ঘটনাটি পূর্ব লন্ডনের। রেশম খান নামে এক উঠতি মডেলের ২১ তম জন্মদিন ছিল এদিন (২১ জুন)। জন্মদিন উপলক্ষে তিনি ৩৭ বছর বয়সী কাজিন জামিল মুক্তারের সাথে দেখা করেন। দুই বচর পর তাঁদের মধ্যে দেখা। তারা ট্রাফিকে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময়ে তাদের ওপর অ্যাসিড হামলা হয়।
এই ঘটনায় রেশম এবং জামিল দুজনই ভয়ংকরভাবে দগ্ধ হয়েছেন।
রেশম টুইটারে লিখেছেন, “এটি ছিল একটি মর্মপীড়াদায়ক যন্ত্রণা। গাড়ি থেকে উভয়কে বের করার জন্য আমার কাজিনকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমি চোখের সামনে দেখলাম আমার কাপড় পুড়ে গেল।”
তিনি আরও লিখেন, “আমরা দুজন একসাথে গাড়ি থেকে বের হই এবং যন্ত্রণার কারণে আমরা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ি। রাস্তার মাঝখানে আমরা কাপড় ছিড়ে ফেলি, চিৎকার করি এবেং পানির জন্য ছুটাছুটি করি।৪৫ মিনিট আমরা এরকম করি।তাও অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি।”
পরে এক পথযাত্রী তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
স্পেশাল বার্ন ইউনিটে রেশমকে ভর্তি রাখা হয়েছে। রেশম বিজনেস ম্যানেজমেন্টের ছাত্রী। তিনি সাইপ্রাসে ৯ মাস পড়াশুনা করে সম্প্রতি লন্ডনে ফিরে আসেন। তিনি কাজে যোগ দিতে চলেছিলেন। তবে অ্যাসিড হামলার পরে পুরো জগতটাই এলোমেলো হয়ে গিয়েছে।
রেশমের বাম চোখ, মুখ, শরীরের বিভিন্ন জায়গা পুড়ে গিয়েছে। ত্বকের চিকিৎসা করালে তবেই সেই দগদগে ঘা ঢাকা সম্ভব।
রেশমার বিপদে তাঁর এক বন্ধু তহবিল গঠনের জন্য একটি অনলাইন পেইজ খুলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত যার মাধ্যমে ২০ হাজার পাউন্ড সহায়তা পাওযা গেছে।
তবে অর্থ দিয়ে কতটুকুই বা সাহায্য করা যায়। যেভাবে লন্ডনের রাস্তায় অ্যাসিড হামলার শিকার হতে হলো তা একজন মেয়ের জীবন তছনছ করার পক্ষে যথেষ্ট।
জামিলকে ‘ইনডিউসড কোমা’য় রাখা হয়েছে। জামিলের মাথা, মুখ এবং শরীর দগ্ধ হয়েছে, একটি চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘা ঢাকার জন্য তাঁরও ত্বকের চিকিৎসা প্রয়োজন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে যে তারা দুইজন যখন গাড়ির ভেতরে ছিলেন তখন এক ব্যক্তি জানালা দিয়ে দাহ্য তরল তাদের দিকে ছুঁড়ে মারে।