বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ: কোন আসামি গ্রেপ্তার হননি - Women Words

বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ: কোন আসামি গ্রেপ্তার হননি

ঢাকার একটি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বনানী থানায় হওয়া মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। মামলার এজাহার থেকে পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে।

‘তদন্তের স্বার্থে’ গতকাল বনানী থানা-পুলিশ আসামিদের নাম-ঠিকানা কিছুই জানাতে চায়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মাসুদুর রহমান আজ রোববার বলেন, এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।

এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা হলেন শাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও অজ্ঞাতনামা দেহরক্ষী। মামলার প্রধান আসামি শাফাত।

বনানী থানা-পুলিশ গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ধর্ষণের মামলা নেয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা দায়ের করতে দুই ছাত্রীকে টানা ৪৮ ঘণ্টা যুদ্ধ করতে হয়।

হয়রানি বাড়াতে মেডিকেল পরীক্ষার নামে দুই ছাত্রীকে দীর্ঘ সময় থানায় বসিয়ে রাখা হয়। রাত ১০টার দিকে তাঁদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়।

মামলার বাদী গতকাল জানান, তিনি পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দুই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে ১৫-২০ দিন সময় লাগবে।

গতকাল মামলার বাদী বলেন, তাঁদের পুরোনো এক বন্ধু প্রধান আসামির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। পরিচয়ের সপ্তাহ দু-এক পর গত ২৮ মার্চ তাঁদের দুজনকে ওই আসামি তাঁর জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত করেন। অনেক অনুরোধের পর তাঁরা ওই পার্টিতে যান। পার্টি ছিল বনানীর একটি চার তারকা হোটেল ও রেস্তোরাঁয়। ওই পার্টিতে ওই দুই শিক্ষার্থীর পুরোনো বন্ধুও ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে তাঁদের ফেলে ওই বন্ধু চলে যান। আসামিরা তখন তাঁদের হোটেলের দুটি কক্ষে আটকে ফেলেন। সে সময় আসামিদের সঙ্গে দেহরক্ষী ও গাড়িচালক ছিলেন। প্রধান আসামি ও তাঁর এক বন্ধু ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। অভিযোগকারী শিক্ষার্থী দাবি করেন, তাঁদের ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন আসামির গাড়িচালক।

এক মাসের বেশি সময় পর কেন মামলা করলেন, জানতে চাইলে অভিযোগকারী বলেন, লোকলজ্জার ভয়ে তাঁরা বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন। ধর্ষণের পর আসামি তাঁকে (বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী) প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে প্রধান আসামির দেহরক্ষী তাঁকে অনুসরণ করছিলেন। তাঁদের বাসায় গিয়েও নানান কিছু জিজ্ঞাসা করছিলেন। আসামি ভিডিও আপলোড করারও হুমকি দিচ্ছিলেন। সে কারণে তাঁরা থানায় যান।

সূত্র: প্রথম আলো