দার্জিলিং-এ সিগারেট খেলেই জরিমানা - Women Words

দার্জিলিং-এ সিগারেট খেলেই জরিমানা

অমিতাভ ভট্টশালী

দার্জিলিং এ বেড়াতে গিয়ে যদি ভুলেও সিগারেট ধরিয়েছেন, তাহলেই কিন্তু দুশো টাকা গচ্চা যাবে আপনার!

জেলা প্রসাশন ১৫ই অগাস্ট থেকে প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করতে উদ্যোগ শুরু করেছে। রাস্তায় বা হোটেল-রেস্তোঁরায় সিগারেট ধরালেই জরিমানা দিতে হবে এখন থেকে।

দার্জিলিং শহরের চৌরাস্তা বা ‘ম্যাল’-এ ধূমপান বেশ কয়েক বছর ধরেই বন্ধ, কিন্তু সেই নিয়ম এবার গোটা জেলাতেই প্রয়োগ করতে শুরু করেছে প্রশাসন।

দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলছিলেন, “আইনটাতো অনেক পুরণো, ২০০৩ সালের, যেখানে প্রকাশ্য ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সব জেলা প্রশাসনকেই চিঠি দিয়ে ওই আইনটা কঠোর ভাবে প্রয়োগ করতে বলেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারও একটা ধূমপান বিরোধী জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্য কিছু অর্থ দিয়েছে। সেটা দিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি।“

ভারতে ২০০৩ সাল থেকেই রাস্তা, হোটেল, রেস্তোঁরা, হাসপাতাল, ট্রেন-বাস- বিমানবন্দর সব জায়গাতেই ধূমপান নিষিদ্ধ। কিছু হোটেল বা রেস্তোঁরায় অবশ্য সিগারেট খাওয়ার জন্য পৃথক ঘর রাখার নিয়ম রয়েছে।

প্রকাশ্যে সিগারেট খেলে যেমন ২০০ টাকা জরিমানার নিয়ম রয়েছে, তেমনই কোনও স্কুলের কাছে সিগারেট- বিড়ি বিক্রি করা হলে অথবা ২১ বছরের কম বয়সীদের কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা হয়ে ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা জরিমানা আর সঙ্গে জেলও হতে পারে ভারতে।

হাসপাতাল বা হোটেল রেস্তোঁরা বা ট্রেনে ধূমপান একরকম বন্ধ হয়ে গেলেও রাস্তায় সিগারেট খাওয়া মানুষের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার।

পাশের রাজ্য সিকিমে অবশ্য বেশ কয়েক বছর ধরেই সিগারেট খাওয়া আর বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ। ভারতের প্রথম ‘স্মোক-ফ্রি’ রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতিও পেয়েছে তারা। ওই রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে দোকানদার অথবা গাড়ি চালকদেরও অধিকার দেওয়া রয়েছে কাউকে ধূমপান করতে দেখলেই রীতিমতো রসিদ দিয়ে জরিমানা আদায় করার।

পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আর এখন দার্জিলিংয়ের মতো পর্যটন কেন্দ্রেও প্রকাশ্যে ধূমপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা শুরু হল।

দার্জিলিং এ অবশ্য গত দুতিন দিনে কাউকে জরিমানা করা হয় নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন নতুন নিয়মতো, তাই ভয়ে কেউ এখন আর রাস্তা-ঘাটে সিগারেট খাচ্ছে না।

সৌজন্যে: বিবিসি বাংলা