‘ব্লু হোয়েল’ এর অন্যতম মাস্টারমাইন্ড রাশিয়ান কিশোরী গ্রেপ্তার - Women Words

‘ব্লু হোয়েল’ এর অন্যতম মাস্টারমাইন্ড রাশিয়ান কিশোরী গ্রেপ্তার

‘ব্লু হোয়েল গেম’ এর অন্যতম মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত মাস্টার মাইন্ড এক ১৭ বছরের কিশোরী। রাশিয়ান এই কিশোরীর নাম এখনও জানা যায়নি। মেয়েটি ডেথ গ্রুপ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলে পরিচিত। পুলিশ এই কিশোরীকে রাশিয়ার খাবারোভস্ক ক্রাই অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

ব্লু হোয়েল হলো একটি অনলাইন গেম। এর সময়সীমা ৫০ দিন৷ খেলার নির্দেশ অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীকে ৫০টি টাস্ক শেষ করতে হয়৷ এর মধ্যে রয়েছে নিজেকে আঘাত করাসহ নানারকম ভয়ানক টাস্কও৷ শেষ টাস্কটি আত্মহত্যা৷ এখনও পর্যন্ত ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই গেম খেলার কারণে। অনেকেই ভুগছেন মানসিক অবসাদে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে নানা বিস্ফোরক তথ্য। সংবাদমাধ্যমের কাছে রাশিয়ার তদন্তকারী দল জানিয়েছে, এই কিশোরী প্রথমে ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়েছিল। তবে শেষ ধাপের আগেই এই চ্যালেঞ্জের অ্যাডমিন হয়ে ওঠে সে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, চ্যালেঞ্জের ৫০টি ধাপ কী কী হবে, তা ঠিক করে এই কিশোরীই। তাই যতজন এই খেলায় অংশ নিয়েছে, যতজনের প্রাণ গিয়েছে, সেই প্রতিটি মৃত্যুর জন্য দায়ী সে।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া পুলিশের তথ্য অনুযায়ী এই মেয়েটিই ব্লু হোয়েল গ্রুপে গেম খেলতে আগ্রহীদের একের পর এক কাজ পাঠাত, যেগুলো অনেক সময় জীবন শেষ করে দিতে পারে।

ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ-এ যারা অংশ নিয়েছিল, তাদেরকে আত্মঘাতী হওয়ার জন্য প্ররোচনা দিয়েছে এই কিশোরীই। খেলার শেষে আত্মহত্যা করতে চায়নি, তাদের হুমকিও দিয়েছে এই মেয়ে। কখনও তাদের গোপন তথ্য ফাঁস করে দেওয়া, আবার কখনও তাদের পরিবারের কাউকে খুনের হুমকিও দেয় সে। খেলার অ্যাডমিন হওয়ার পরে এই কিশোরি ৫০টি চ্যালেঞ্জ সাজায়। এমন কিছু টাস্ক রাখে অংশগ্রহণকারীদের সামনে, যাতে খেলায় অংশগ্রহণকারী মানসিক ভাবে একেবারে ভেঙে পড়ে এবং আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।

এই বছই ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ-এর উদ্যোক্তা ২২ বছরের ফিলিপ বুডেকিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তার তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে রাশিয়ার আদালত। কিন্তু সে জেলে যাওয়ার পরেও গোটা বিশ্বে রমরমিয়ে চলেছে প্রাণঘাতী নীল তিমির খেলা।

২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় ঐ মারণ খেলা৷ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দু’বছর পরে৷ প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে৷ যেন আত্মহত্যার জন্যই৷ সেই থেকেই এই গেমের নাম হয়েছে ব্লু হোয়েল’ বা নীল তিমি৷

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন