রাহিমা বেগম Archives - Women Words

Tag: রাহিমা বেগম

বাংলাদেশে প্রবাসীদের টাকা বিনিয়োগের কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা নেই

বাংলাদেশে প্রবাসীদের টাকা বিনিয়োগের কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা নেই

রাহিমা বেগম ও ড্রাইভার যাইবায়নি জিন্দাবাজার? ৩০ টাকা দিমু (এই রিক্সা যাবে? ৩০ টাকা দিব)। যে জায়গায় যেতে রিকশা ভাড়া ১০ টাকা, সিলেটে থাকা প্রবাসীর আত্মীয়রা আগ বাড়িয়ে ৩০ টাকা রিকশা ভাড়া বলে দিবেন। যেখানে ৩০/৪০ টাকা রিকশা ভাড়া সেইসব আত্মীয়রা ২০০ টাকা সিএনজি রিজার্ভ করে ঘুরে আসবেন। নিজে ইনকাম করলে হয়ত ১০০০ টাকা দামের জামা কিনতেন না, অথছ প্রবাসী আত্মীয়'র পাঠানো টাকায় ৩০০০/৪০০০ টাকার নীচে জামাকাপড় কিনেন না। আজ এই মোবাইল সেট, দুই-তিনমাস পরে নতুন আরেক মডেল, এই রেষ্টুরেন্টে একদিন খেতে যাওয়া, অন্যদিন আরেকটাতে। বন্ধু বান্ধব নিয়ে হৈ হুল্লোড়, আড্ডা দেওয়া, ঘুরতে যাওয়া এসব লেগেই থাকে। সর্দি কাশি দেয়ার আগে ডাক্তার, এই ডাক্তার সেই ডাক্তার কত কত টেস্ট, দামী দামী ক্লিনিকে ভর্তি না হলে চিকিৎসাই হয়না। এত এত বিলাসিতা, খরচ করতে এইসব আত্মীয়দের এতটুকু চাপ নিতে হয়না কারণ সেই খরচের টাকা পেতে কোন কষ্ট করতে হয়না, শুধু
সমাজ থেকে এসব কুপ্রথা চিরতরে বন্ধ হোক

সমাজ থেকে এসব কুপ্রথা চিরতরে বন্ধ হোক

রাহিমা বেগম আমার নানাবাড়ির দিকের আত্মীয়, সম্পর্কে খালু। গতকাল ইফতারের পর হন্যে হয়ে আমাদের বাসায় আসেন। আম্মাকে এসে বলেন, আপা আপনাদের যাকাতের টাকা আমাদের দিয়ে সাহায্য করেন। আমরা ভাবলাম খালু বড় কোন বিপদে পড়েছেন, কিংবা খালার হয়ত শরীর বেশি খারাপ। কারণ খালা ক্যান্সার রোগে ভুগছেন। খালুরা সিলেটের আদি বাসিন্দা, সম্ভ্রান্ত পরিবারের। যেকোন মানুষের কোন বিপদে না বলতেই ঝাপিয়ে পড়েন সাহায্য করতে। আমাদের ও যে কত সহযোগিতা করেন তা হিসেবের বাইরে। খালুর চার মেয়ে, দুই ছেলে। অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের হলেও খালার চিকিৎসা, উনার দুই সন্তানের চিকিৎসাসহ ব্যবসায়ে লোকসানের কারণে এখন আর্থিক অবস্থা খু্বই খারাপ। ছোটখাট ব্যবসা থাকলেও স্ত্রীর চিকিৎসা আর ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খরচ চালাতে আত্মীয় স্বজনদের থেকে আর্থিক সাহায্য নিতে হয় নিয়মিত। খালু অনেক কষ্টের মধ্যে থেকেও সবগুলো ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করাচ্ছেন। বড় মেয়ে ভার্সিটিতে তৃতী
‘ভুনা খিচুড়ি তে ইফতার’

‘ভুনা খিচুড়ি তে ইফতার’

রাহিমা বেগম একটা বাস্তব সুন্দর গল্প বলি। খুব বেশিদিন আগের না, মাত্র ৩৬৫ দিন, মানে বছরখানেক আগের ঘটনা। ঠিক এক বছর আগে সিলেটে আমাদের এক চাচাত ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। তখনও রমজান শুরু হয়নি। রোজার কিছুদিন আগে তার এংগেজমেন্ট হয়েছে। রোজা ও ঈদের পরপরই বিয়ে হবে। দুই পরিবারের মধ্যে নতুন সম্পর্ক, নিয়মিত আসা যাওয়া। ছেলে পক্ষের অবস্থা ভাল, নিজেদের নিজস্ব বিল্ডিং আছে, মেয়ে পক্ষের ও অবস্থা অনেক ভাল। পরিবারের ভাল ব্যবসা বাণিজ্য রয়েছে। এক আত্মীয় আরেক আত্মীয় এর বাসায় আনাগোনার সময নিয়মিত মিষ্টি মিঠাই আনা হয়। বিয়ের আগেই দুই পরিবারের মধ্যে সুন্দর একটা বন্ধন তৈরি হয়ে গেল। রোজা চলে এলো। প্রথম রোজায় মেয়ের পরিবার থেকে ছেলের পরবারে হাল্কা ইফতার পাঠানো হলো। দুই পরিবার খুব খুশি। এক সপ্তাহ গেল এখন সিলেটি রেওয়াজ অনুসারে মেয়ের পরিবার থেকে মেয়ের আমৃত্যু যে যৌতুক দিয়ে যেতে হয় সেই যৌতুক দেয়ার পালা, আশা করছি বুঝতে পারছেন।
বন্ধ হোক মেয়েদের অসম্মান করা প্রথা সব

বন্ধ হোক মেয়েদের অসম্মান করা প্রথা সব

রাহিমা বেগম নিজের একজন নিকট আত্মীয়ের গল্প দিয়ে শুরু করছি। উনাদের পিতা মারা গেছেন অনেক আগেই। মা অনেক কষ্টে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা করানোর চেষ্টা করেছেন। আত্মীয়দের মধ্যে অনেকেই বেশ অবস্থাসম্পন্ন।তাই সব সময় সকলে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন প্রতিনিয়ত। তাদের বিয়েতেও সবাই সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন। সিলেটের বিয়ে মানে তো বোঝেন! কাড়ি কাড়ি যৌতুক, আজীবন যৌতুক, সে যে বা যত ভদ্র সদ্দর পরিবার ই হোক। ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে ঝাড়ৃ, দা, সিল-পাটা সবই দিতে হয়। যদিও আমাদের সিলেটিরা এটাকে যৌতুক বলার পক্ষে না। কিন্তু কেন এগুলো যৌতুক নয় তা আমার বোধগম্য নয়। আর আজীবন যৌতুকের মধ্যে পরে আম কাঁঠলি, মানে গ্রীষ্মকালীন ফল ঠেলা বা ট্রাক ভর্তি করে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পাঠানো, রমজান মাসে প্রথম দিনের ইফতারী, পরে বড় করে শ'খানেক মানুষের উদরপূর্তি করার জন্য ইফতারের ডালি। এই প্রথা চলতে থাকে মেয়েটির নাতি নাতনি হওয়ার পর পর্যন্
বৃষ্টিময় স্বপ্ন আর বাস্তবতা

বৃষ্টিময় স্বপ্ন আর বাস্তবতা

রাহিমা বেগম ফাগুনের মাঝামাঝি, সকালে মিষ্টি রোদ, দুপুরে চায়ের সাথে গরম গরম পাকোরা, বিকালে স্ত্রী সন্তানের হাত ধরে ঠান্ডা বাতাসে ঘুরে বেড়ানো- সব শেষে সন্ধ্যার পর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে ঘরে ফিরা। সব মিলিয়ে জীবন সুন্দর, সুন্দর এই বেঁচে থাকা। রাতের খাবার খেয়ে কিছুক্ষন গল্পের বই পড়ছিলাম, ততক্ষণে তারা দুজনেই গভীর ঘুমে। এতক্ষন আস্তে আস্তে যে বাতাস বইছিলো হঠাৎ করে তার গতি বেড়ে গেল। ঝুম বৃষ্টি! মা মেয়ে দুজনে শীতে কুকড়ে আছে, কাঁথাটা টান দিয়ে দুজনের গায়ে দিলাম। ঠাস করে জানালায় শব্দ হলো, বৃষ্টির পানিতে রুমের কার্পেট ভিজে গেল। আজ ও একই ভুল, জানালা বন্ধ করা হয়নি! মশারি খুলে বের হলাম। জানালার কাঁচ টান দিতে যাব তখনই আরেকটা দমকা হাওয়া আর বৃষ্টির ঝাপটা আমাকে ভিজিয়ে দিয়ে গেল। কোন রকমে কষ্ট করে জানালা বন্ধ করলাম, ততক্ষণে অবশ্য পুরো ভিজে গেছি। জানালার পাশে গাছটার ডালপালার জন্যই বৃষ্টির পানি বেশি ঢুকে রুমে, গ
কাব্য লিখনের গল্প

কাব্য লিখনের গল্প

রাহিমা বেগম কি ব্যাপার, চা যে ঠান্ডা হচ্ছে? ওহ! খুব খুশি মনে হচ্ছে? হুম! কি ব্যাপার বলতো? বলব, তার আগে বলো কতদিন আমরা দূরে কোথাও ঘুরতে যাইনা? সে তো অনেকদিন। এখন তো আগষ্ট মাস। পুরো আট মাস! এই বছর কোথাও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে না? করছেনা আবার! এত কাজের চাপ। একটু ঘুরে আসতে পারলে ফ্রেশ লাগত। আগামি সপ্তাহে ছুটি নিতে পারবে? আমি আজকে মোটামোটি প্ল্যান করে অফিসে এসেছি, পুরা সপ্তাহের ছুটি নিব। ইচ্ছে আছে ভারত ঘুরে আসার। সত্যি! ভালো হবে তাহলে। তুমি ছুটি নিতে পারবে? কেন পারবনা, আমার অনেকগুলো কম্পেনসেসন লিভ ই আছে। খুব ভালো! কাল অফিসে গিয়েই ছুটির ব্যাপারে আলাপ করে নিও। এই শুনো, সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ আমার একটা ওয়ার্কশপ আছে। তাই অন্তত ৭-৮ তারিখের মধ্যে ফিরতে হবে। আর প্রোগ্রামের টেনশন মাথায় নিয়ে গিয়ে ঘুরেও আনন্দ পাওয়া যাবেনা। তাহলে কি করা? ট্যুর বাতিল? নাহ! কি করা? একটা বুদ্ধি আসছে! কি? আচ্ছা পুরো ভিজিটের প্
মেয়ে হারিয়ে ফেলো না নিজেকে

মেয়ে হারিয়ে ফেলো না নিজেকে

রাহিমা বেগম বিয়ের পর সংসারে মেয়েদের মোটামুটি দুইটার যেকোন একটা উপায় বেছে নিতে হয়। প্রথম উপায় নতুন সংসারে সবার মন জয় করে সবাইকে খুশী রেখে চলা। এই উপায়ে পরিবারের একজন  ভাল বউ হিসেবে পরিবার আর আত্মীয়স্বজনের সকলের কাছ থেকে সর্বদা প্রশংশা আর সুখ্যাতি অর্জন করা যায়। প্রথম উপায়ের সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে একটা শর্ত মানা মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক, সেটা হচ্ছে নিজস্বতা, , স্বকীয়তা, স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত পছন্দ -অপছন্দ, সুখ -স্বাচ্ছন্দ্যতা,নিজের ক্যারিয়ার, আর নিজের বাপ মায়ের পরিবারের প্রতি সবধরনের স্নেহ মায়া ও দায়িত্ববোধ সবকিছু নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ করতে হবে। দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে প্রথম উপায়ের যে শর্ত আছে সেটাই ভেঙে নতুন পরিবারের সাথে মানিয়ে চলে সুখী হওয়ার চেষ্টা করা। প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন থাকে যে তাঁর একটি সুন্দর হাসিখুশী সংসার হবে। সেকারণে এদেশের শতকরা নব্বই ভাগ মেয়েরাই প্রথম উপায়টা অনুসরণ করে। তাছাড়া একজন
নষ্ট বীজ, দুষ্টু মানব

নষ্ট বীজ, দুষ্টু মানব

রাহিমা বেগম ভাল বীজ সংরক্ষণ করা কষ্টকর । খারাপ বীজ যে কোন ভাবে ফেলে রাখলেও মাটি-পানির স্পর্শ পেলে নতুন চারার জন্ম দেয়। তারপর বিস্তার করতে থাকে তার শাখাপ্রশাখা। একাত্তরের খুনী ধর্ষণকারীদের তখনই যদি শাস্তি দেওয়া হতো তাহলে হয়ত এদেশের রাস্তা-ঘাটে, বাস-টার্মিনালে, মসজিদ, মন্দির, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে, এমনকি সংরক্ষিত নিরাপদ সেনানিবাসে এত ধর্ষণকারী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে নির্ভিগ্নে ধর্ষণ করে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারতনা। তখনকার ধর্ষণকারী বীজগুলো নষ্ট না করায় আজ এদের মাধ্যমে এত এত বিষ বৃক্ষের জন্ম হয়েছে। সব বিষবৃক্ষ সমূলে উৎপাটন করা শুধু কষ্টকর নয় অসম্ভব ও বটে। তবে সকল বিষবৃক্ষগুলো ধ্বংস করতেই হবে, এর কোন বিকল্প নেই। একাত্তরের ধর্ষণকারী, ধর্ষণের সহযোগীতাকারী, ধর্ষণ আড়ালকারী, প্রশ্রয়দাতা আর বর্তমান সময়ের ধর্ষণকারী, ধর্ষণকাজে সহযোগীতাকারী, মদদকারী, আশ্রয় প্রশ্রয়দানকারী সকলে আমার কাছে সমান অপরাধী। এ
অনুভূতিহীন রোবট সন্তানরাই জঙ্গিবাদে পা দিচ্ছে

অনুভূতিহীন রোবট সন্তানরাই জঙ্গিবাদে পা দিচ্ছে

রাহিমা বেগম একটা দামী মোবাইল, একটা ট্যাব, ল্যাপটপ, লাখ টাকা খরচ করে সাউন্ড সিস্টেম। ছেলেমেয়ের শোবার ঘরে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বাড়তি ডেকোরেশন করে দিন অসুবিধা নেই। তবে সুযোগ থাকলে কিনে দিন গরু, ছাগল বা গৃহপালিত অন্য কোন পশু। প্রাণীকে যথাসময়ে খাবার দেওয়া, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, নিয়ম করে গোসল করাতে বলুন। তাহলে প্রাণীটির সাথে একটা ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠবে আপনার সন্তানের। সেই সাথে মানবিকতার ভিতরে শক্তিশালী হয়ে উঠবে মানবিক সত্ত্বাটাও। প্রাণীগুলোকে ভালোবাসতে গিয়ে, শৃংঙ্খলা শেখাতে গিয়ে আপনার ছেলেমেয়ের মধ্যে আবেগ-ভালোবাসা জন্মাবে। তারা সুশৃংঙ্খল হয়ে উঠবে, তাদের অনুভূতিগুলো গাঢ় হবে। সম্পর্কটা এমন হবে সামান্য কষ্টে প্রাণীটি যতটুকু ব্যথা পাবে তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট পাবে তাকে দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা আপনার ছেলেমেয়ে। প্রাণীগুলোর চোখে পানি আসলে আপনার সন্তানদের চোখেও পানি আসবে। প্রাণীগুলো উচ্ছৃঙ্খল আচরণ কর