‘উত্তমকুমার আমার অনেক সম্বন্ধ ভেঙে ছিলেন’ - Women Words

‘উত্তমকুমার আমার অনেক সম্বন্ধ ভেঙে ছিলেন’

ভারতের বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমার অনেক সম্বন্ধই ভেঙে দিয়েছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমার।’ তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে কখনো প্রেম আসেনি, তা নয়; কিন্তু উত্তমকুমার আমার অনেক সম্বন্ধ ভেঙে দেন। উত্তমকুমার বরাবরই আমার প্রতি পজিটিভ ছিলেন। আমি কখনো চাইনি, কেউ সংসার ভেঙে আমার কাছে চলে আসুক। আমার কপালে যদি বিবাহিত পুরুষ জোটে, তবে কী করব? ভালোবাসব না? তবে উত্তমকুমারকে পাইনি বলে বিয়ে করিনি, তেমনটা নয়। বন্ধু অনেক ছিলেন। সবাই ছিলেন বিবাহিত। আর আমি কারও ঘর ভাঙতে চাইনি।’

 

 

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের বয়স এখন ৮১ বছর। নিজের প্রেম আর কেন বিয়ে করতে পারেননি, এসব নিয়ে সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন কলকাতার একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। আপনার সঙ্গে উত্তমকুমারের প্রেম ছিল? সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘তা ছিল তো খানিকটা। তবে রটনাটা বেশি ছিল। আসলটা কম। তখন শোনা গিয়েছিল, তিনি আমাকে বিয়ে করে বালিগঞ্জে বাড়ি ভাড়া করে আছেন। তখন এ খবর নিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। আসলে সেসব কিছুই হয়নি। আর তারপর থেকে আমার জীবনে আরও ট্র্যাজেডি নেমে আসে। ওসব নিয়ে এখন আর বলতে চাই না।’

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বিয়ে আর সংসার নিয়ে বললেন, ‘বিয়ে হয়নি, তাই বলে কোনো আফসোস নেই। কারণ, আমার দিদির ছেলেমেয়েদের মানুষ করেছি। ওরা এখনো আমাকে ভালোবাসে। ডাকলে চলে আসে। ওদের সবার তো সংসার আছে। তবে এটা ঠিক, এত বড় বাড়িতে থাকতে সত্যিই একা লাগে।’

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম বাংলাদেশের কুমিল্লার কমলাপুর গ্রামে ১৯৩৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। ১০ বোনের মধ্যে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সবার ছোট। দেশভাগের পর তিনি কলকাতায় চলে আসেন। ছিলেন টালিগঞ্জে এক বোনের বাড়িতে। এখান থেকেই শুরু হয় তার অভিনয়জীবন। তিনি ছিলেন স্টার থিয়েটারের সদস্য। তার প্রথম ছবি ‘সহযাত্রী’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫১ সালে। এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন উত্তমকুমার। পরিচালনা করেছেন অগ্রদূত। এর পর পেরিয়ে গেছে ৬৮ বছর। পঞ্চাশ থেকে আশির দশক পর্যন্ত তিনি অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘পদ্মশ্রী’, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’সহ নানা পদক ও সম্মাননা।