অদিতি ফাল্গুনী Archives - Women Words

Tag: অদিতি ফাল্গুনী

ইন্টার-এ্যাকশন্যাল ভ্যান্ডালিজম, ভিখু বা মজনু

ইন্টার-এ্যাকশন্যাল ভ্যান্ডালিজম, ভিখু বা মজনু

অদিতি ফাল্গুনী মূল প্রসঙ্গে যাবার আগে একটি জরুরি বিষয়ে কথা বলে নিই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিতা বোনটিকে কি আসছে ১২ জানুয়ারিই পরীক্ষা দিতে হবে? আমাদের ‘সুমহান কর্তব্যে কঠোর’ বিশ্ববিদ্যালয় কি তাদের একশো বছরের অচল নিয়মগুলো বাস্তবিক কোনদিনই বদলাবে না? ফেসবুকে অনুজ রাফি শামসের পোস্ট থেকে জেনেছিলাম যে বাবাকে হারিয়ে উদ্ভ্রান্ত ২১/২২-এর রাফি তার ডিপার্টমেন্টে আসন্ন পরীক্ষার ভার মাথায় নিয়ে যে শিক্ষককে গিয়ে বলেছে, ‘স্যার- আমার বাবা মারা গেছে!’ অচল, নিরেট শিক্ষক উত্তর করেছে, ‘তাতে আমি কি করব?’ আমার ত সেকেন্ড ইয়ারে উঠেই আট মাস কেমো নিয়ে পুরো বছরটাই ড্রপ গেছিল। আবার তার দু’বছর পর একটি সার্জারিতে ছ’মাস ঘরবন্দী থেকে মাত্র তেরো দিনের ক্লাস করে যে পরীক্ষা দিয়েছিলাম, তাতে সব মিলিয়ে একশো নম্বরের পরীক্ষাই মিস গেছিল। এটা পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে ভাবাও যাবে না। আমি অনলাইনে (অন্তর্জাল) ডাচ সমাজবিজ্ঞানের এক ব
মায়া এ্যাঞ্জেলো : জীবন ও কবিতা

মায়া এ্যাঞ্জেলো : জীবন ও কবিতা

অদিতি ফাল্গুনী  বিশ্বখ্যাত মার্কিনী কবি, গায়িকা, অভিনেত্রী, সাংবাদিক ও নাগরিক অধিকার কর্মী মায়া এ্যাঞ্জেলো (এপ্রিল ৪ ১৯২৮- মে ২৮, ২০১৪) এক জীবনে প্রকাশ করেছেন মোট সাতটি আত্মজীবনী, তিনটি প্রবন্ধ সংকলন, বেশ কয়েকটি কবিতার বই। এছাড়াও পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে অসংখ্য নাটক, সিনেমা ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন তিনি। ডজন খানেক পুরষ্কার ও পঞ্চাশটির বেশি সাম্মানিক ডিগ্রি অর্জন করেছেন এই নারী। তবে মায়া সবচেয়ে বেশি পরিচিতি অর্জন করেছেন তাঁর সাত খন্ডের আত্মজীবনী রচনার মাধ্যমেই। ‘আমি জানি কেন খাঁচার পাখি গান গায় (আই নো হোয়াই দ্য কেজড বার্ড সিংস-১৯৬৯)’ রচনার মাধ্যমেই মায়া আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও স্বীকৃতি অর্জন করেন এবং এই বইয়ে তাঁর শৈশব থেকে সতেরো বছর বয়স অবধি জীবনের ইতিবৃত্ত অকপটে বর্ণনা করেছেন তিনি। কঠোর সংগ্রামের জীবনে কি করেননি তিনি? কবি ও লেখক হবার আগে রাঁধুনী, যৌনকর্মী, নৈশ ক্লাব নাচিয়ে, অপেরা অ
মেরী দেনিসকে লেখা সিমোন দ্য বোভোয়ার-এর তিনটি চিঠি

মেরী দেনিসকে লেখা সিমোন দ্য বোভোয়ার-এর তিনটি চিঠি

. ফরাসী থেকে ভাষান্তর: অদিতি ফাল্গুনী মেরী দেনিস ১৯২০ সালে বেলজিয়ামে জন্মগ্রহণ করেন। অনুজ এই নারী ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিককে সিমোন দ্য বোভোয়ার (জন্ম: ১৯০৮) মোট চব্বিশটি মিতায়তন বা সংক্ষিপ্ত চিঠি লেখেন যার পাঁচ/ছয়টি চিঠি অন্তর্জালে পাওয়া যায়। সেখান থেকেই তিনটি চিঠি উইমেন ওয়ার্ডস-এর পাঠকদের জন্য অনুবাদ ও প্রকাশ করা হলো। খুব সংক্ষিপ্ত এই তিনটি চিঠিতেও অনুজ লেখকদের প্রতি ব্যক্তি সিমোনের সহৃদয়তা, সৌজন্য ও অগ্রজ লেখকের দায়িত্বসুলভ পরামর্শ প্রদানের বিষয়টি আমাদের চোখে ধরা পড়ে: ২৮ অক্টোবর ১৯৬৩ মাদাম, আপনার সদয় ও সহৃদয় চিঠির জন্য ধন্যবাদ। এবং আমার প্রতি আপনার বিশ্বাস স্থাপনের জন্যও ধন্যবাদ। আমাকে পাঠানো আপনার দু’টো ছোটগল্পই আগ্রহ ও আনন্দের সাথে পড়লাম। বিশেষত: আপনার এক মাসী তাঁর জীবনে যা কিছু করেছেন বা তাঁর জীবন সংগ্রাম নিয়ে লেখা গল্পটি আমার খুবই ভাল লেগেছে। সেই বিবরণ সত্যিই বড় সূক্ষ্ম, আপনাকে যা ক
ট্রাম্প ভাইকে দু’টো গালি দেওয়ার আগে…

ট্রাম্প ভাইকে দু’টো গালি দেওয়ার আগে…

অদিতি ফাল্গুনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলে একবার এক আফ্রিকান মেয়ে এলো। বেচারী কালো মেয়েটিকে অসংখ্য বাদামী মেয়ে মিলে কটুক্তি, উপহাস এবং এত রকমের অপমান করলো যে পরে সে পড়া ছেড়ে দেশে চলে গেল। এই আমরাই কি আমাদের ভাইয়ের বিয়েতে ‘ফর্সা মেয়ে’ খুঁজি না? ছেলের জন্য ‘ফর্সা বউ’ খুঁজি না? বেশি দূর যেতে হবে না। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার সাদা মা’কে ওবামার যে বর্বর, আফ্রিকান বাবা (ভাষার জন্য দু:খিত) আফ্রিকায় তার প্রথম বউয়ের কথা গোপন করে ওবামার মা’কে দিব্যি ‘ব্যবহার’ করে (ভাষার জন্য দু:খিত), একটি ‘সন্তান’ দিয়ে সারা জীবনের মত ভেগে গেল...এখন যদি কিছু সাদা ছেলে ক্ষেপে যায় ত’ তারা রেসিস্ট? আর আমরা খুব ভাল? আমাদের এক পরিচিত দাদা এক উজবেক বৌদ্ধ নারীকে বিয়ে করে আনলেন। ১৯৮৭ সালের কথা। পরিচিত এই দাদা যদি পাঁচ ফুট দুই, উজবেক নারীটি পাঁচ ফুট আট। তাঁর বাবা স্ট্রোক করে মারাই গেলেন এমন ‘বেঁটে, কালো’ ছেল
ইফিজেনিয়া, কার্ল গুস্তাভ ইয়ুং ও পদ্মা সেতুর জন্য ‘দরকারী নরমুন্ডে’র গুজব…

ইফিজেনিয়া, কার্ল গুস্তাভ ইয়ুং ও পদ্মা সেতুর জন্য ‘দরকারী নরমুন্ডে’র গুজব…

অদিতি ফাল্গুনী ইফিজেনিয়া ছিল গ্রিস-ট্রয় যুদ্ধের সময় গ্রিসের ছোট ছোট বেশ কিছু দ্বীপ তথা নগররাষ্ট্রের একটির নৃপতি আগামেমননের কন্যা। নয় কি দশ বছর বয়স। ট্রয়ের দিকে গ্রিক যুদ্ধ জাহাজগুলো যখন রওনা করবে, জাহাজ আর ছাড়ে না। কেন? সুবাতাস বইছে না। জাহাজের পালে বাতাস লাগতে হলে কি করতে হবে? আগামেমননের শিশু কন্যা ইফিজেনিয়াকে বলি দিয়ে দেবতাদের তুষ্ট করতে হবে। সঙ্গত কারণেই আগামেমননের স্ত্রী এতে রাজি নন। কিন্ত আগামেমনন পুরুষ ও রাজা। বন্ধু মেনিলাসের যে স্ত্রী স্বেচ্ছায় ট্রয় রাজকুমারের সাথে পালিয়েছে, তাকে জোরপূর্বক ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ অভিযানের মাধ্যমে গ্রিক পৌরুষের হৃত মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে মেয়েকে আনালেন নিজের কাছে। শিশু কন্যা সরল বিশ্বাসে বাবার দিকে খিলখিল করে হাসতে হাসতে দু’বাহু বাড়িয়ে ছুটলো। বাবা তাকে কোলে নেবার ভাণ করে ছুরি বিদ্ধ করলো। গ্রিক জাহাজে বাতাস লাগল। ইফিজেনিয়ার মা এই প্রতারণা সহ্য করতে পারেনি। স্ব
মাদাম বোভারি, আন্না কারেনিনা, রবীন্দ্রনাথের কুমু ও আজকের বাংলাদেশের মিতু

মাদাম বোভারি, আন্না কারেনিনা, রবীন্দ্রনাথের কুমু ও আজকের বাংলাদেশের মিতু

অদিতি ফাল্গুনী ১৮৫৬ সালে ফরাসী সাহিত্যিক গুঁস্তাভ ফ্ল্যবেয়ার যখন ‘মাদাম বোভারি’ উপন্যাসের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন, গোটা দেশ জুড়ে উপন্যাসটি নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। উপন্যাসের নামচরিত্র মাদাম বোভারি মফস্বলী জীবনের তুচ্ছতা ও শূন্যতা এড়াতে সাধ্যের অতীত এক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে যায়। অক্টোবর ১, ১৮৫৬-১৫ ডিসেম্বর ১৮৫৬ সাল নাগাদ উপন্যাসটি যখন প্রথম একটি পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়, তখন পাবলিক প্রসিকিউটররা অশ্লীলতার দায়ে লেখকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ১৮৫৭ সালের জানুয়ারি মাসে উপন্যাসের জন্য লেখক আদালতে গেলে উপন্যাসটি বাস্তবিক বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ১৮৫৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লবেয়ার আদালত থেকে ছাড়া পেলে এপ্রিল নাগাদ বইটি বেস্ট সেলার হয় এবং এটা ফ্লবেয়ারের জীবনের মাস্টারপিস ও ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী সাহিত্যকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়। ফ্রান্সের উত্তরের এক মফস্বল শহরে মাদাম বোভারি থাকতেন, নর্ম্যান্ডির
‘পিতৃতান্ত্রিক পরিবারগুলো নারী লেখকদের সবচেয়ে বড় শত্রু’

‘পিতৃতান্ত্রিক পরিবারগুলো নারী লেখকদের সবচেয়ে বড় শত্রু’

তাঁকে অনেক বিশেষণে বিশেষায়িত করা যায়। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, কবি, অনুবাদক, গবেষক। তিনি অদিতি ফাল্গুনী। ১৯৭৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি যশোরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। অদিতির লেখালিখিতে আত্মপ্রকাশ ঘটে কুড়ি বছর বয়সে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সাহিত্য পাতায় প্রথম গল্প লিখে। ১৯৯৯ সালে তার প্রথম গল্প 'ইমানুয়েলের গৃহ প্রবেশ' স্টুডেন্ট ওয়েজ থেকে প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত তাঁর ২৫ টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-প্রবন্ধ গ্রন্থ 'খসড়া খাতা :নারীবাদী সাহিত্যতত্ত্ব ও অন্যান্য প্রসঙ্গ', অনুবাদগ্রন্থ 'আমার জীবন' (মার্ক শাগালের 'মাই লাইফ'), অনুবাদগ্রন্থ 'গোত্রপিতার হেমন্ত' (গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের 'দ্য অটাম অব দ্য প্যাট্রিয়ার্ক'), গল্পগ্রন্থ 'চিহ্নিত বারুদ বিনিময়', অনুবাদ গ্রন্থ 'মিকেলেঞ্জেলো :জীবন ও কর্ম' (মূল :আলেক্সান্দ্রা গ্রুমলিং) ,কাব্যগ্রন্থ