বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা - Women Words

বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা

উইমেন ওয়ার্ডস ডেস্ক ::  কাউকে কিছু না বলে তিনদিন আগে এশার নামাজের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কলেজ শিক্ষার্থী মরিয়ম খাতুন (২১)। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। গতকাল শনিবার তিন দিন নিখোঁজের পর একটি ধানক্ষেত থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়।  বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীর প্রেমিক তাকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।

আজ ১২ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

শনিবার রাতে উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের কাচড়াহাটি গ্রাম থেকে পরিমল মণ্ডলের ছেলে অভিযুক্ত সুব্রত মণ্ডলকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত মরিয়ম ভুরুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে এবং শ্যামনগর মহসিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী।

এসপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কলেজছাত্রী মরিয়ম ও সুব্রত ঘোষের মধ্যে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাঝে মাঝে তাদের দেখা হতো। এছাড়া তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও ছিল। দুই মাস ধরে মরিয়ম তার প্রেমিক সুব্রতকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। বিয়ে না করলে তিনি সুব্রতের বাড়িতে গিয়ে উঠবেন বলেও জানান।

এর জের ধরে সুব্রত আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে মরিয়মকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে গত ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সুব্রত মোবাইল করে মরিয়মকে ডেকে একটি বিলের মধ্যে নিয়ে যান। সেখানে তাদের কথাবার্তা শেষে সুব্রত মরিয়মকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। এতে মরিয়ম অস্বীকৃতি জানান এবং তাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে বলেন। এরপর সুব্রত উত্তেজিত হয়ে তাকে ধর্ষণ এবং গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের একটি বিলের মধ্যে থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পুলিশ মরিয়মের লাশ উদ্ধার করে। এর তিন দিন আগে মরিয়ম কাউকে কিছু না বলে এশার নামাজের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তারপর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।