রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ধর্ষণের শিকার এক স্কুলছাত্রী। গোদাগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি জানান, সপ্তম শ্রেণির এই ছাত্রী শুক্রবার গভীর রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহত কিশোরীর নাম খালেদা। সে উপজেলার জৌঠা গ্রামের আলম হোসেনের মেয়ে। দিগরাম উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে একই উপজেলার বালিগ্রামে নানার বাড়িত থাকত।
খালেদার বাবা আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে খালেদা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। এলাকার লোকজন নানা ধরনের কথাবার্তা বলার কারণে ধর্ষণের পর থেকে নানার বাড়ি গিয়ে থাকত খালেদা।
ওসি বলেন, গত ৩ নভেম্বর নিজের বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় খালেদা। তারপরে থেকে সে নানাবাড়ি থাকত। শুক্রবার দুপুরে নানাবাড়িতে কীটনাশক পান করলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন,“চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে মৃতদেহ পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
আলম মুন্সি মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত ৩ নভেম্বর রাতে খালেদার স্কুলের গ্রন্থাগারিক শহিদুল ইসলাম (৩৮) তার ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করার সময় চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে।
“স্থানীয়রা শহিদুলকে মারধর করে পুলিশে দেয়। ঘটনার পর ছাত্রীর মা থানায় মামলা করেন। শহিদুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোদাগাড়ী থানার এসআই আবদুল লতিফ জানান, খালেদাকে ধর্ষণ করা হয় বলে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪