দুই স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ: গ্রেপ্তার ৪ - Women Words

দুই স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ: গ্রেপ্তার ৪

ঢাকার ধামরাইয়ে গতকাল সোমবার রাতে দুই স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চার তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া তরুণদের তিনজন এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ হেফাজতে দুই স্কুলছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি।

ওই দুই স্কুলছাত্রী পরস্পর বান্ধবী। একজন সপ্তম শ্রেণিতে, অপরজন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। তারা পরিবারের সঙ্গে সাভার পৌর এলাকায় থাকে।

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বলে, সোমবার বিকেল চারটার দিকে সে তার বান্ধবীর বাসায় যায়। সেখান থেকে বান্ধবীকে নিয়ে স্থানীয় একটি মেলায় যায়। মেলায় যাওয়ার পর ওই বান্ধবী তার এক বন্ধুসহ আরও এক তরুণের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর বেড়ানোর কথা বলে তাঁরা (দুই তরুণ) দুই বান্ধবীকে একটি হাউজিং এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর দুই তরুণ মুঠোফোনে কল করে আরও ছয় তরুণকে সেখানে ডেকে আনেন।

স্কুলছাত্রীর অভিযোগ, কথা বলার একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ওই তরুণেরা তাদের নানা ভয়ভীতির মুখে হাউজিংয়ের ভেতরে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে দুই তরুণ তাকে ও অপর এক তরুণ তার বান্ধবীকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তারা চিৎকার করলে তরুণেরা পালিয়ে যান।

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মা বলেন, দুই বান্ধবী অপর এক বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। রাত আটটা পর্যন্ত তারা বাসায় না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাদের খুঁজতে বের হন। রাত ১১টা পর্যন্ত আত্মীয়স্বজনের বাসাসহ বিভিন্ন বান্ধবীর বাসায় খোঁজখবর নিয়েও তাদের সন্ধান পাননি। রাত ১২টার দিকে সাভার মডেল থানা থেকে মুঠোফোনে তাঁকে থানায় ডেকে পাঠায়। থানায় গিয়ে মেয়ে ও মেয়ের বান্ধবীকে থানায় পান। সেখানেই পুরো ঘটনা শোনেন।

পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় চার তরুণ সাংবাদিকদের কাছে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় পাঁচ তরুণকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনজন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।

দীপক চন্দ্র সাহা আরও বলেন, এর আগে সাভার মডেল থানার মাধ্যমে খবর পেয়ে সোমবার রাতেই দুই ছাত্রীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাভার ও ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার তরুণকে আটক করা হয়।

সূত্র: প্রথম আলো