মারজানের তথ্য চেয়েছে ডিএমপি - Women Words

মারজানের তথ্য চেয়েছে ডিএমপি

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ (হোতা) হিসেবে জেএমবির এক সদস্যকে খুঁজছে পুলিশ। যার সাংগঠনিক নাম মারজান ও তিনি বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানা গেছে। তার বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য ডিএমপি নিউজে ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর হ্যালো সিটি অ্যাপস এ নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।
ডিএমপি’র নিউজ পোর্টালে এই যুবকের একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। পরনে হালকা নীল টি-শার্ট। মারজানের মাথায় ঘন চুল, মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি ও গোঁফ রয়েছে। ডিএমপি নিউজ পোর্টালে মারজান সম্পর্কে বলা হয়, ‘গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকালীন সন্ত্রাসীরা এই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সাংগঠনিক নাম ‘মারজান’। তিনি ওই ঘটনার সন্দেহভাজন। তার পরিচয় সম্পর্কে জানা থাকলে “Hello CT” অ্যাপসের মাধ্যমে অবহিত করুন।’

পুলিশ জানিয়েছে, হলি আর্টিজানে হামলার সময় জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী পাঁচ হামলাকারীকে নিয়ে গুলশানে যান। তামিমের সঙ্গে মারজানও ছিলেন। পরে পাঁচজনের গ্রুপটি দুইভাবে বিভক্ত হয়ে পায়ে হেঁটে হলি আর্টিজানে প্রবেশ করে। আর মারজান কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় চলে আসেন।|
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেরোরিজমের (সিটি) প্রধান ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুর ইসলাম বলেন, ‘হলি আর্টিজানে হামলার পর জঙ্গিরা গোপন অ্যাপসের মাধ্যমে যে ছবি বাইরে ছড়িয়ে দিয়েছিল,তা মারজানের কাছে এসেছিল। তিনি ওই লিংক ওপেন করেছিলেন। মারজান হল জেএমবি থেকে দেওয়া সাংগঠনিক নাম। তার আসল নাম এখনও জানা যায়নি। তার আরও সাংগঠনিক নাম থাকতে পারে। জেএমবির অন্য সদস্যদের কাউন্সেলিংও করাতেন মারজান।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, মারজান উচ্চ শিক্ষিত। তিনি ঢাকাতেই আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে গ্রেফতারকৃত এক জঙ্গির মোবাইল থেকে মারজানের ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই জেএমবি সদস্য পুলিশকে জানিয়েছেন, মারজান নামেই জঙ্গি সংগঠনে তিনি পরিচিত। তার বাড়ি কোথায়, কি করেন তা তারা জানেন না।

পুলিশ জানিয়েছে, জেএমবির প্রচার বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন মারজান। গুলশান হামলার পর জঙ্গিরা নাশকতার যে ছবি পাঠিয়েছিল, তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ ছিল তার। অ্যাপসের মাধ্যমে জঙ্গিদের সঙ্গে তিনি কথাও বলেছিলেন। হলি আর্টিজানের নাশকতার ভেতরের ছবি মারজানের কাছে পাঠানোর পর তার প্রশংসা করেছিলেন তিনি। মারজানের প্রশংসা পেয়ে জঙ্গিরাও খুশি হয়েছিল।

মারজান কল্যাণপুর বসে পুরো গুলশানের হামলাটি মনিটরিং করেন বলে গোয়েন্দা পুলিশ জানায়। তবে কল্যাণপুরে তিনি হামলার পর আর অবস্থান করেননি বলেও জানায় তারা।