সিলেটে কলেজছাত্রীকে কুপিয়েছে শাবি ছাত্রলীগ নেতা - Women Words

সিলেটে কলেজছাত্রীকে কুপিয়েছে শাবি ছাত্রলীগ নেতা

সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বদরুল আলম সোমবার বিকালে খাদিজাকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করেন। সে শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র।  

এ ঘটনার পর এমসি কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলাকারী বদরুলকে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।  আহত বদরুলকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।খাদিজাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোমবার মধ্যরাতে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের হাউসা গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে খাদিজার বাড়িতে লজিং থাকতেন বদরুল আলম। সেখানে থাকাকালে খাদিজার কাছে প্রেম নিবেদন করে সে। মেয়েটি বারবার বদরুলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এমসি কলেজে আজ পরীক্ষা দিতে আসেন খাদিজা। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর কলেজ মসজিদের পেছনে শিক্ষার্থীদের সামনে চাপাতি দিয়ে তাকে কোপাতে থাকেন বদরুল। নার্গিসের চিৎকার শুনে এগিয়ে যান প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন। তারা খাদিজাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করেন এবং বদরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেন।
 
এমসি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর সালেহ আহমদ বলেন, ‘কিছু ছাত্র এসে একটি মেয়েকে কুপিয়ে দুই টুকরো করে ফেলেছে বলে আমাদের জানায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে হামলাকারী যুবককে জনতার কবল থেকে উদ্ধার করে। আমরা ওই মেয়েকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই।’
 
প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান কবির বলেন, ‘একটি মেয়েকে কোপাতে দেখে এগিয়ে যাই। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্যের সহায়তায় আমরা মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎকরা বলেছেন, তার রক্তের প্রয়োজন। আমরা কিছু রক্তের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।’
 
এদিকে এ ঘটনার পর সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা । এমসি কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
 
প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খাদিজার ওপর হামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (উত্তর) জিদান আল মুসা।

তিনি জানান, জনতার সহায়তায় হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। মেয়ের চিকিৎসার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষসহ সবাই  চেষ্টা করছেন।