যৌতুকের জন্য কোন নারীকে মারাত্মক জখম করলে যাবজ্জীবন - Women Words

যৌতুকের জন্য কোন নারীকে মারাত্মক জখম করলে যাবজ্জীবন

যৌতুক দাবির অপরাধের দণ্ড বাড়িয়ে যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে মারাত্মক জখম করলে দায়ী ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন অথবা ন্যূনতম ১২ বছর সশ্রম কারাদন্ডের বিধান রেখে ‘যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৭’ -এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় আজ এই সংশোধনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

১৯৮০ সালে করা বিদ্যমান যৌতুক নিরোধ আইনে যৌতুক দাবি ও লেনদেনের জন্য শাস্তির বিধান থাকলেও যৌতুক চেয়ে নির্যাতন বা আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য শাস্তির কথা বলা নেই। তাই প্রস্তাবিত সংশোধনীতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনকারীর শাস্তির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, আইনে নতুন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইনে যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, খসড়ায় যৌতুকের জন্য আত্মহত্যার প্ররোচনায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হলেও শেষ মুহূর্তে শাস্তি কমিয়ে আনা হয়।

শফিউল আলম বলেন, আইনে যৌতুকের জন্য নারীকে মারাত্মক জখম করার শাস্তি হিসেবে আসামির কারাদণ্ডের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তের ক্ষতি বিবেচনায় অর্থদণ্ডসহ আমৃত্যু ভরণপোষণের বিধান রাখা হয়েছে। আর সাধারণ জখমের জন্য আসামির অনধিক তিন বছর কিন্তু কমপক্ষে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।

যৌতুক নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ বা মামলা করলে তাও নতুন আইনে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে বলে শফিউল আলম জানান।

বিধানে আরও বলা হয়েছে কেউ যদি এই আইনের অপপ্রয়োগ করে তাহলে তাকেও সাজা ভোগ করতে হবে।