শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত সৈয়দ হক - Women Words

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত সৈয়দ হক

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মরদেহ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। বৃষ্টিভেজা সকালে সর্বস্তরের মানুষ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানান। কফিন ঢেকে গেছে ফুলে ফুলে।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর কফিনে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি সৈয়দ হকের স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হকের সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁকে সান্ত্বনা দেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিত ঘোষ বলেন, “রবীন্দ্রনাথের পরে বাংলা সাহিত্যের সর্বক্ষেত্রে বিচরণ করা সৈয়দ শামসুল হকের মতো লেখক আমরা আর পাইনি।… তাকে বুঝতে হলে তার লেখা পাঠ করতে হবে।”

শ্রদ্ধা জানানোর পর বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্য রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘তিনি যে জায়গায় হাত দিয়েছেন সেখানেই সোনা ফলেছে। তার প্রায় পৌনে ২০০ কবিতা, ৮টি গল্পসহ অসংখ্য রচনা রয়েছে। তিনি জীবনে সময়ের অপচয় করেননি। তিনি তার যে সৃষ্টি রেখে গেছেন তার বাংলা সাহিত্যের জন্য বিপুল সম্ভার। আমরা সেগুলো পড়লে সমৃদ্ধ হবো। তার রচিত মঞ্চনাটক পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাটক। সবচেয়ে বড় কথা তার বুকে ছিল বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু।’

রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বস্তরের মানুষ কবির প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য  বেলা ১টা পর্যন্ত তাঁকে রাখা হবে শহীদ মিনারে।পশ্চিমপাশে রাখা হয়েছে শোকবই ।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে সৈয়দ হককে নেওয়া হবে। জানাজা শেষে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হবে জন্মস্থান কুড়িগ্রামে। সেখানে সরকারি কলেজ মাঠের পাশে কবির নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানেই তাঁকে দাফন করা হবে।

তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে সকাল সোয়া ১০টার দিকে সৈয়দ হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চ্যানেল আই পরিবারের সদস্যসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক মানুষ অংশ নেন।

চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ থেকে সৈয়দ হকের মরদেহ বাংলা একাডেমিতে নেওয়া হয় । সেখানে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন।

সূত্র: বিডিনিউজ. বাংলাট্রিবিউন