আত্মহত্যা নয়, ধর্ষণের পর শরীফাকে হত্যা - Women Words

আত্মহত্যা নয়, ধর্ষণের পর শরীফাকে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শরীফা আক্তার (২৪) আত্মহত্যা করেননি। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। শরীফার লাশের ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা (কিডনি, পাকস্থলী, ফুসফুসের আলামত পরীক্ষা) প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম বলেন, ‘দু’টি রিপোর্টই আমার হাতে এসেছে। ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টে শরীফাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। শরীফার গলায় আঙুলের ছাপ রয়েছে। তাকে যে হত্যা করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট।’

শরীফা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয় উল্লেখ করে তার বাবা গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট আসার পর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তরের আবেদন করেন তিনি।

এতে মজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার পর পুলিশ ভুল বুঝিয়ে তাকে দিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করিয়েছেন। এমনকি দু’টি তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার না করে উল্টো আমাকে হয়রানি করেছে।’
অভিযুক্ত সোহেল মিয়া ওরফে হুসাইন একই এলাকার আক্কাছ মিয়ার ছেলে। শরীফা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কলেজপাড়া একটি বাসায় ভাড়া থেকে পড়াশুনা করতেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শরীফার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, ‘সোহেল প্রায়ই শরীফা আক্তারকে উত্ত্যক্ত করতো। ঘটনার দিনও সোহেল শরীফাকে উত্ত্যক্ত করে।’

মজিবুর রহমান মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুরু থেকেই ধারণা করছিলাম শরীফাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনোভাবেই সেটা মানতে চাচ্ছিলো না। পুলিশের চাপাচাপির কারণেই আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করি। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট পেয়ে পুলিশকে জানালেও তারা কর্ণপাত করেনি। মামলার আসামিকে না ধরে উল্টো আমাকে হয়রানি করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। মেয়ের হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।