নৌকা ডুবে ১৯ রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর মৃত্যু - Women Words

নৌকা ডুবে ১৯ রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর মৃত্যু

রোহিঙ্গাবাহী আরও দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।এদের মধ্যে ১০ জন শিশু ও ৯ নারী।গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টা ও আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।  

সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল আমিন বলেন, ওই নৌকা দুটিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও ২২ থেকে ২৫ জন যাত্রী বেশি ছিল। রোহিঙ্গাদের নিয়ে নৌকাগুলো নাফ নদী পেরিয়ে বঙ্গোপসাগর হয়ে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া ও মাঝারপাড়া কূলে ভেড়ানোর আগেই জোয়ারের ধাক্কায় নৌকা দুটি ডুবে যায়। বেশির ভাগ শিশু ও নারী সাঁতরে কূলে উঠতে না পারায় ডুবে মারা যায়। আজ সকাল ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ১৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নুরুল আমিন বলেন, নিহত ব্যক্তিরা মিয়ানমারের মংডু শহরের দংখালী ও ফাতংজা এলাকার বাসিন্দা বলে জীবিত উদ্ধার হওয়া লোকজনের কাছ থেকে জানা গেছে। লাশ উদ্ধারের বিষয়ে টেকনাফ থানার পুলিশ ও বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মইনউদ্দীন খান বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনার খবর পেয়েছি। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।’

শাহপরীর দ্বীপের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে কমপক্ষে ৫০০ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। নাফ নদীর সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার থাকায় রোহিঙ্গারা বঙ্গোপসাগরের কূল দিয়ে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন ঘরে অবস্থান করে। স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে তারা শাহপরী দ্বীপে আসে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির খরব পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আরও তিনটি নৌকাডুবির ঘটনায় ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই ছয়জনের মধ্যে তিনজন নারী ও তিনজন শিশু।

সূত্র: প্রথম আলো