রংপুর নগরীর নর্দার্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার আলমগীর কবিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
এদিকে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই দুই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁদের কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
ধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই দুই ছাত্রীর একজন গতকাল মঙ্গলবার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর একই নার্সিং ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
তারা পুলিশকে জানান, ঘটনা গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ঘটলেও ভয়ে তারা প্রকাশ করেননি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রংপুর নগরীর ‘নর্দার্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের’ প্রথম বর্ষের দুই শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোট নিতে পাশের সর্দারপাড়ায় ‘মেরাজ ছাত্রাবাসে’ এক সহপাঠী নিমাইয়ের কাছে যান।
সেখানে যাওয়ার পর মেসটিতে বসবাসকারী ওই প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলমগীর কবির তাঁদের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে না থেকে ভেতরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। দুই ছাত্রী তখন মেসের ভেতরে যান। নিমাই ও আলমগীর ছাড়া মেসে ওই সময় কেউ ছিলেন না। একপর্যায়ে আলমগীর ওই দুই ছাত্রীকে একটি কক্ষে বসিয়ে রেখে বাইরে চলে যান এবং চার যুবককে সঙ্গে নিয়ে ফেরেন। ওই পাঁচজন পরে দুই ছাত্রীর সহপাঠী নিমাইকে কক্ষের বাইরে নিয়ে বেঁধে রেখে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ধর্ষণের আগে ওই পাঁচজন দুই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ছবি ধারণ করেন। এই ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন। জানাজানি হওয়ার ভয়ে ওই দুই ছাত্রী প্রথমে বিষয়টি গোপন রাখেন। পরে অভিভাবকদের জানান। পরিবারের সম্মতিতে দুই ছাত্রীর পক্ষ থেকে একজন ছাত্রী পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিষয়টি কাউকে জানালে আরও ক্ষতি করার হুমকি দেওয়ায় তারা প্রথমে প্রকাশ করেননি। পরে পরিবারের সদস্যদের জানান।
নর্দার্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, পরিবারের সদস্যরা সোমবার বিষয়টি তাকে জানান। এরপর তিনি কোতোয়ালি থানায় অবহিত করলে ওসি তাদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেন।
তিনি বলেন, “মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তাদেরকে থানায় নিয়ে মামলা করা হয়।”
সূত্র: প্রথম আলো