মে ২০, ২০১৯ - Women Words

Day: মে ২০, ২০১৯

ধর্ষণ করতে নারী সহকর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর নাবিকরা

ধর্ষণ করতে নারী সহকর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর নাবিকরা

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিনের নাবিকেরা তাদের ৩২ নারী ক্রু সহকর্মীকে নিয়ে একটি ‘ধর্ষণ তালিকা’ তৈরি করেছিল। আজ সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি মেইল জানায়, দেশটির সেনাবাহিনী সম্পর্কিত ওয়েবসাইট মিলিটারি.কমে প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। একটি ওহিও-ক্লাস ক্রুজ মিসাইল সাবমেরিন ইএসএস ফ্লোরিডার গোল্ড ক্রুর কিছু নাবিক এই ‘ধর্ষণ তালিকা’ শেয়ার করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। এই ৭৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিকাটি গোল্ড ক্রুর পুরুষদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এই তালিকার দুটি ভার্সন পাওয়া গেছে। একটি ভার্সনে স্টার সিস্টেমের নারী ক্রু সদস্যদের তালিকা করা হয়েছে। আরেকটিতে এসব নারীদের নামের পাশে তাদের সম্পর্কে যৌন বিষয়ক মন্তব্য করা হয়েছে। এই গোল্ড ক্রুর ১৭৩ নাবিকের মধ্যে ৩২ জন নারীর প্রত্যেকের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল তালিকাটিতে। এই গোল্ড ক
প্রতিদিন গড়ে ৪০০ শিশু সাইবার ক্রাইমের শিকার

প্রতিদিন গড়ে ৪০০ শিশু সাইবার ক্রাইমের শিকার

প্রতিদিন কমবেশি চার শ শিশু সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছে। এসব শিশুর অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে, বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। শিশুদের জন্য নিরাপদে অনলাইন ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি দরকার বহুমুখী উদ্যোগ। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রোববার ‘অনলাইনে যৌন নির্যাতন’ সম্পর্কিত বিষয়াদি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আলোচকেরা এসব তথ্য দেন। সভার আয়োজক বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সভায় বক্তারা বলেন, সব বয়সী শিশুরাই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। কিন্তু এদের অনেকেই নিজেকে সুরক্ষিত রেখে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে জানে না। এমনকি অনেকের অনলাইনে ‘যৌন নির্যাতন’ বা ‘যৌন শোষণ’ সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা নেই। আবার যৌন নির্যাতনের শিকার হলেও পরিবারকে জানাতে ভয় পায়। আইনের আশ্রয়ও নেয় না তারা। ২০১৬ সাল থেকে আসকের উদ্যোগে দেশের ২৮টি স্কুলে অনলাইনে য
যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে বেঁধে মাথার চুল কাটলেন স্বামী

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে বেঁধে মাথার চুল কাটলেন স্বামী

বাবার বাড়ি থেকে ৩০ হাজার টাকা যৌতুক এনে না দেয়ায় আকলিমা বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে তার মাথার চুল কেটে দিয়েছেন স্বামী মো. মিজান। ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চাতলা সাতবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূ আকলিমা বেগম গত শনিবার রাতে থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। গৃহবধূ আকলিমা বেগম বলেন, আমার বাবার বাড়ি লালমোহনের চরভূতা এলাকায়। পাঁচ বছর আগে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চাতলা সাতবাড়িয়া গ্রামের আরিফ উদ্দিন মালেগো বাড়ির মো. মিজান মালের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। মিজান ঢাকায় কাপড়ের ব্যবসা করেন। বিয়ের পর থেকে মিজান আমার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের জন্য ৩০ হাজার টাকা আনতে বলেন। আমি রাজি না হলে বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালান। ১২ মে মিজান ঢাকা থেকে এসে আবারও যৌতুকের জন্য আমাকে চাপ দেন। আমি না করলে আমাকে মারধর করে দুই হাত পেছন দিকে বেঁধে ফেলেন মিজান। পরে কাঁচি দি
উস্কানিমূলক বক্তব্যই ধর্ষণ বাড়িয়েছে

উস্কানিমূলক বক্তব্যই ধর্ষণ বাড়িয়েছে

খুশী কবির ধর্ষণের ব্যাপকতার পেছনের অন্যতম একটি কারণ ধর্মীয় ওয়াজ-মাহফিলে নারীবিদ্বেষী বক্তৃতা। বিভিন্ন সময় মাহফিলে নারীদের পোশাক নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়। এ ছাড়া অপরাধীর শাস্তি না হওয়াও ধর্ষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্লিপ্ততাও দায়ী। আইন যদি কঠোরভাবে প্রয়োগ না করা হয়, যদি ধর্ষণের শিকার নারী বিচার না পান, সেক্ষেত্রে ধর্ষণ কমবে না। আজ অবধি ধর্ষণের ঘটনার সঠিকভাবে সুরাহা করে দোষী ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে দেখা যায়নি। তাই অপরাধীরা মনে করে, অন্যায় করে পার পেয়ে যাওয়া যায়। এ ছাড়া যখনই কোনো ঘটনা ঘটে, তখনই এক পক্ষ সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করে- না, তেমন কিছু হয়নি!। বিশেষ করে প্রশাসন। মানবাধিকারকর্মীরা ঘটনার প্রতিবাদে মাঠে নামলে প্রশাসন বোঝাতে চায়, 'মানবাধিকারকর্মীরা বাড়াবাড়ি করছে'। রাজনৈতিকভাবে সরকার ও প্রশাসনিকভাবে যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের যে
৪ মাসে প্রতিদিন ১৩টি ধর্ষণ

৪ মাসে প্রতিদিন ১৩টি ধর্ষণ

চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৩ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের হার ক্রমাগত বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সমাজবিজ্ঞানী, আইনজীবী ও মাঠ পর্যায়ের অপরাধ তদন্তকারীরা। বিচারহীনতা বা ধীর গতির বিচার ব্যবস্থা, নেশার প্রতি আসক্তি ও বেকারত্ব সমস্যাকে তারা এ ধরণের জঘন্য অপরাধ বাড়ার জন্য দায়ী করেছেন।   পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত ২০ হাজার ৮৩৫ টি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। এ বছরের প্রথম ৪ মাসে ১ হাজার ৫৩৮ টি ধর্ষণ মামলা হয়েছে অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ১২ দশমিক ৮১ টি ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।   অধিকারকর্মীরা জানিয়েছেন,এ সময়ের মধ্যে সংগঠিত ধর্ষণের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে কারণ, যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার একটি বড় অংশই অপ্রকাশিত রয়ে যায়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১০ দশমিক ৫৭ টি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে, তারমধ্য