ভয়ঙ্কর কথাবার্তা ট্রাম্পের : হিলারি - Women Words

ভয়ঙ্কর কথাবার্তা ট্রাম্পের : হিলারি

আবারও ট্রাম্পকে একহাত নিলেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন। সঙ্গে এও জানালেন, ডেমোক্র্যাটদের হয়ে নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনিই লড়বেন। দলীয় তরফে চূড়ান্ত ঘোষণার বেশ খানিকটা আগেই। কাল এক মার্কিন সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিলারি বলেন, দলের তরফে সিদ্ধান্ত প্রায় হয়েই গিয়েছে। অন্য রকম কিছু হতেই পারে না। প্রার্থী হয়ে আমিই লড়ছি।

সাক্ষাৎকারটিতেই হিলারি তোপ দাগেন ট্রাম্পকে। সাফ জানান, ট্রাম্পের মতো বিতর্কিত প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট করার ঝুঁকি সামলাতে পারবে না আমেরিকা। ফের তাঁকে ‘অকেজো কামান’ বলেও বেঁধেন প্রাক্তন বিদেশসচিব। প্রচারের শুরু থেকেই যিনি নিজেকে বারাক ওবামার উত্তরসূরি বলে আসছেন। আর ট্রাম্প আগাগোড়াই উল্টো পথে হাঁটছেন। বিদেশনীতি তো বটেই, প্রচারের শুরু থেকেই মার্কিন প্রতিরক্ষা নীতিরও সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ‘একঘরে’ একনায়ক কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে আসার কথা বলেও বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সে সব কথা মাথায় রেখেই হিলারি বলেন, ‘‘শুধু বিতর্কের জন্ম দেওয়া নয়, ট্রাম্প যে সব প্রচার করছেন, তা ভয়াবহ।’’ সম্প্রতি কিছুটা সুর নরম করলেও, আমেরিকায় মুসলিম প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চাওয়াটা ট্রাম্পের মারাত্মক ভুল বলে মন্তব্য করেন হিলারি।

কিন্তু নিজেকে প্রার্থী বলে হিলারির এই আগাম ঘোষণা কেন? এখনও পর্যন্ত প্রাইমারি-ককাসের যা অঙ্ক, তাতে ভেরমন্টের সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স চেয়ে প্রাক্তন বিদেশসচিব হিলারির পাল্লাই ভারি। মনোননয়ন পেতে প্রয়োজন ২,৩৮৩ ডেলিগেটের সমর্থন। হিলারির ঝুলিতে এরই মধ্যে ২,২৯৩টি। তবু মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশ মনে করছেন, প্রধান প্রতিপক্ষ ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই হিলারি নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেন।

ট্রাম্পের অবশ্য এ সবে হেলদোল নেই। হোয়াইট হাউসের দৌড় থেকে কোনও ভাবেই তিনি সরে আসতে নারাজ। প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ধরে নিয়েই ট্রাম্প কাল বিশেষ বার্তা দিয়েছেন চিনকে। নিউ জার্সির প্রচারে গিয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমি ক্ষমতায় এলে নিশ্চিত ভাবে চিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের উন্নতি হবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাব আমরা।’’