সুষমা স্বরাজের সহায়তায় ভারতের ভিসা পেলেন তিনি - Women Words

সুষমা স্বরাজের সহায়তায় ভারতের ভিসা পেলেন তিনি

এক মিসরীয় নারীকে অবশেষে চিকিৎসার ভিসা দিয়েছে কায়রোর ভারতীয় দূতাবাস। ইমান আহমেদ আব্দুলাতি নামের ওই নারীর ওজন ৫০০ কেজি ২০০ গ্রাম। আর এই ওজনের সূত্রেই ইমান এখন বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মহিলা বলে দাবি করা হচ্ছে  তাকে। অস্বাভাবিক ওজনের কারণে তিনি শয্যাশায়ী।

বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের হস্তক্ষেপের পর আজ বুধবার ইমান আহমেদকে চিকিৎসার ভিসা দেওয়া হয়।

৩৬ বছর বয়সী ইমান চিকিৎসার জন্য ভারতে আসতে আগ্রহী। কিন্তু প্রথমে তাঁকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছিল।

স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ভিসা না পেয়ে ওই নারী মুম্বাইয়ের এক সার্জনের কাছে সাহায্য চান। এরপর ওই সার্জন টুইটারের মাধ্যমে বিষয়টি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে আনেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভারতীয় ভিসা পেতে সহায়তার অনুরোধ জানান।

এ প্রসঙ্গে টুইটারে সুষমা স্বরাজ লিখেছেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আনার জন্য ধন্যবাদ। আমরা অবশ্যই ওই নারীকে সাহায্য করব।’

সুষমা স্বরাজের নজরে আসার পর দ্রুতই মিসরীয় ওই নারীর ভিসার আবেদন গ্রহণ করে কায়রোর ভারতীয় দূতাবাস।

অতিরিক্ত ওজনের কারণে স্কুল থেকে ঝরে পড়েছেন ইমান।

২৫ বছর বাড়ির বাইরে বের হন না তিনি। বর্ধিত ওজন সমস্যায় মাত্র ১১ বছর বয়স থেকে শয্যাশায়ী। তবুও, রোগা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন ইমান।

তাঁর বোন চায়মা উদ্যোগী হয়েছেন দিদির চিকিৎসার জন্য। ইমানের ছবি তুলে ইন্টারনেটে পোস্ট করেছেন চায়মা। তাঁর আর্জি যদি কেউ ইমানের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসে।

ইমানের পরিবারের দাবি, ১১ বছর বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল তাঁদের মেয়ে। যার জেরে সে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই ওজন বাড়তে শুরু করে ইমানের। কোনও কাজই নিজে নিজে করতে পারেন না ইমান। এমনকী চলতে-ফিরতেও অক্ষম তিনি। 

চায়মার দাবি, ইমান এই মুহূর্তে এলেফ্যানটিয়াসিস রোগে আক্রান্ত। এর মানে আক্রান্তের হাত ও পায়ের হাড়গুলিতে ক্রমাগত রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া, যাকে ‘প্যারাসিস্টিক ইনফেকশন’ বলে। 

চিকিৎসকরা প্রথমে এই রোগটিকে চিহ্নিত করতে পারেননি। ইমান ছোট বেলায় যখন এই রোগে প্রথম আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন চিকিৎসকরা বলেছিলেন কোনওভাবে শরীরে জল জমে ফুলে যাচ্ছেন ইমান। যেভাবে প্রতিনিয়ত ইমানের ওজন বাড়ছে তাতে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে কী ভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়েও চিন্তায় পড়েছেন চায়মা। এভাবে ওজন বৃদ্ধি ঘটতেই থাকলে ইমানের মৃত্যু অবশ্যাম্ভাবি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।