নেইমার ম্যাজিকে সেমিফাইনালে ব্রাজিল - Women Words

নেইমার ম্যাজিকে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

কলম্বিয়া এত দিন তাঁর কাছে দুঃস্বপ্নের অপর নাম ছিল । এই কলম্বিয়ার কারণেই মারাত্মক চোট নিয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ মাঝপথে শেষ হয়েছিল তাঁর। এরপর বাইরে বসে দেখলেন জার্মানির কাছে নিজেদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া। পরের বছর ২০১৫ সালে কোপা আমেরিকায় এই কলম্বিয়ার উসকানিতেই লাল কার্ড দেখতে হয় তাঁকে। ব্রাজিলও ছিটকে যায়। সেই কলম্বিয়াকে সামনে পেয়ে সব হিসেব চুকিয়ে দিলেন নেইমার। ২-০ গোলে জিতে অলিম্পিকের সেমিফাইনালে ব্রাজিল।
ব্রাজিল অধিনায়কের এবারের শুরুটা ভালো হয়নি। শুরু থেকেই দর্শকদের দুয়ো ধ্বনি কর্ণ গুজরে শেলের মত বিধছিল। তবে তা কাটিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে বেশি সময় নেয়নি সাম্বার দেশ। গত ম্যাচে ৪-০ গোল ব্যবধানে হারায় ডেনমার্ককে।
নেইমারের কাছ থেকে যে ফুটবল প্রত্যাশিত, তার দেখা পাচ্ছিলেন না দর্শকরা। তাই তাদের ক্ষোভও ছিল নেইমারের প্রতি। শেষ পর্যন্ত নেইমার সঠিক সময় আর প্রতিপক্ষকে বেছে নিলেন। আজ নিজে একটা গোল করে, অন্য গোল তৈরিতে ভূমিকা রেখে ম্যাচের নায়ক এই বার্সেলোনা তারকাই।
নেইমার আর ব্রাজিলের প্রথম গোলটি এসেছে ১২ মিনিটে। দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক থেকে। ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া চোখধাঁধানো এক শটে। ৮৩ মিনিটে করা পরের গোলটি অবশ্য আরও চোখধাঁধানো। ঘিরে ধরা ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে দারুণ এক পাস লুয়ানকে ঠেলেছেন নেইমার। আর এবারের অলিম্পিকে আলাদা করে চোখে পড়া লুয়ান দূরপাল্লার শটে বল পাঠিয়েছেন জালে।
গত সপ্তাহেই ব্রাজিলের ১০ নম্বর জার্সির ওপর নেইমারের নাম কেটে সমর্থকেরা বসিয়ে দিয়েছিল মার্তার নাম। যেন বার্তা দিয়েছিল, নেইমার, তুমি ১০ নম্বরের মর্যাদা রাখছ না। নেইমার এবার শুধু জার্সিতে নয়, দর্শকদের মনেও ১০ নম্বরটার ছাপ আবার বসিয়ে দিলেন। আর তো মাত্র দুটি ম্যাচ। তাহলেই সেই পরম আরাধনার সোনা!
সেমিফাইনালে ব্রাজিল সহজ প্রতিপক্ষই পেয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ চারে ওঠা হন্ডুরাস তাদের প্রতিপক্ষ। অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে জার্মানি-নাইজেরিয়া। আগের ম্যাচে ফিজির জালে ১০ গোল দেওয়া জার্মানি এবার পর্তুগালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। অন্য ম্যাচে নাইজেরিয়া ২-০ গোলে হারিয়েছে ডেনমার্ককে।