ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশঃ প্রধানমন্ত্রী - Women Words

ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশঃ প্রধানমন্ত্রী

কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় নিহতরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাতে ‘তৈরি হয়েছিল’ বলে মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা নিহত হওয়ায় দেশ ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি’ থেকে রক্ষা পেয়েছে।

নিজের কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে কল্যাণপুরে কিছু সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাবে বলে প্রস্তুতি নিয়েছিল। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে… ত্বরিৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

অভিযানের বিবরণ দিতে শেখ হাসিনা বলেন, মধ্যরাত্রে সে জায়গা ঘেরাও করে সকাল ৫টায় অপারেশন চালানো হয়। নয়জন সন্ত্রাসী সেখানে মৃত্যুবরণ করেছে। একজন আহত অবস্থায় ধরা পড়েছে, একজন পালিয়ে গেছে।

অভিযানে অংশ নেওয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। বলেন, “অত্যন্ত সফলতার সাথে আমাদের পুলিশ বাহিনী এই অপারেশনটা চালিয়েছে। তারা (সন্ত্রাসীরা) সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত ছিল, বোঝা যাচ্ছিল যে তারা যে কোনো ধরনের নাশকতা ঘটানোর জন্য তৈরি হয়ে ছিল। এই পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে বিরাট বড় ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে।”

পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি  বলেন, “আমাদের এই সন্ত্রাস অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে এবং এটা প্রতিরোধ করতেই হবে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বেশি প্রয়োজন। মানুষের জীবন-মান নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য।”

“আমরা চাইনা- আমাদের দেশটা এভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভয়ারণ্য হোক।”

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম এবং তিনজন জেলা প্রশাসক ও একজন বিভাগীয় কমিশনার।

জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা ছাড়াও মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন।

অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশ ওই ছয়তলা বাড়িতে যায়। তিনতলায়  ওঠার পর ওপর থেকে দুজন ‘আল্লাহু আকবর’ বলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও বিস্ফোরকদ্রব্য ছোড়ে। পুলিশ তখন পাল্টা গুলি ছোড়ে এবং হাসান নামের একজন গুলিবিদ্ধ হন।  হাসান একজন ‘জঙ্গি’ বলে দাবি জানিয়েছে পুলিশ। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।তিনতলায়  ওঠার পর ওপর থেকে দুজন ‘আল্লাহু আকবর’ বলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও বিস্ফোরকদ্রব্য ছোড়ে। পুলিশ তখন পাল্টা গুলি ছোড়ে এবং হাসান নামের একজন গুলিবিদ্ধ হন।  হাসান একজন ‘জঙ্গি’ বলে দাবি জানিয়েছে পুলিশ। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রথম দফায় পুলিশের সঙ্গে ‘জঙ্গিদের’ গুলিবিনিময় চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সোয়াট, র‍্যাব ও ডিবি । এরপরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে আরেক দফা গুলিবিনিময় হয়। ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পুলিশ জানায়,  ‘জঙ্গিরা’ একপর্যায়ে দরজা খুলে পালানোর চেষ্টা করে। তারা এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও তখন পাল্টা গুলি ছোড়ে। গুলিবিনিময়ে নয়জন নিহত হয়।

সূত্রঃ প্রথম আলো