পা হারিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল তারকা আমান্দা - Women Words

পা হারিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল তারকা আমান্দা

আমান্দা মেরেলের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর ১৪ রাউন্ড কেমোথেরাপি দেয়া হয়। অবশেষে কেটে বাদ দিতে হয়েছিল বাম পা। কিন্তু থেমে থাকার মেয়ে নন তিনি। অদম্য জীবনীশক্তি নিয়ে ফিরে এসে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য আমান্দা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দলের হয়ে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে প্রথমে দু’বার পড়ে গিয়েছিলেন আমান্দা। কিন্তু হার মানতে শেখেননি যিনি, সামান্য পড়ে যাওয়া কী করে থামাবে তাকে! উঠে দাঁড়িয়ে পরপর তিন বার জাল চিনতে ভুল করেনি আমান্দার ছোঁড়া বল। আর কারো সহানুভূতি প্রয়োজন হয়নি আমান্দার।

যদিও বল ছোঁড়ার সময় নিজস্ব পদ্ধতিতে তা করে থাকেন আমান্দা। দু’পায়েই না লাফিয়ে শুধু সামনের পা’য়ে ভর করেই লাফিয়ে ওঠেন তিনি।

তাছাড়া দৌড়ানোর সময় বাম পা সাইকেলের মতো করে টেনে আনতে হয় তাকে। তার পরেও জীবনে সামনের দিকেই তাকাতে চান তিনি। কারো থেকে পিছিয়ে থেকে নয়, নিজেই নেতৃত্ব দিতে চান।

মাত্র তিন বছর বয়সে তার বাম পায়ে ফোলার মতো দেখা যায়। পরে চিকিৎসা করে দেখা যায় ক্যান্সার থাবা বসিয়েছে আমান্দার শরীরে।

প্রাণ বাঁচাতে হাঁটু থেকে পুরো পা কেটে বাদ দিতে হয় আমান্দার। তার পর থেকেই নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই শুরু আমান্দার। সে সব দিনের কথা মনে পড়লে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন আমান্দার বাবা-মা।

প্রতিবন্ধীদের জন্য অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান আমান্দা। নিজেকে তৈরি করছেন সেজন্য। তার মতো আরো মানুষদের নতুন জীবনের পথে এগিয়ে দেওয়াই এখন লক্ষ্য তার।

সূত্র: কালের কন্ঠ