স্মার্টফোনে ‘বঙ্গবন্ধু’ - Women Words

স্মার্টফোনে ‘বঙ্গবন্ধু’

দেশ-বিদেশের কোটি কোটি তরুণ প্রজন্মের কাছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও দর্শন খুব সহজেই পৌঁছে দিতে ‘বঙ্গবন্ধু’ নামে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। অ্যাপটির নতুন সংস্করণে বঙ্গবন্ধুর রঙিন ভিডিও চিত্র (ভাষণ) সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে রেসকোর্স ময়দানে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণটি এখন স্মার্টফোনেই শুনছে তরুণ প্রজন্ম।

এরই মধ্যে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ৮৬ হাজার বার ডাউনলোড হয়েছে। অ্যাপটি আইওস প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার পাশাপাশি পুরো অ্যাপের একটি ইংরেজি ভার্সন চালু এবং কারাগারের রোজনামচাকে ই-বুকে রূপান্তর করা হচ্ছে। এ ছাড়া জনসাধারণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছবি, চিঠিগুলোও অ্যাপে যুক্ত করতে একটি ওপেন প্ল্যাটফর্মও যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

জাতির জনকের ব্যক্তিজীবন এবং দিকনির্দেশনামূলক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নানা নিদর্শন স্থান পেয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু’ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, দুর্লভ ছবি, আত্মজীবনী, সাক্ষাৎকার, হাতের লেখা, ছবি, ভিডিওসহ জাতির জনকের বর্ণাঢ্য জীবনের নানা স্মৃতি স্মার্টফোনের একটি অ্যাপের মধ্যে নিয়ে এসেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। বঙ্গবন্ধু মোমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছে অ্যাপটি হস্তান্তর করেছে তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ।

অ্যাপ্লিকেশনটিতে প্রবেশ করলে মূল মেন্যুতে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, ভাষণ, সাক্ষাৎকার, চিঠি, বঙ্গবন্ধু ফটো গ্যালারি, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর—এই ছয়টি মেন্যু পাওয়া যাবে। আত্মজীবনীতে প্রবেশ করলে সংক্ষিপ্ত জীবনী এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনী নামে দুটি সাব-মেন্যু পাওয়া যাবে।

সংক্ষিপ্ত জীবনীতে ১৯২০ থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনাবহুল সময়ে বঙ্গবন্ধুর কর্মকাণ্ড জানা যাবে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া এক সাধারণ ছেলে কিভাবে একটি রাষ্ট্রের, একটি জাতির জনক হয়ে ওঠেন এর ধারাবাহিক বর্ণনা আছে এখানে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীর সব মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা। তাঁর কর্ম, ত্যাগ ও ভাবনাগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়ার মাধ্যমে তাঁর নেতৃত্বেই আমরা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পেয়েছি। তাই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে জাতির জনককে আমরা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেই বঙ্গবন্ধু অ্যাপ অবমুক্ত করেছি। ইতিমধ্যে অ্যাপটিকে আইওস প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতে উদ্যোগ নিয়েছি। ’

এই অ্যাপ নিয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাপকে আরো আধুনিক করতে পুরো অ্যাপের ডিজাইন রি-স্ট্রাকচারিং করছি। কারাগারের রোজনামচাকে ই-বুকে রূপান্তর করে সংযুক্ত করব। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখিত সুপঠিত বইগুলোকে এই অ্যাপে নিয়ে আসব। বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জনসাধারণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছবি, চিঠিগুলোও যাতে সবাই আমাদের কাছে পাঠাতে পারে সে জন্য এই অ্যাপের সাথে একটি ওপেন প্ল্যাটফর্মও যুক্ত করা হবে। পাশাপাশি বিশ্বময় বঙ্গবন্ধুর যে পিরিচিতি ছিল, সে বিষয়টিকে মাথায় রেখে পুরো অ্যাপের একটি ইংরেজি ভার্সনও চালু করব। ’

বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি পিডিএফ ভার্সনে পড়া যাবে বঙ্গবন্ধু অ্যাপে। ভাষণ মেন্যুতে ঢুকলে বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ সব ভাষণ পাওয়া যাবে। ফটো গ্যালারিতে ঢুকলে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও ব্যক্তিজীবনের ১১৩টি দুর্লভ ছবি পাওয়া যাবে। সাক্ষাৎকার মেন্যুতে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ছয়টি দুর্লভ সাক্ষাৎকার পাওয়া যাবে।

চিঠি মেন্যুতে বঙ্গবন্ধুর হাতে লেখা অনেকগুলো চিঠির স্ক্যান কপি পাওয়া যাবে। জেলে বন্দি অবস্থায় বাবা, রাজনৈতিক সহকর্মী, স্ত্রী, সন্তানদের উদ্দেশে এসব চিঠি লিখেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু জাদুঘর মেন্যুতে ঢাকার ধানমণ্ডিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু জাদুঘর এবং টুঙ্গিপাড়া জাদুঘরের ঠিকানা ও গুগল ম্যাপে অবস্থান পাওয়া যাবে।

গুগল প্লে-স্টোর থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ অ্যাপটি https://play.google.com/store/apps/details?id=com.mcc.bangabandhu এই লিংকে গিয়ে ডাউনলোড করা যাবে। এ ছাড়া গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু’ লিখে সার্চ দিয়েও অ্যাপটি স্মার্টফোনে ডাউনলোড ও ইনস্টল করা যাবে।

সূত্র: কালের কন্ঠ