বখাটে করিমের দোকান ভাঙচুর, দুই ছাত্রীকে পেটানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন - Women Words

বখাটে করিমের দোকান ভাঙচুর, দুই ছাত্রীকে পেটানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজধানীর বিসিআইসি কলেজের একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে (জমজ বোন) পেটানোর ঘটনায় ওই কলেজের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বখাটে করিমের দোকান ভাঙচুর করেছেন। চিড়িয়াখানা রোডের বিসিআইসি কলেজের সামনে বৃহস্পতিবার ১১টায় আয়োজিত মানববন্ধন চলাকালে শিক্ষার্থীরা এ ভাঙচুর করেন। করিম এখনও পলাতক আছেন।

এ সময় কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আফরাফুল ইসলাম বখাটেদের শান্তি দাবি করেন।

কলেজের একদল বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী মানববন্ধন চলাকালে করিমের অহনা ফাস্ট ফুট অ্যান্ড খাবারের হোটেলে ভাঙচুর চালান। এসময় তারা একটি বাসও ভাঙচুর করার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে ফেরত পাঠায়। মানববন্ধন চলাকালে কলেজের সামনে প্রায় ১ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটল পুলিশের দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সৈয়দ মামুন মোস্তফা বলেন, ‘গতকালের হামলার ঘটনায় মানববন্ধন করছিল বিসিআইসি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় কলেজের শিক্ষার্থীরা জীবন করিমের দোকান ভাঙচুর করে। আমরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে কলেজে ফেরত পাঠিয়েছি।’

ওই হামলার মামলা প্রসঙ্গে সৈয়দ মামুন মোস্তফা বলেন, ‘এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর মূল আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

এদিকে, হামলার শিকার দুই ছাত্রীকে বখাটেরা ‘ফার্মের মুরগী’বলে উত্যক্ত করেছিল বলে অভিযোগ করেন তাদের বাবা আহসান হাবীব । তিনি জানান, এর প্রতিবাদ করায় বখাটেরা তাদের বাঁশ দিয়ে পেটায়। পিটুনীর ফলে এক বোনের পা ভেঙে যায় বলে দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে দুই বোন সানিয়া হাবীব মীম (১৭) ও আসোয়াদ হাবীব জীম (১৭) কলেজ ছুটির পর বাসায় যাচ্ছিল। কলেজের সামনে ফুটপাতের দোকানে বসে থাকা কয়েকজন বখাটে এ সময় তাদেরকে উত্ত্যক্ত করে। দু’বোন এর প্রতিবাদ করায় বখাটেরা তাদের ধাক্কা দেয়। এরপর বাবু ও জীবন নামে দুই বখাটে বাঁশ দিয়ে তাদের পিটিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের পিটুনীতে দুই ছাত্রীর একজনের পা ভেঙে যায়। তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ওই দুই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে শাহ আলী থানায় একটি মামলা করেন।

এ বিষয়ে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ পৌঁছে। এ ঘটনায় লুৎফর রহমান বাবু নামের একজনকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দিয়েছে।’ 

আহত দুই বোনের বাবা  আহসান হাবীব বলেন, ‘এই বখাটেরা আগেও কলেজের শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করতো। বিভিন্ন সময় অভিভাবকরা এ ধরনের অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। মীমের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে। জীমের পা ভেঙে গেছে। তাকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় নিয়ে এসেছি।’

বাবা-মায়ের সঙ্গে মীম ও জীম মিরপুরের ১০৪০/ পূর্ব মনিপুরের বাসায় থাকেন।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন