যুদ্ধাপরাধ মামলায় সাখাওয়াতের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের আমৃত্যু সাজা - Women Words

যুদ্ধাপরাধ মামলায় সাখাওয়াতের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের আমৃত্যু সাজা

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের সাবেক সাংসদ সাখাওয়াত হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও অপর সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।

আসামিদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন ও বিল্লাল হোসেনকে রায় ঘোষণা উপলক্ষে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন বাকি ছয় আসামি। তাঁরা হলেন ইব্রাহিম হোসাইন, শেখ মো. মজিবুর রহমান, এম এ আজিজ সরদার, আবদুল আজিজ সরদার, কাজী ওহিদুল ইসলাম ও আবদুল খালেক।

রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

এই মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয় গত ১৪ জুলাই এবং ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।

সাখাওয়াতসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয় গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর।

আসামীদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে যশোরের কেশবপুরে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন প্রভৃতি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। নয় আসামির মধ্যে কারাবন্দী অবস্থায় মারা যান লুৎফর মোড়ল। এ জন্য তাঁকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি। কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম ও রেজিয়া সুলতানা রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ।

সাখাওয়াত ও বিল্লালের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুস সাত্তার পালোয়ান। লুৎফর ও অন্য ছয় পলাতক আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস শুকুর খান ও কুতুব উদ্দিন আহমেদ।

রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক সাংসদ ছিলেন সাখাওয়াত। বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন সাখাওয়াত। পরে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে তিনি মনোনয়ন পান নি। ফলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এরপর বিএনপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। তিনি তখন অলি আহমদের এলডিপিতে এবং পরে ফেরদৌস আহম্মেদ কোরেশীর পিডিপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টিতে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে ছিলেন। জাতীয় পার্টিও তাঁকে প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ দিয়েছে।