রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় ধর্ষণের শিকার এক ১৪ বছর বয়সী কিশোরী সন্তান প্রসব করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কিশোরপুর গ্রামে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক সজীব আহম্মেদ বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছেন। সজীব একই গ্রামের আবু সাইদের ছেলে। তারা দু’জনই শ্রীধরপুর দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশীদা বানু কনা ওই কিশোরী ও তার সন্তানকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎধীন ওই কিশোরী জানান, তার সঙ্গে একই গ্রামের সজীব নামের এক ছেলে শ্রীধরপুর দাখিল মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়তো। তারা একই ক্লাসে পড়াশোনার সুবাদে নয় মাস আগে সজীবের বাড়িতে গাইড বই আনতে যায়। এ সময় সজীব বাড়ি ফাঁকা পেয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরী কাউকে না জানিয়ে লোকলজ্জার ভয়ে বাড়ি চলে আসে। এরপর সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে ওই কিশোরী নিজ বাড়িতে ছেলে সন্তান প্রসব করে। এরপর বিষয়টি টের পেয়ে ধর্ষক সজীব বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতা (ওসি) খুরশীদা বানু কনা জানান, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরী তার সহপাঠী সজীব নামের এক ছেলের ধর্ষণের শিকার হয়ে সন্তান প্রসব করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে। যেহেতু ওই কিশোরীর সন্তান এখন অসুস্থ এজন্য মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।