দুই বান্ধবীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার - Women Words

দুই বান্ধবীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠের মতিহার থানার শাহাপুর এলাকার একটি বাসা থেকে দুই বান্ধবীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

বাসার একটি ঘর থেকে মঙ্গলবার বিকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির ধারণা করছেন, তারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

নিহতরা হলেন, শাহাপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার নাজমুল হোসেনের মেয়ে তামিমা খাতুন বন্যা (১৩) ও একই এলাকার মুক্তার আলীর মেয়ে উম্মে মারিয়া শম্পা (১২)। তারা উভয়েই কাটাখালী বেলঘরিয়া আবদুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ওসি বলেন, ‘সম্পর্কে তারা দুইজন বান্ধবী। বাসার একটি ঘরের বিমের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

এলাকাবাসী জানান, তামিমা খাতুনকে স্থানীয় এক স্কুলছাত্র ও উম্মে মারিয়াকে স্থানীয় এক কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষক উত্ত্যক্ত করতেন। এমন কোনো উত্ত্যক্তের ঘটনা থেকে তারা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

দুই স্কুলছাত্রীর রেখে যাওয়া ‘চিরকুট’ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে ওই দুজনের নাম উল্লেখ রয়েছে। নগরের মতিহার থানার পুলিশ চিরকুট উদ্ধারের কথা স্বীকার করলেও তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলতে রাজি হয়নি।

মারিয়ার মা শরিফা ও তামিমার বাবা নাজমুল হোসেনের ভাষ্য, মঙ্গলবার দুপুরে দুই বান্ধবী টিফিনের সময় বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে যায়। স্কুল ছুটির পর উম্মে মারিয়া বাড়ি ফিরে আসে। বান্ধবী তামিমা খাতুনও মারিয়াদের বাড়িতেই আসে। এ সময় মারিয়ার মা বাড়ির বাইরে ছিলেন। মারিয়ার বাবা চিকিৎসার জন্য ভারতে আছেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মারিয়ার মা বাইরে থেকে ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে লাগানো। অনেক ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় তিনি কৌশলে বাইরে থেকেই দরজা খুলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তামিমা খাতুনের পরনে তখনো স্কুলের পোশাক ছিল।

খবর পেয়ে মতিহার থানা-পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন, প্রথম আলো