‘বন্দুকযুদ্ধে’ সঙ্গীসহ জঙ্গি নেতা মারজান নিহত - Women Words

‘বন্দুকযুদ্ধে’ সঙ্গীসহ জঙ্গি নেতা মারজান নিহত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নব্য জেএমবির নেতা নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান নিহত হয়েছেন। এতে মারজানের এক সহযোগী সাদ্দাম নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বেড়িবাঁধ এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। নিহত দুজনের মধ্যে একজন নব্য জেএমবির নেতা মারজান।  

পুলিশ জানায়, মারজান ঢাকার গুলশান হামলার ‘অপারেশন কমান্ডার’ ছিলেন।

মনিরুল ইসলাম জানান, সাদ্দাম রংপুরে জাপানি নাগরিক ওসি কুর্নিও হত্যা, পঞ্চগড়ের পুরোহিত জগেশ্বর হত্যা, কুড়িগ্রামের নব্য খ্রিস্টান হুসেইন আলী, রংপুরের বাহাই নেতা হত্যা চেষ্টার মামলার আসামি।

ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান মোবাইল ফোনের এক খুদে বার্তায় জানান, দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বন্দুকযুদ্ধে মারজানসহ দুজন নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি ছুরি, একটি মোটরসাইকেল ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্যও আহত হয়েছেন।

মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ দুজনের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে গতকাল দিবাগত রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠায়। হাসপাতাল সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

মারজানের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তবে দ্বিতীয় বর্ষে ওঠার পর আর ক্লাসে যায়নি। পরিবারের ভাষ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে বিয়ে করেন মারজান। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে নিখোঁজ হন।

গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে আরও দুই নারী জঙ্গিসহ গ্রেপ্তার হন মারজানের স্ত্রী শায়েলা আরেফিন প্রিয়তি। মারজানের বোন জামাই দুর্ধর্ষ জঙ্গি সাগরকে খুঁজছেন গোয়েন্দারা। তার হাত ধরেই মারজান জঙ্গিবাদে জড়ায়।

একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত বছরের এপ্রিলে মারজান নব্য জেএমবির বিভিন্ন হামলা সমন্বয় করার দায়িত্ব পান। তাঁর সঙ্গে নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরী ও অন্যদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বা রয়েছে।