুল “মেরি ক্রিসমাস” উইস করে। গীর্জা দ্বার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও অনেক দূর পর্যন্ত “We wish merry Christmas…we wish you merry Christmas…” রব শোনা যাচ্ছিল। সারা শহর আজ উৎসবে মেতেছে। সঙ্গে কেক খাওয়ার ধুম লেগেছে। জাতপাত-ধর্মের কোনো বালাই নেই, সবার মনে আজ খুশির আমেজ ।সময়ের আবর্তনে বড়দিন এখন কেমন সার্বজনীন উৎসবের রূপ ধারণ করেছে ।ওদের গাড়ির কাঁচের জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছিল, হৈ-হুল্লোড় আর আড্ডার আসর মোড়ে মোড়ে ভীড় জমিয়েছে সঙ্গে রেস্তোরাঁর দরজার সামনে মানুষের ঢল নেমেছে।
দিন পাঁচেক পরে, একদিন মধ্যরাতে বিড়ালের মিউ মিউ আওয়াজে তুলতুলের ঘুম ভেঙে গেলো। এই রাতবিরাতে বিড়ালের কণ্ঠস্বর। পাঁচ বছরের তুলতুল ঘুম জড়ানো চোখেই খাটের উপর পা মেলে একটু উঠে বসলো। তার বাবা মা’য়ের দিকে তাকাতেই দেখলো দু’জন অঘোরে ঘুমচ্ছে। কেউ শুনতে পায়নি আওয়াজ। মিষ্টি তুলতুল একাই শুধু শুনেছে। ঘরে হালকা নীল আলোর বাতি জ্বলছে। তুলতুল ঘুটঘুটে অন্ধকার ভয় পায়, তাই এই আলোর ব্যবস্থা। এই মৃদুমন্দ আলোতেই তুলতুল স্পষ্ট দেখতে পেলো একটা সাদা ধবধবে বিড়ালকে। বিড়ালকে দেখে তার মনে খুব সুখ ভর করলো। এবং সেটা দেখতে দেখতে কখন যে সে আবার ঘুমিয়ে গেছিল সে নিজেও জানে না।
খুব ভোরে কখনই তুলতুলের ঘুম ভাঙে না। ঘুম ভাঙতে নয়টা সাড়ে নয়টা বেজে যায়। পরদিন সকালেও তার অন্যথা ঘটেনি। বরং রাতে ঘুম ভাঙার দায়ে সেদিন ঘুম ভাঙল এগারটার সময়। এগারটা থেকে ঘড়ির কাটা গেলো বারোটায়। বারোটা থেকে ঠিক একটা। ঘড়ির কাটায় টিং করে যখন একটা শব্দের আওয়াজ হলো তখন তার পছন্দের “ Oggy and the Cockroachers ” কার্টুন দেখতে টিভি সেটের সামনে হাজির হলো। আর Oggy কে দেখেই গতরাতের বিড়াল ছানার কথা মনে হলো। সে তো বেমালুম ভুলে গেছে। গতরাতের বিড়ালকে দেখে সে মনের ভিতর কতো আগডুম বাগডুম কল্পনার পাহাড় জমা করেছে। বেশ তড়িঘড়ি করেই সে রুমে গিয়ে হাজির হলো। বিড়ালটাকে এদিকওদিক খুঁজতে আরম্ভ করলো। কিন্তু বিড়ালের টিকিটিও দেখতে পেলো না। এবার সান্টার কাছে উপহার সমেত সে একটা জ্যান্ত বিড়াল চেয়েছিলো।নিশ্চয়ই গতরাতে সান্টা তার হরিণে টানা স্লেজে চড়ে বিড়ালটা তাকে দিয়ে গেছে কিন্তু সে বিড়ালটাকে হারিয়ে ফেললো। বিড়ালটাকে ঘিরে সে কতো কি ভেবে রেখেছিলো। বিড়ালটা সর্বক্ষণ লেজ নাড়িয়ে নাড়িয়ে ওর পিছু হাঁটবে ।বিড়ালকে সে খেতে দেবে। বিড়াল ওর ডাকে সাড়া দিয়ে মিউমিউ করে ডাকবে। তুলতুল তো বিড়ালের নাম অব্দি ঠিক করে রেখেছিলো ; বিড়ালের নাম হবে “তুতুন”। “তুলতুলের তুতুন” ।
ইস, কী ভীষণ নামের মিল হতো তাহলে দু’জনের। দু’জনের ভাবও থাকবে। কিন্তু কি থেকে কি সব হয়ে গেলো। ও কাছে পেয়েও বিড়ালটাকে হারিয়ে ফেললো।এসব ভাবতে ভাবতে, বেশ মন খারাপ নিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় গিয়ে মা’কে গতকাল রাতে বিড়াল দেখার গল্পটি বললো।
ওর মা একটু বুঝিয়ে বললো, এটা নিছকই তার স্বপ্ন ছিলো। আর ঘরের দরজা তো বন্ধ ছিলো। ওতো রাতে ঘরে বিড়াল কি করে আসবে।
তুলতুল, তুমি বিড়াল নিয়ে এতো বেশি ভাবুক হয়ে গেছিলে যে, গতকাল রাতে সেটা তুমি ঘুমের ঘোরে দেখেছো। মানুষ একটা জিনিস বারবার ভাবলে তার অবচেতন মনে সেটা ধরা দেয়। তোমার সঙ্গে সেটা হয়েছে। আর সেটা এখন তোমার স্বপ্ন নয়, সত্যি বলে মনে হচ্ছে। আর সান্টা তো বড়দিনে আসে,প্রতিদিন তো আসে না। তাই না, তুলতুল ? ”
ওর মায়ের এতো বড়ো বড়ো যুক্তিবাদী কথা পুরোটা তুলতুলের মাথায় ঢুকলো না।
তবুও যতোটুকু বুঝলো, তাতে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে বললো, মা কি ঠিক বলছে?
হয়তো-বা ঠিক।
কিন্তু সে মনে মনে একটু দুঃখ নিয়ে বললে, “ইস,বিড়ালটাকে স্বপ্নে পেয়েও হারিয়ে ফেললাম। বিড়ালের সঙ্গে অব্যক্ত কতো গল্প জমে আছে। সেসব কিচ্ছুটি হলো না।
স্বপ্নের স্থায়ীত্ব এতো কম কেনো? ”
স্বপ্নটা যদি আবার আসে, সেটা ভেবে সে আবার বিছানায় ঘুমোতে গেলো।
না কিছুতেই তার ঘুম পাচ্ছে না। কোনোদিনই তো বিকেলে ঘুমোনোর অভ্যাস নেই। আজকে হঠাৎ চাইলেই তো ঘুমোনো সম্ভব নয়।
ভীষণ মন খারাপ নিয়েই সে বিছানা থেকে উঠে গেলো।বিড়ালটা থাকলে বিকেলের সময়টা তার কতো ভালো কাটতো। আজকের বিকেলটা তবে এমন মনমরা বিকেল হতো না।
বিকেলে হলে অন্যদিন ছাদে গিয়ে সে ঘুড়ি ওড়ানো দেখে।শীতের আকাশে কেমন লাল, নীল, বেগুনী, হলুদ ঘুড়ি ওড়ে। বিশেষত, ঘুড়ির ঐ লেজুর গুলো ঘন হাওয়ায় যখন দোলে তখন তার বেশি আনন্দ হয়। মাঝেমধ্যে ঘুড়িগুলো উড়ে এসে ছাদে এসে আটকে যায় গাছের ডালে। তখন ঘড়ি গুলো হাত দিয়ে স্পর্শ করে। দূরের দেখা তখন মাটির কাছে এসে লুটিয়ে পড়ে।
আজকেও মন খারাপের রেশ কাটাতে সে ছাদের উদ্দেশ্যে রওনা হলো ।সিঁড়ি গুলোতে পা দিয়ে এক দু পা এগোতে লাগলে। ঠিক যখন সিঁড়ি ঘরে গিয়ে পৌঁছোল, তখন দেখতে পেলো সিঁড়ি ঘরে সাদা ধবধবে একটা ছোট্ট বিড়াল ঝিমুনি কাটছে। রোগা টিনটিনে একটা বিড়াল। বিড়ালের কানের কাছের অংশটা কালো,আর সবটা জুড়ে সাদা ধবধবে।
আরে ওটাই তো গতরাতের স্বপ্নে দেখা বিড়াল !
তবে,ওটা স্বপ্ন ছিল না,ওটা সত্যি। ওর তো বিষম খুশি। আনন্দে হেলেদুলে নাচতে ইচ্ছে করছে। সান্টা সত্যি তার ইচ্ছেপূরণ করেছে।
এরপর সে তার মনের সব আনন্দ জমিয়ে রেখে একটু একটু করে বিড়ালের কাছে এগিয়ে গেলো । এবং মিষ্টি সুরে বিড়ালের কাছ ঘেষে এগিয়ে গিয়ে বললো, “ তুতুন, তুতুন। “