জন্মদাগই তাকে বানিয়েছে অনন্যা-অপরূপা - Women Words

জন্মদাগই তাকে বানিয়েছে অনন্যা-অপরূপা

ব্রাজিলের ২৪ বছর বয়সী তরুণী মারিয়ানা মেন্ডেজ তিনি জন্মেছেন তার মুখের বড় একটি অংশজুড়ে জন্মদাগ নিয়ে অনেকের চোখে তা বিদঘুটে কিন্তু এই জন্মদাগই তার অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে এর জন্য তিনি মোটেও লজ্জিত নন ইতিমধ্যে নারীদের মাঝে বেশ ভাইরাল হয়েছেন তিনি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠছেন  

মানুষ তার ওজন, ত্বক, চুল, চোখ অন্যান্য বৈশিষ্ট্যকে সৌন্দর্যের মাপকাঠি ধরে নেয় মুখের সামান্য মানুষের দৃষ্টিতে সৌন্দর্যহানির কারণ হয়ে ওঠে কিন্তু এত সহজে তা মানতে নারাজ মারিয়ানা।

এমন দাগে যেকোনো মেয়েকে সমাজে অনেক কটু কথা শুনতে হতো। কেউ কিছু না বললেও মেয়েটি দারুণ লজ্জায় হয়তো কারো সামনে যেতেই চাইতো না। কিন্তু মারিয়ানার স্মার্টনেসই জন্মদাগসহ তাকে অপরূপা বানিয়েছে। তিনি আত্মবিশ্বাস হারাননি। বরং এটাকে তার বিপুল আত্মবিশ্বাস সৌন্দর্যের প্রতীক বলে মনে করেন  

তার কপাল থেকে নাক হয়ে যান চোখের নিচ পর্যন্ত ছড়িয়েছে জন্মদাগ এমন দাগ জন্ম নেওয়া প্রতি ২০ হাজার শিশুর মধ্যে একজনের হতে পারে আসলে ত্বকের নিচের অনেক বেশি পিগমেন্ট জমা হয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মারিয়ানার মা মাত্র বছর বয়সেই লেজার চিকিৎসা করিয়েছিলেন কারণ এর জন্য মারিয়ানাকে অনেক কথাই শুনতে হবে

কিন্তু মারিয়ানার চিন্তা ভিন্ন। বলেন, ‘এটা আমার বিশেষ চিহ্ন। এটাই আমাকে অন্যদের থেকে পৃথক করেছে। আমার চেহারায় জন্মদাগ রয়েছে। এটা কয়জনের থাকে? বেশিরভাগ মানুষই এটাকে পছন্দ করে না। কিন্তু এতে আমার কিছু যায় আসে না। এটার বদৌলতেই নিজেকে আরো বেশি সুন্দর মনে হয়। অনেকে তো সুন্দর দেখাতে ট্যাটু করে। এটা আমার প্রাকৃতিক ট্যাটু। জন্মদাগই বলে দেবে আমি কে।’

সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস, কালের কন্ঠ