স্পটলাইটে স্কুল-অভিভাবক সম্পর্ক - Women Words

স্পটলাইটে স্কুল-অভিভাবক সম্পর্ক

নমিতা দাশ সানি

সেবাদাতাআরগ্রহীতাসবখানেইমুখোমুখিদাঁড়িয়েযাচ্ছেন যেন।স্কুলগুলোরবিরুদ্ধেযেভাবেঅভিযোগকরাহচ্ছেমনেহয় এগুলোস্কুলনয়-‘ক্লিনিক’, আর শিক্ষকরা ‌‌‘কসাই’। মানে ক্লিনিকগুলোকসাই-জীবিকারতাগিদে এইঅভিযোগঅথবারক্তযোগদেখেশুনেঅসারঅনুভূতি।কিন্তুনবমশ্রেণীরছাত্রীঅপমানসহ্যকরতেনাপেরেআত্মহত্যার ঘটনারআগেথেকেইচারপাশেরমা–বাবারাস্কুলআরশিক্ষকদের নিয়েএতোবিরূপমন্তব্যকরে আসছেন, এমনকিআমারনিজেরস্কুলনিয়েওঅনেকেরকাছেইখারাপমন্তব্যশুনি।শুনলেমনেহয়, আমাদেরচামড়া বোধ হয় মোটাছিলো, কিংবা বোকাছিলাম, মোবাইলছিলোনা, নেটের তো তখন জন্মই হয়নি–তাই আমাদের শিক্ষকরামারলেও, বকলেও তাঁদেরইভালোবাসতাম।আরশিক্ষকরাও মা–বাবাদের সঙ্গে সবসময় ভালো ব্যবহার করেছেন। বাচ্চার অন্যায়কে বাবা–মা’র অন্যায় মনে করে উদোর পিণ্ডি উনাদের ঘাড়ে চাপাননি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখে গেছেন, ‘যার কাছে দেনা পাওনার সম্বন্ধ, তাকে ভালোবাসা যায় না।’ স্কুলআরঅভিভাবকদেরসম্বন্ধওএখন যেনতাই।কেউকাউকেসম্মানকরেননা।আরবালিকাবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিরছাত্রী, লম্বাবেণীর কিশোরীর সঙ্গে বেণীমাধবেরদেখাইহলোনা, তার আগেই অনভিপ্রেতআত্মহত্যাকরলো সে।
শিক্ষকরা আদিকালথেকেএককথাইবলেন– আজকালকারবাচ্চারাসাংঘাতিকবিচ্ছু, আমাদেরসময়েআমরাকতোভালোছিলাম! এটাসত্যি, বাচ্চাযদিবড়দেরমতোআচরণকরেতাহলেইবরংচিন্তার।স্রোতথাকলেসেখানেময়লাজমেনা, স্রোতসবভাসিয়েনিয়েযায়।ছাত্ররাসবসময়নতুনদিনেরআলো,তাদের মাঝে ভালখারাপ সব আছে, দিন শেষে যা থাকার তাই থাকবে। অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুলেরসম্পর্কআরোমধুরহউক, বাচ্চা–অভিভাবক–শিক্ষক একে অন্যকে ‘টেরোরিস্ট’ভাবারকালচারথেকেআমাদেরমুক্তিহউক।