স্কয়ার হাসপাতাল ছাড়লেন খাদিজা - Women Words

স্কয়ার হাসপাতাল ছাড়লেন খাদিজা

সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস ৫৫ দিন পর স্কয়ার হাসপাতাল ছেড়েছেন। সোমবার সকালে তাকে সাভারের সিআরপিতে (সেন্টার ফর দ্য রিহাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড) বা পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের কনসালটেন্ট এবং হাসপাতালটির অ্যাসোসিয়েট মেডিক্যাল ডিরেক্টর মির্জা নাজিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে অলরেডি ডিসচার্জ করে দিয়েছি। তার বাম হাত ও বাম পা এখনও কিছুটা অবশ থাকায় ফিজিওথেরাপি দরকার। তাই আমরা চিকিৎসকরা মিলে তাকে সিআরপিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই।’

তিনি আরও বলেন, এখন সে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে। তার যে আশঙ্কা ছিল ইতিমধ্যেই সেটা কাটিয়ে উঠেছে।

মাঝে মাঝেই নার্গিসের স্মৃতিভ্রম হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘ওর মাথায় অনেক বড় ইনজুরি ছিল। মাথায় অনেকগুলো জটিল অপারেশন হয়েছে। তাই এটা স্বাভাবিক। তবে সে এটা কাটিয়ে উঠবে।’

প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজে স্নাতক পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের হামলার শিকার হন খাদিজা। খাদিজা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ওইদিন রাতেই খাদিজাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তখন জানিয়েছিলেন, তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেদে করে মস্তিষ্কও জখম হয়। তাকে প্রথম দিকে স্কয়ার হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তিন দফা অস্ত্রোপচার হয়। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত ১৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়।

এর সাতদিনের মাথায় খাদিজাকে হুইল চেয়ারে করে কিছুক্ষণ ঘোরানো হলেও সে সময় তিনি কাউকে চিনতে পারছিলেন না বলে তার স্বজন ও চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন।

খাদিজাকে হাসপাতালে আনার পর থেকে তার চিকিৎসার আদ্যোপান্ত সংবাদ সম্মেলনে জানান স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) মির্জা নাজিম উদ্দিন।

অন্যদিকে ওই ঘটনার পরপর বদরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। আর এ ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর অসুস্থ ন খাদিজার চিকিৎসাভার গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন